a 'খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই'-রিজভী
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

'খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই'-রিজভী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ০৫:২৭
'খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই'-রিজভী

ফাইল ছবিঃ রুহুল কবির রিজভী

সুচিকিৎসা খালেদা জিয়ার নাগরিক অধিকার মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। সুচিকিৎসা তার ( খালেদা জিয়া ) নাগরিক অধিকার, মৌলিক অধিকার।

আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কৃষকদল আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, যে ব্যক্তির সুস্থতা কামনায় আজ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে সেই মহান ব্যক্তিটি আমাদের ছাত্র জীবন থেকে প্রেরণা যুগিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করতে হয়, দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে কীভাবে দেশকে পরিচালনা করতে হয়, সে অদম্য দৃষ্টান্ত তিনি দেখিয়েছেন। তার নাম দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। অসুস্থ থাকার পরও দেশের মানুষের প্রতি যার প্রতিশ্রুতি অঙ্গীকার থেকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে কৃষকদলের সহ-সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম-সম্পাদক টি এস আইয়ুব, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

যশোরের আওয়ামী জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে: ওবায়দুল কাদের


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ০১:৩৭
যশোরের আওয়ামী জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি

যশোরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা স্মরণকালের ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সন্ধ্যায় যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামের জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পনিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।

জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি তার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, নেত্রীর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবেন। জনগণের জন্য তিনি কী করেছেন, কী করবেন, তার স্বপ্ন কী- মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা নিয়ে কথা বলবেন তিনি। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

দারিদ্র্যের কষাঘাতে মৃত্যু যেন না হয়!


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৩
দারিদ্র্যের কষাঘাতে মৃত্যু যেন না হয়

ফাইল ছবি

কান্নাভেজা চোখে বসেছিল তখন সবাই। হ্যাঁ করোনা আছে। তাই বলে পেটের ক্ষুধা যে লক ডাউন মেনে চলতে পারেনা। রাজধানী ঢাকা শহরের কামরাঙ্গীর চর এলাকায় সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রম যারা করে তাদের মধ্যে রিকশাওয়ালাদের কথা না বললেই নয়। কেউ কেউ তো আবার সারাদিন রিক্সা চালানোর পরে রাতে যোগ দেয় ভিন্ন  কিছু শ্রমজীবীদের সাথে। গ্রামে বড় পরিবারের ঘানি টানতে টানতে হাড়-পাঁজর এক করা পরিশ্রম তাদের। 

সপ্তাহ জুড়ে লকডাউনে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন যেমন থেমে থাকেনি, প্রয়োজন অপ্রয়োজনে অনেকেরই বাইরে যাওয়া ও থেমে থাকেনি। কিন্তু আর যাই হোক তিন বেলা খাবারের নিশ্চয়তা তো ছিল। যখন পেটের দায়ে করোনা মহামারীর এত বাজে অবস্থা কে তুচ্ছ করেই ঘর থেকে বের হতে হলো অমান্য করতে হলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা, তখন তা অবশ্যই ছোট কোনো বিষয় নয়!

ঘরে স্ত্রী সন্তান যখন ক্ষুধায় কাতর তখন কাজ না করে কি করে বসে থাকা যায় ঘরে? এমন আরও অনেক অভিব্যক্তি নিয়েই রোজের টাকা আনতে বের হতে হয় ঘর থেকে। পুলিশি তৎপরতা এবং জরিমানার ভয় তো আছেই। কিন্তু পেট তো তা মানে না।

অন্তত তিন, চারটে ক্ষেপ চাই। একশ টাকা রিকাশার জমা, একশ টাকা থাকার খরচ আর একশ টাকা কিছু খাবারের জন্য হলেও।

পড়াশোনা না থাকায় বাচ্চা কাচ্চাদের মাস শেষে পাঁচশ টাকার চিন্তা টা না হয় নাই-বা করলাম। সামনে ঈদ বাড়িতে বাবা-মায়ের জন্য কিছুতো পাঠাতে হবে। গত বছরে না বাড়িতেই ছিলাম সবাই দেখেছে কাজ নাই, টাকা নাই, তবু  ঈদ চলে গেছে।কিন্তু এবার আশায় আছে সবাই।

একথা ভাবতেই কান্না করছিলেন তারা। অপেক্ষা ছিলো সার্জন যদি একটু মায়া করে রিকশাটা ছেড়ে দেয় অন্তত আজকের খাবারের  টাকাটা জোগাড় করার সুযোগ হতো।
জরিমানা দেওয়ার পয়সা তো নেই। সে কথা বলে লাভও নেই। লাঠির বারি চারটা দিলেও চলবে। কিন্তু খাবার ছাড়া যে ঘরে যাওয়া যাবে না।

চোখের সামনেই রিকশাটা উল্টো করে রেখে বসে আছেন তারা। হ্যাঁ সব রিকশাই যে ধরছে এমন না। যারা বসে আছে তারা কপাল চাপড়ে ভাবছে কি দেখে ঘর থেকে বের হয়েছি আজ।
অপেক্ষার প্রহর যেন দীর্ঘ হয়। বেলা ৯ টা থেকে আটকে আছে। সময় যেন পার হচ্ছে না কোনোভাবেই। সেহেরীতে পান্তা ভাতের আয়োজন হলেও চলবে। রোজার মাস সারাদিন না খেয়ে চালিয়ে দিলেও সন্ধ্যায় ইফতার আয়োজন করতে না পারলে বাচ্চা গুলোর চোখের দিকে তাকানো যায় না।

গত বছরের লুঙ্গিগুলো এ বছর পরা যাছে না। নতুন শাড়ী দিতে না পারলেও অন্তত একটা বোরখা কিনে যে দিতেই হবে। বাচ্চার জন্য একটা নতুন জামা আর নামাজ পড়ার জন্য একটু আয়োজন।

এরকম হাজারো স্বপ্ন আর ভাবনাগুলো যেন চোখের সামনে মাটি চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া উপায় নাই। তবে কি দরিদ্রের ঘরে জন্ম নেওয়া পাপের ফল এটা?

এ লক ডাউন যদি ঈদ অবধি চলে কেমন করে কি হবে? এসব ভাবনা বাদ দিয়েই বার বার সার্জন এর কাছে গিয়ে চলছে আকুতি মিনতি।

অবশেষে বেলা ১২ টার ঠিক কিছু আগে যখন ছাড়া হলো যেন কান্না চোখের একটুখানি স্বস্তি এলো। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে একটুখানি পেটের চাহিদা মেটাবার চেষ্টা করার জন্য আবার নামলো রাস্তায়।

ত্রাণের অপেক্ষায় যদিও মনে কিছুটা ভরসা আসে, তবে পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কাও জাগে মনে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি