a
ফাইল ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের স্টেশন রোড এলাকায় নান্টু রায় (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
রোববার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্টেশন রোড এলাকার চন্দ্রিঁমা হোটেলের গলিতে এ ঘটনা ঘটে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার পর আহত নান্টু রায়কে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আহত নান্টু রায়ের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।
আহত ব্যবসায়ী নান্টু রায় শহরের কাজীপাড়া এলাকার মহাপ্রভু রায়ের ছেলে। তিনি আবুল খায়ের কোম্পানির স্টার শীপের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল খায়ের কোম্পানির রিজিওনাল অফিসার লিটন পাল জানান, রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে ব্যবসায়ী নান্টু রায় স্টেশন রোড এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে শহরের কাজীপাড়া এলাকায় তার বাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চন্দ্রিঁমা হোটেলের গলি দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ করে নান্টু রায়ের পেছন থেকে চার পাঁচ জনের একটি গ্রূপ তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মাথায় আঘাত করলে নান্টু রায় সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
আহত নান্টু রায় জানান, তার সাথে থাকা ৬ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইকারীরা ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। ছিনতাইকারীরা প্রত্যেকেই মুখোশ পড়া অবস্থায় ছিল ফলে নান্টু রায় কাউকেই চিনতে পারেননি বলেও তিনি জানান।
আহত নান্টু রায়কে তার স্বজনরা মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত ব্যবসায়ীর চাচাতো ভাই উত্তম রায় জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় নান্টু রায়কে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত নান্টু রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন এবং তার স্বজনরা সেই রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফুল রহমান হিমেল জানান, মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানু্ল ইসলাম জানান, ছিনতাইয়ের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
ফাইল ছবি
রাজধানীর গ্রিন রোডে আরএস টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ১৪ তলা ভবনের পঞ্চম তলাতে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফায়ার ফাইটার আবদুল মোমেন গণমাধ্যমকে জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ৪টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
তিনি জানান, কীভাবে আগুন লাগে তা এখনও জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
ঢাকায় গণপরিবহনের তীব্র সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ৬০টি বাস নামাচ্ছে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দেওয়া সংস্থাটির বাস এবার রাস্তায় সাধারণ যাত্রী চলাচলের জন্য নামানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এসব বাস রাস্তায় নামাচ্ছি।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকার রাস্তায় বিআরটিসির ৩৬টি ডাবল ডেকার বাস ইতোমধ্যে নামানো হয়েছে। রোববার (৪ এপ্রিল) আরও ২৪টি বাস নামানো হবে। সব মিলিয়ে ৬০টি বাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিআরটিসি দফতর থেকে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা এসেছে। এর মধ্যে একটি হলো গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করতে হবে। রাজধানীতে বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নিয়ম চালু হওয়ায় চরম সংকটে যাত্রীরা। বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেওয়া বিআরটিসির বাসগুলো গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহার করা হবে।