a
ড. এ কে এম রফিক আহাম্মেদ
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. এ কে এম রফিক আহাম্মেদ মারণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তে মারা গেছেন। আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভোর ৪টা ১৪ মিনিটে তিনি মারা যান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পিআরও মো. রিয়াজুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
ড. এ কে এম রফিক আহাম্মেদ ২০১৯ সালের ২২ মে মহাপরিচালক হিসেবে পরিবেশ অধিদফতরে যোগদান করেন। ড. আহাম্মেদ ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন এবং গত ২৭ বছরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে তিনি দুবাইয়ের বাংলাদেশের কনসুলেট জেনারেলের বাণিজ্যিক পরামর্শদাতা হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন।
এ ছাড়া তিনি তৎকালীন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব এবং মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন। ড. আহাম্মেদ ২০১৪ সালে পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন) হিসেবে পরিবেশ অধিদফতরেও কাজ করেছিলেন।
ড. এ কে এম রফিক আহাম্মেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক (অনার্স) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জেয়াদ আল মালুমের ভাগিনী অ্যাডভোকেট মাকসুদা আক্তার লাইলী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৫ মে রাতে স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জেয়াদ আল মালুমকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ ও জটিলতা ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনি জামায়াতে ইসলামির সাবেক আমির গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
জেয়াদ আল মালুমের টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার করোটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। সে সময় জেয়াদ আল মালুম ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রং চটা, জরাজীর্ণ, লক্কড়ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ রবিবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ব্যাটারি ও মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের কারণে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যাটারি ও মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ অবস্থায় ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি ও মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি- হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতদিন