a
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ফাইল ছবি
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতে মুক্তির পথ দেখায়।
রোববার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে শনিবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনি। সিয়াম সাধনার মাসের এ রাতে মানবজাতির পথনির্দেশক পবিত্র আল কোরআন পৃথিবীতে নাযিল হয়। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতে মুক্তির পথ দেখায়।
শেখ হাসিনা বলেন, মহান আল্লাহতা’য়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্রতম এ রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্যলাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফিরাত।
বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন- আমরা সবাই মহিমান্বিত রজনিতে মহান আল্লাহতা’য়ালার দরবারে বিশেষভাবে ইবাদত ও দোয়া প্রার্থনা করি। আল্লাহপাক যেন বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেন।
প্রধানমন্ত্রী পবিত্র রজনিতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম-জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন
ফাইল ছবি
আগামীকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া আপাতত বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে কোডিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের প্রথম ডোজ প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রসমূহকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে এ প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
ফাইল ছবি
ইসরায়েলের ওপর ইরানের সম্ভাব্য হামলার জবাবে উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের এলাকায় অবস্থিত মার্কিন কোনও ঘাঁটি ব্যবহার না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, উপসাগরীয় এলাকার মার্কিন মিত্ররা তাদের ভূখণ্ডে থাকা মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরান কিংবা ইরানের মিত্রদের ওপর হামলা না চালাতে আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তেজনা তীব্র হতে থাকায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও কুয়েত তেল-সমৃদ্ধ উপদ্বীপজুড়ে মোতায়েন হাজার হাজার মার্কিন সৈন্যের উপস্থিতির অনুমোদন-সংশ্লিষ্ট চুক্তিগুলো নিয়েও বর্তমানে প্রশ্ন তুলছে। ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক মার্কিন হামলার ক্ষেত্রে এসব উপসাগরীয় দেশ তাদের আকাশসীমা দিয়ে মার্কিন বিমান উড্ডয়ন প্রতিরোধ করার পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে।
উপসাগরে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র দশকের পর দশক ধরে বিনিয়োগ করছে। এসব ঘাঁটি ইরানের খুব কাছে হওয়ায় এগুলো থেকে সবচেয়ে সহজে ইরানে হামলা চালাতে পারবে আমেরিকা।
কিন্তু এ ব্যাপারে উপসাগরীয় দেশগুলোর অনীহা বাইডেন প্রশাসনের প্রস্তুতি জটিল করে তুলছে। বর্তমান এবং সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা মনে করেন যে ইসরায়েলের ওপর ইরান অতি দ্রুত সময়ে হামলা চালাতে পারে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা মিডল ইস্ট মনিটরকে বলেন, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে ইরানের প্রত্যাঘাত আসন্ন। ইরান তার ভূখণ্ড থেকে সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে। দ্বিতীয় বিকল্প হল- তারা তাদের প্রক্সিদের দিয়ে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাতে পারে। এক্ষেত্রে ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া, ইয়েমেনের হুথি এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
তৃতীয় বিকল্প হতে পারে দুটির সমন্বয়ে হামলা। হুথিরা ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভাঙতে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন আশঙ্কা করছে, বহুমুখী হামলা হলে এসব প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
ইরান মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলা চালাতে পারে, কিংবা পশ্চিম তীর বা গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর হামলা চালাতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আশ্বাস দিয়েছেন ইসরায়েলি নিরাপত্তার প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতি ‘লৌহবর্মভূষিত’। তবে বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলকে কোন ধরনের সমর্থন দেওয়া হবে তা নিয়ে বাইডেন প্রশাসন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৪০ হাজার সৈন্য রয়েছে। এদের বেশির ভাগ রয়েছে তেল-সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোতে। বিভিন্ন কৌশলগত বিমান এবং নৌঘাঁটিতে রয়েছে তারা। সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান এয়ারবেজে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭৬তম এয়ার এক্সপেডিশনারি উইং রয়েছে। এখান থেকে এফ-১৬ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কাজ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল ধাফরা বিমানঘাঁটিতে রয়েছে এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান।
কুয়েতের আলি আল-সালেম বিমান ঘাঁটিতে রয়েছে ৩৮৬তম এয়ার এক্সপিটিশনারি উইং। কাতারের এআই উদিদ এয়ারবেজে রয়েছে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের আঞ্চলিক সদরদফতর। এখানে কয়েকজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এখনও সেখানে আছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেনি। বাহরাইনে আছে প্রায় ৯ হাজার মার্কিন সৈন্য। ইউএস নেভাল ফোর্সেস সেন্ট্রাল কমান্ড এবং ইউএস ফিফথ ফ্লিটের সদরদফরতও সেখানে। ওমানও মার্কিন সামরিক ওভারফ্লাইট এবং পোর্ট কল অনুমোদন করে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই