a
ফাইল ছবি
একই দেশের দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের উত্তর-পূর্বের আসাম-মিজোরাম সীমান্তে হঠাৎ করেই এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও অন্তত অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মিজোরামের সঙ্গে প্রায় ১৬৪ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগাভাগি করেছে আসাম। এই সীমান্ত নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে দুই রাজ্যের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এই প্রথমবারের মতো দুই রাজ্যের পুলিশ সদস্যরা সরাসরি বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লো। গোলাগুলির ঘটনায় নিহত পুলিশ অফিসারদের সবাই আসাম রাজ্যের।
এদিকে দুই রাজ্যের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর রাজ্যদুটির প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। পরস্পরের দাবি, অপরপক্ষই এই উত্তেজনাকে উস্কে দিয়েছে।
১৯৯৪ সাল থেকে ফেডারেল সরকার রাজ্যগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই পদক্ষেপের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এ ঘটনার পর সোমবার আসাম ও মিজোরামের প্রধানমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব সারমা এবং জোরামথঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ সময় তিনি দুজনকেই যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করে সীমান্তে শান্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ফাইল ফটো: মিয়ানমারে বিক্ষোভকারী জনগণ
মিয়ানমারের জান্তা সরকার একজন লবিস্টকে নিয়োগ দিয়েছে ‘আসল পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার জন্য সহায়তা করতে’। এজন্য জান্তা সরকার ইসরায়েলি-কানাডিয়ান লাবিস্টকে দেবে ২ মিলিয়ন ডলার।
লবিস্ট আরি বেন মেনাশ ও তার প্রতিষ্ঠান ডিকেন্স অ্যান্ড ম্যাডসন কানাডাকে মিয়ানমারের জেনারেলরা নিয়োগ দিয়েছে। চুক্তিতে তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের কাছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ হয়ে তদবির করবেন।
এই প্রতিষ্ঠানটি মন্ট্রিলভিত্তিক ‘মিয়ানমারের উন্নয়ন উপযোগী নীতিমালা তৈরি ও বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করবে’।
বেন মেনাস জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ও চীনের কাছ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে মিয়ানমারের জেনারেলরা তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। ২০১৭ সালে দমন-পীড়নের ফলে যেসব রোহিঙ্গারা দেশটি ছেড়ে পালিয়ে এসেছিল তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে চায় মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তারা।
এশিয়ার অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জন সিফটন বলেছেন, এটি অত্যন্ত অবিশ্বাস্য যে, বেন মেনাসে যে প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রে উপস্থাপন করবেন সেটি তিনি তাদের বোঝাতে পারবেন।
মিয়া টুন ও অন্যান্য শীর্ষ জেনারেলদের ওপর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এবং কানাডিয়ান সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। হিসাব অনুযায়ী, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানটিকে জান্তা সরকার বৈধভাবে তখনই অর্থ দিতে পারবে যখন কানাডিয়ান সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের সাবেক সিনিয়র নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক পরামর্শদাতা পিটার কুকিক বলেছেন, অনুমতি ছাড়াই বেন মেনাসে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দলগুলিকে যে সেবা সরবরাহ করছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের আইনকে লঙ্ঘন করে।
এ বিষয়ে বেন মেনাসে জানিয়েছেন, এই অর্থ গ্রহণের জন্য ট্রেজারিস অফিস অফ ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোলস (ওএফএসি) এবং কানাডিয়ান সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে বলে তিনি আইনি পরামর্শ পেয়েছেন। তবে মিয়ানমারের জান্তার সরকারের পক্ষে তদবির করলে এটি আইন ভঙ্গ করবে না তিনি জানান।
ফাইল ছবি
মুসলমানদের জন্য পবিত্র রমজানে মাস উপলক্ষে সাবেক জার্মান তারকা মেসুত ওজিল সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খাদ্য সহায়তা দেবে বলে তুর্কিসংবাদ মাধ্যম নিশ্চিত করেছে। ওজিলের খাদ্য সহায়তার অংশ বিশেষ বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের খাদ্য সহায়তা দেবেন সাবেক বনে যাওয়া জার্মানির তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিল।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে দুস্থ ও অসহায় শিশুদের জন্য তার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ১ লাখ ২০ হাজার ৭৭০ ডলার দান করেছেন জার্মান মিডফিল্ডার ওজিল।
এই অর্থ খরচ করা হবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ইফতারের খাবার কেনার জন্য। যার একটি অংশ আসবে বাংলাদেশেও। ‘দ্য তার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’ জানিয়েছে, ৭৫০টি খাবারের পার্সেল আসবে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা মুসলিম শিশুদের হাতে।এ ছাড়া তুরস্কে ২৮০০ জনের মাঝে তুলে দেওয়া হবে খাবার। পাশাপাশি ১ হাজার খাবারের প্যাকেট পাঠানো হবে ইন্দোনেশিয়ায়।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ওজিলের পাঠানো ইফতারের খাবার সিরিয়ার ইদলিবে এবং সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতেও পাঠানো হবে।
তুর্কিশ রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট ড. ক্রেম কিনিক বলেন, অনেক বছর ধরে ওজিল বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর কাজ করছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
ওজিল তুর্কিশ-জার্মান পেশাদার ফুটবলার। তিনি আগে আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলতেন।
বর্তমানে ওজিল তুর্কির একটি ক্লাবে খেলছেন পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের নির্যাতিত নিষ্পেষিত শিশুদের পাশে প্রায়ই দেখা যায় এই তারকাকে।