a
ফাইল ছবি
ব্যাপক সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকা নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির।
তালেবানের এক কমান্ডার বলেছেন, পুরেরা আফগানিস্তান এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। সমস্যা সৃষ্টিকারীরা পরাজিত হয়েছে এবং পাঞ্জশির এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জশির উপত্যকা। এলাকাটি উঁচু-নিচু পাহাড়ি ও দুর্গম হওয়ায় অনেকটা সুবিধাজনক স্থানে ছিল তালেবান প্রতিরোধ গোষ্ঠী। উপত্যকাটিতে ঢোকার রাস্তা খুবই সরু। সেখানে কয়েক হাজার তালেবান বিরোধী যোদ্ধা অবস্থান করছিল।
প্রসঙ্গত, এখনো এই অঞ্চলটি এনআরএফের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আফগান প্রতিরোধের নায়ক বলে পরিচিত আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ।
আহমদ শাহ মাসুদ ছিলেন একজন শক্তিশালী গেরিলা কমান্ডার। যিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ১৯৯০ -এর দশকে বিদ্রোহী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগান সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তালেবান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরও ২০০১ সালে তাকে হত্যার আগ পর্যন্ত তালেবান শাসনের বিরুদ্ধে তিনিই ছিলেন প্রধান বিরোধী কমান্ডার।
ফাইল ফটো
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই আত্মগোপনে গেছেন দেশটির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। এবার আত্মগোপনে থেকে তারা দেশটির বৈধ সরকার হিসেবে ঘোষণা করেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি রবিবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করে, অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে থাকা এসব রাজনীতিবিদরা ঘোষণা করেন, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তারা সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
প্রবাসী সরকারের ন্যায় কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ) নামে গঠন করা হয়েছে এই গোপন সরকার। এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান। ফেসবুক বার্তায় সে জানায়, ‘এটা এমন একটা সময় যখন অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের লড়াই করার ক্ষমতার পরীক্ষা হচ্ছে। অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও এখন অবশ্যই আমাদের হাতে হাত ধরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
সিআরপিএইচকে একটি অবৈধ গ্রুপ বলে জানিয়েছে জান্তা সরকার। তারা সতর্ক করেছে, এই কমিটিকে যারা সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে। মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী দাবি করলেও তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। পর্যবেক্ষকগণ জানান, ওই নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি।
গত সপ্তাহেই অং সান সু চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয় লাখ ডলার আর ১১ কেজি স্বর্ণ গ্রহণের অভিযোগ আনলেও এর পক্ষে কোন প্রমাণ হাজির করা হয়নি। এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এনএলডি আইন প্রণেতারা। এদিকে মিয়ানমারে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত আরও ১২ জন নিহত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়েছে
ফাইল ছবি
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট এশিয়ার দেশ জাপানের হিরোশিমা শহরে প্রথম পরমাণু বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় হিরোশিমা শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে নিহত হয় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। এর তিনদিন পর জাপানের নাগাসাকি শহরে দ্বিতীয় পরমাণু বোমা হামলা চালায় আমেরিকা। দ্বিতীয় বোমা হামলায় আরও ৭০ হাজার মানুষ জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
হিরোশিমা শহরের পরমাণু বোমায় ১৫ হাজার এনটিএন ছিল। ওই বোমা বিস্ফোরণের সময় ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল ৪ হাজার ডিগ্রি। ওই দুই শহরে বোমা হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া জাপানিরা বেশিরভাগই থাইরয়েড, ফুসফুস ক্যান্সারসহ আরও বিভিন্ন রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
মানবতাবিরোধী এই হামলার জন্য ওয়াশিংটন ক্ষম চাইবে না বলে জানিয়েছে আমেরিকা।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় জি-সেভেনের বৈঠকে অংশ নিতে জাপান সফরে যাবেন। তবে তিনি হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে বোমা হামলার জন্য টোকিওর কাছে ক্ষমা চাইবেন না।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেন, হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল পার্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার বিষয়ে বাইডেন কোনও বিবৃতিও দেবেন না বলে জানা গেছে।
জাপান এ বছর জি-সেভেন সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবে। সূত্র: ডেইলি মেইল, ফক্স নিউজ, তাস