a
ফাইল ছবি । বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আজ রবিবার ভোরে শরীরে তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিকালে মেডিকেল বোর্ড পর্যালোচনা বৈঠক করে প্যাথলজি টেস্ট দিয়েছে। এর রেজাল্ট আজই আসবে।
পরীক্ষার পরই বুঝা যাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের এই নতুন উপসর্গ কেন দেখা দিল। আজ মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের প্যারামিটারসগুলো উঠানামা করছে। চিকিৎসকরা সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছেন। জ্বর আসার পর একাধিক প্যাথলজি টেস্ট করানো হয়েছে। এর রেজাল্ট আসলে বোঝা যাবে এটা স্বাভাবিক জ্বর, নাকি অন্য কিছু। জ্বর স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ছিল, মেডিকেল বোর্ড এর কারণ খুঁজছে।
চিকিৎসক আরও বলেন, খালেদা জিয়ার হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আর ডায়বেটিসের মাত্রা ১১-১৩ এর মধ্যে আছে। হিমোগ্লোবিন বাড়ছে না।
মেডিকেল বোর্ডের আরেকজন সদস্য জানান, পোস্ট কোভিডের চিকিৎসা করতে গিয়ে অন্য রোগের চিকিৎসাগুলো এখনো সমানভাবে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন সেগুলো সামনে আসছে। এজন্যই আমরা বলছি, হাইয়ার সেন্টারে ট্রিটমেন্ট নেওয়া দরকার। যেখানে মাল্টিপল ডিজিসের ট্রিটমেন্ট পসিবল। এখন মূলত সমস্যা কিনডি ও রক্তের হিমোগ্লোবিনে।
কিনডির সমস্যায় খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। কিডনির ক্রিয়েটিনিন কয়েকদিন ধরেই বডার লাইনক্রস করছে। এর মাত্রা প্রায় ২ মিলিগ্রাম। এটা কেন কমছে না, এজন্যই মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। হার্টেও সমস্যা আছে।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ৬ দিন পর ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে জরুরিভাবে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফাইল ছবি
দেশে চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে ২৩০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুনসহ সারা দেশে ২৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
করোনার সংক্রমণ বাড়ায় চলমান বিসিএস পরীক্ষা থেকে শুরু করে সকল পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিতের পর এবার নন-ক্যাডার আরও দু’টি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের আগামী ১০ এপ্রিলের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, উক্ত পদের লিখিত পরীক্ষার পুননির্ধারিত তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়াও পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তরের ২য় শ্রেণীর (১০ম গ্রেড) ফটো টেকনিশিয়ান পদে প্রার্থীদের ৬ এপ্রিলের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) মো: নজরুল ইসলাম জানান, কোভিড-১৯ উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এ লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ও সময় পরে জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার ৪০তম বিসিএসের চলমান মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন।
পিএসসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে অফিস পরিচালনা করছে পিএসসি। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে পরীক্ষার বিষয়াদি পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।