a
ফাইল ছবি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
দেশে আবারও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তাবনাও দিয়েছে এই সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি। সে অনুযায়ী দু’একদিনের মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে ৪০০ গুণ বেশি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো পরিস্থিত এখনেও সৃষ্টি হয়নি। আক্রান্তের হার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলমান ইউপি নির্বাচনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এটা খুবই উদ্বেগজনক। নিয়ম না মানলে দেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন।
সংগৃহীত ছবি
মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার প্রথম পর্যায়ে ৫০টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
যেসব মডেল মসজিদ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
ঢাকার সাভার, ফরিদপুরের মধুখালী, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর, গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, কাহালু, পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জ সদর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা, দিনাজপুরের খানসামা, বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, রংপুর সদর, পীরগঞ্জ সদর, বদরগঞ্জ।
এছাড়াও তালিকায় রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিদপুর, জামালপুরের ইসলামপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, তারাকান্দা, ভোলা সদর, ঝালকাঠির রাজাপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নবীনগর, চাঁদপুরের কচুয়া, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, খুলনা জেলা সদর, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর, কুষ্টিয়া জেলা সদর এবং সিলেটের দক্ষিণ সুরমা মসজিদ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ইতিহাসে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে কমই আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছেন।
ফাইল ছবি
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার চাইলে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘ। ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো একথা জানিয়েছেন।
আজ রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মিয়া সেপ্পো বলেন, জাতিসংঘ কোনো দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনা। তবে কোনো দেশের সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা চাইলে জাতিসংঘ সহায়তা দিয়ে থাকে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সেই সহযোগিতা দিতে পারি।
মিয়া সেপ্পো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নারীর প্রতি সংহিংসতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে। জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে দেশ দু’টির প্রতিনিধিত্ব কে করবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারকে আমরা স্বাগত জানাই। এর মধ্যে দিয়ে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবে।