a
ফাইল ছবি। বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়া সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিতের মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ইতোমধ্যে তার স্থায়ী মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, তার (খালেদা জিয়া) সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পক্ষে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মত দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য আমাদের মতসহ প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যে আবেদন করা হয় সেটিতে স্থায়ীভাবে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় সেটি বিবেচনা করেনি। বিদেশে যেতে পারবেন না এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে- পূর্বের দেয়া এ দুটি শর্ত বহাল রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে রয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি ফিরলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।
এর মধ্যে ১১ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। শারীরিক দুর্বলতার কারণে ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন তিনি। ইতোমধ্যে করোনার দুই ডোজ টিকাও নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাত খুলনায় সোনালী ব্যাংকে।
খুলনা সোনালী ব্যাংকে করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ৩ জনের নামে দুদকে’র মামলা দায়ের হয়েছে। স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সালাউদ্দিন ও ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মো. শাওন মিয়া খুলনার উপ-পরিচালক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মো. সালাউদ্দিন স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খুলনা সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা হতে প্লেজ ১৭ কোটি এবং হাইপো দেড় কোটি টাকাসহ মোট ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। জামানত ছিল গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি এই ঋণের বিপরীতে। ব্যাংকের পক্ষ হতে গোডাউনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও সাপোর্টিং স্টাফ আব্দুর রহিম বাবু (গ্রেড : ২) ছিলেন। স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. সালাউদ্দিন ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজসে ২০১৭ সালের ১৫জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়ি পাচারকালে ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশের সহায়তায় গোপনে চিংড়ি বিক্রির প্রমাণ পান। এতে তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দুদকের এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে মো. আব্দুর রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএ নেতা হওয়াই তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাপনা না নেয়ার জন্য হুমকি দেন। ব্যাংকের ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ সিবিএ নেতাদের চাপে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়াই স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মো. সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার এবং ব্যাংকের স্টাফ আব্দুর রহিম বাবুসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম মামলার কথা স্বীকার করে জানান, গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার সাময়িক বরখাস্ত আছেন। এছাড়া মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকার মামলা দায়ের করা হয়েছে ঋণ খেলাপির। খুলনা দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমানও মামলা সত্যতা স্বীকার করেছেন।
মুক্তা দাশ
খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে
অনেক অনেক কথা !
কথার খৈ ফুটবে,, অনবরত বুলেট-বৃষ্টির মতো
কিন্তু খেই হারাবো না ...
খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে ।
ইনিয়ে- বিনিয়ে , ঘুড়িয়ে- প্যাচিয়ে ! যতোভাবে
আদরে আহ্লাদে কথা বলা যায়... ততো ভাবে শুধু কথাই বলে যাবো ...!!!
এতোসব কথার ভীড়ে তুমি শুধুই আমার হয়ে থাকবে ,
বুকে জড়িয়ে রাখবে।
কপালে চুমু খেতে খেতে বলবে... পাগলী একটা !
টগবগে কথার বকবকানিতে তুমি অতিষ্ঠ হবে না,,
শুধু মুচকি হাসিটা মুখে আঠার মতো লেগে থাকবে দৃষ্টির ছুঁচালো তীরে !
আমি মুর্ছা যাবো ঐ চোখে !!
লুটিয়ে পড়বো তোমার বুকের পরে...
ভার সইতে পারবে তো !!??
জমে থাকা যতো স্ফুটনাংক অভিমান,, যতো প্রেম
সব,, সব উজার করে দিবো..!
ধারন করতে পারবে তো !!??
জানি, পারবে না।
অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে !
দায়ভার এড়িয়ে প্রেম ভার বড়ো বেমানান
বে আাইনী।
গোধূলির রঙ স্বপ্নদেখে আকাশ কুসুম দুরাশার ,
বিচিত্র মন বিচিত্র সব অলীক দৃশ্যপট !
সবটাই জলরঙে আঁকা জলছবি ।।