a
ফাইল ছবি
বাবা-মাসহ গুলশানের একটি বাসায় থাকবে জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা। সেখানে তারা আপাতত ১৫ দিন থাকবে। ১৫ দিন পর পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সমাজসেবা অধিদফতরের ঢাকার ডেপুটি ডিরেক্টর বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন। দুই শিশু ও তাদের বাবা-মায়ের মতামত নেওয়ার পর আদালত এই আদেশ প্রদান করেন।
গুলশানের বাসায় থাকাকালীন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশকে বলা হয়েছে।
এর আগে আজ দুপুরে দুই জাপানি শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাবার কাছে নাকি মায়ের কাছে থাকতে চান এ বিষয়ে শিশুদের সঙ্গে একান্তে প্রায় আধঘন্টা কথা হয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট দুই জাপানি শিশুকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সময়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাপানি মা ও বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশি বাবা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত ওইদিন উভয়পক্ষের আইনজীবীদের ৩১ আগস্টের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করতে ভূমিকা রাখতে বলেছিলেন। তবে সোমবার (৩০ আগস্ট) রাত পর্যন্ত আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কয়েক দফা বৈঠকের পরও দুই পক্ষ কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি।
ফাইল ছবি
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, বিষয়টির দিকে তারা নজর রাখছে। আর এটি স্পষ্টতই উদ্বেগের বিষয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংকালে বাংলাদেশের সাংবাদিককে হয়রানি ও গ্রেফতারসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে নিয়ে প্রকাশিত গণমাধ্যমের খবর আমাদের নজরে এসেছে। অবশ্যই আমরা নজর রাখছি। এটা স্পষ্টতই উদ্বেগজনক বিষয়।’
কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে ডুজারিক বলেন, ‘বিষয়টিতে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। সাংবাদিকদের কোনোভাবেই হয়রানি বা শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না। মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সেটা বাংলাদেশ কিংবা পৃথিবীর যেকোনো জায়গাই হোক না কেন।’
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে বিশ্বে সাংবাদিকেরা যে ভূমিকা রাখছেন, তা আমরা সবাই পর্যবেক্ষণ করেছি। তারা যেখানে, যে অবস্থায় কাজ করুক না কেন, তাদের কাজের ক্ষেত্র হতে হবে বাধাহীন।’ সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক কেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা হামলা ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করছে ইরান। দেশটির নাতাজ পারমাণবিক কমপ্লেক্সে এই হামলা করা হয়। ফলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে বলে জানা যায়। ইরান জানায়, ‘এর জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের আছে’। খবর বিবিসি’র
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলি আকবর সালেহি বলেছেন, ‘নাতাজ পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলার মাধ্যমে ইরানবিরোধীদের অক্ষমতারই প্রকাশ ঘটেছে। এ ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে, যারা ইরানের ওপর থেকে পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাক, তা চায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ হামলার জবাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু কমিশনের ভূমিকা দেখতে চায় ইরান।’
রবিবার ভোরের দিকে ইরানের এই পারমাণবিক স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসেও এই স্থাপনায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
রবিবার এ ঘটনার পরে ইরানের পরমাণু কমিশনের মুখপাত্র বেহরুজ কামালাফেন্দি গণমাধ্যমকে জানান, ‘এ ঘটনায় কোনও প্রাণহানি বা পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি।’