a
ফাইল ছবি
করোনার (কোভিড-১৯) প্রকোপের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম) শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ স্থগিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এর আগে গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল।
গতকালের আদেশে বলা হয়েছে, ‘দেশে করোনাভাইরাস মহামারির বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হলো।’
ফাইল ছবি
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে আজ শিক্ষার্থী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সোমবার দুপুর ২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় একই জায়গায় হবে মহানগরী ও জেলাগুলোর সদর উপজেলা পর্যায়ের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
স্কুলে ভর্তির এ আবেদন প্রক্রিয়া গত ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে আজ। ভর্তির যাবতীয় কাজ শেষ করা হবে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।
এবারও বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হয়নি। সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকে (https://gsa.teletalk.com.bd) আবেদন করতে হয়েছে। সে জন্য ১১০ টাকা আবেদন ফি দিতে হয়েছে টেলিটক প্রি-পেইড নম্বর থেকে।
এবার সারা দেশে ৫৫০টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। এসব আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯ জন। ২ হাজার ৮৫২টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া হবে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০টি আসনে। এসব আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩ জন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি: মুফতি ওয়াক্কাস
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি ও সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। বুধবার (৩১ মার্চ) ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুফতি ওয়াক্কাস বেশ কিছুদিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর।
তিনি যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন থেকে ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী (মটরগাড়ী প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে নির্বাচিত হন। পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ১৯৮৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বিভিন্ন কারণে মন্ত্রিত্বের পদে বেশি দিন থাকা হয়নি। এরপর তিনি এরশাদ সরকারের শেষদিন পর্যন্ত জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এরশাদ সরকারের পতনের পর মুফতি ওয়াক্কাস আবার সক্রিয় হন জমিয়তের রাজনীতিতে। পরে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বচনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও পরাজিত হন।
তিনি ২০২০ সালের শেষ দিকে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নিজের নির্বাচনী এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন।