a উন্নয়ন ভাবনা: মমতা
ঢাকা রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

উন্নয়ন ভাবনা: মমতা


মমতা,ফরিদপুর প্রতিনিধি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১, ১১:৫৫
উন্নয়ন ভাবনা

ফাইল ছবি । মমতা

উন্নয়ন একটি বহুমাত্রিক  গতিশীলময় ইতিবাচক পরিবর্তন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন বিষয়ক ভাবনা ও চিন্তাধারা। তথাকথিত, গতানুগতিক চিন্তাধারা থেকে আরো বেশি উদ্যোগী হওয়া,  উন্নত পরিকল্পনা, কাজে উদ্যোমতা বাড়ানো, সঠিক সময় নির্ধারণ। 

সঠিক শ্রম, দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ, যাচাইকৃত কাচামাল, সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতামুলক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন জনবলের সমষ্ঠিগত ভাবনার বহিঃপ্রকাশ হল উন্নয়নের মুল ধারা। তবে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান বিশেষে উন্নয়ন ভাবনা কিছুটা ভিন্ন ভিন্নরূপে প্রকাশ পেতে পারে। যেমন- সামাজিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক  উন্নয়ন, স্বাংস্কৃতিক উন্নয়ন, ভৌগলিক উন্নয়ন, যোগাযোগ  ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রভৃতি। 

আমার বিষয় হচ্ছে ক্ষুদ্র  শিল্প/ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিষয়ক উন্নয়ন ভাবনা।  তবে কাঙ্খিত  উন্নয়নের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু বাধা বা প্রতিবন্ধকতা। যেমন উপযুক্ত খাত নির্বাচন না করা, সুবিধাজনক স্হান না পাওয়া, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, বাজার তৈরী করতে না পারা,পরশ্রী/ পরপুরুষ কাতরতা, ব্যাংক ঋণের জটিলতা প্রভৃতি। 

তবে একথা সত্য যে যদি আপনার সাহসিকতা, উদ্যোমতা ও উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার  সিদ্ধান্ত গ্রহণ সঠিক থাকে, তবে আপনি নিজেই স্বস্হান থেকে স্হানীয় বাজারভিত্তিক স্বল্প মুলধনে একজন ছোটখাট উদ্যোক্তা হতেই পারেন। 

বেকারত্ব  দূর করতে পারেন সমাজের কিছু মানুষের, হাসি ফোটাতে পারেন কিছু পারিবারের, অংশীদার হতে পারেন দেশ বিনির্মাণে। কেননা শুণ্য থেকেই পুন্য সংখ্যার সৃষ্টি হয়। আমি শুরু করেছি ব্লক,বাটিক, নকশী-কাথা, পাথর পুঁতি  ও পাট দিয়ে- আপনিও এগিয়ে আসুন আপনার সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেমের টানে। 

পরিকল্পিত সঠিক শ্রম সততা সাহসিকতার এ উদ্যোগ ইনশাআল্লাহ আপনার আমার আমাদের সফলতা এনে দেবেই। বাবুই পাখির কথা ভাবুন কিভাবে বুদ্ধি আর শ্রম দিয়ে অন্যের গাছের পাতা দিয়ে সুদক্ষ কারিগরি জ্ঞানের সহায়তায় নিজের শিল্প কর্মের পরিচয় দিয়েছেন। তবে আমি আপনি তো মানুষ, পাখি পারলে আমরা কেন পারবোনা? এই আত্মবিশ্বাসে অগ্রসর করুন নিজেকে, নতুনভাবে তুলে ধরতে কথা দিলাম আপনিও হবেন একজন সফল উদ্যোক্তা। লোভ, আত্ন-অহমিকা, অতীত ইতিহাস, সফলতার মুল প্রতিবন্ধকতা এগুলো বর্জন করে চলুন এগিয়ে যাই কর্মক্ষেত্রে নতুন ধ্যাণ-ধারণায়। তবেই হতে পারি আপনি, আমি, আমরা সফল একজন সেলেব্রেটি।

লেখক: মমতা- মানবাধিকার কর্মী ও নারী উদ্যোক্তা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি


কর্ণেল আকরাম, লেখক ও কলামিস্ট: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:১৬
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি


নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সম্পর্ক সঠিক কূটনৈতিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। তবে এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কখনোই স্বাভাবিক ছিল না, এবং এর পেছনে কিছু সুস্পষ্ট কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি ভিন্ন ধারায় বিকশিত হয়েছে, যা সাধারণ কূটনীতির রীতিনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  

স্বাধীনতার পর থেকে যে ধরণের সম্পর্ক এই দুই দেশের মধ্যে গড়ে উঠেছে, তা অনন্য। এটি সাধারণত ভারত সরকারের সাথে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। যেখানে সাধারণভাবে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথা, সেখানে এই সম্পর্ক মূলত একটি দলের সাথে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। গত পাঁচ দশকে ভারত কখনোই প্রকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ দেখায়নি। বরং, তারা সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বড় ভাইয়ের মতো আচরণ করেছে।  

বর্তমান সম্পর্কের শিকড় ইতিহাসে নিহিত। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো। আমরা, মুসলমানরা, গর্ব ও সফলতার সঙ্গে সাতশ বছরের বেশি সময় ধরে ভারত শাসন করেছি। আজকের ভারতীয় ঐতিহ্যের অনেকটাই মুসলিম শাসকদের অবদান। কিন্তু ভারতীয় নেতৃত্ব কখনো মুসলমানদের এই গৌরবময় ইতিহাস মেনে নিতে পারেনি। তারা মুসলমানদের বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং ভারতের সমাজ থেকে মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।  

ব্রিটিশ শাসনকে হিন্দু সম্প্রদায় শুধু শাসকের পরিবর্তন হিসেবে দেখেছে এবং শুরু থেকেই ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়েছিল। তারা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। তবে মুসলিম লীগ ও তার নেতৃত্বের কারণে তারা তাদের উদ্দেশ্যে সফল হতে পারেনি।  

১৯৪৭ সালে ভারতের বিভক্তি নিয়ে তৎকালীন হিন্দু নেতৃত্ব, বিশেষত জওহরলাল নেহেরু, সন্তুষ্ট ছিলেন না। পাকিস্তানের জন্মের দিন থেকেই তারা এর বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেন।  

১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ তাদের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেয়। তারা সময় নষ্ট না করে পাকিস্তানকে ভাঙার পরিকল্পনায় সফল হয়।  

আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয় এবং ভারত একটি ভালো বন্ধুর মুখোশে হাজির হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পরপরই তাদের প্রকৃত রূপ প্রকাশ পায়, যা ছিল লুটেরার মতো।  

ভারত কখনোই প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি; তারা সবসময় বন্ধুত্বের ভান করে কূটনৈতিক সম্পর্ককে একতরফাভাবে পরিচালনা করেছে। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত কৌশলে বাংলাদেশকে ব্ল্যাকমেইল করেছে এবং বড় ভাইয়ের মতো প্রভাব বিস্তার করেছে।  

তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ভারত আমাদের চিরস্থায়ী প্রতিবেশী। আমাদের তাদের সঙ্গে ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, তবে সেটি হওয়া উচিত ভারসাম্যপূর্ণ এবং উভয়ের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মানজনক।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সঠিক পথে ফিরে এসেছি। নতুন সম্পর্কটি পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে এবং উভয় দেশের মধ্যে ভালো প্রতিবেশীর সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সূচিত করবে।  


প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলী
সম্পাদক, সামরিক ইতিহাস জার্নাল ও আইনের অধ্যাপক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

'খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই'-রিজভী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ০৫:২৭
'খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই'-রিজভী

ফাইল ছবিঃ রুহুল কবির রিজভী

সুচিকিৎসা খালেদা জিয়ার নাগরিক অধিকার মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। সুচিকিৎসা তার ( খালেদা জিয়া ) নাগরিক অধিকার, মৌলিক অধিকার।

আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কৃষকদল আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, যে ব্যক্তির সুস্থতা কামনায় আজ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে সেই মহান ব্যক্তিটি আমাদের ছাত্র জীবন থেকে প্রেরণা যুগিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করতে হয়, দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে কীভাবে দেশকে পরিচালনা করতে হয়, সে অদম্য দৃষ্টান্ত তিনি দেখিয়েছেন। তার নাম দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। অসুস্থ থাকার পরও দেশের মানুষের প্রতি যার প্রতিশ্রুতি অঙ্গীকার থেকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে কৃষকদলের সহ-সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম-সম্পাদক টি এস আইয়ুব, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - মতামত