a জার্মানিতে শুক্রবার মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ার অনুমতি
ঢাকা রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জার্মানিতে শুক্রবার মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ার অনুমতি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১, ০৯:৪৬
জার্মানিতে শুক্রবার মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ার অনুমতি

ফাইল ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যে জার্মানির কোলন শহরের মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের অনুরোধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

কেবল শুক্রবার জুমার নামাজের সময়টাতে মাইকে আজান দেওয়া যাবে এবং তাও ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। খবর প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিখ্যাত এ শহরটির মেয়র হেনরিয়েত্তে রেকে বলেন, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, শহরে অনেক মুসলিম বাসিন্দা আছেন এবং তারা আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বৈষম্য দূর করা এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ানোর জন্য জুমার নামাজের আজান মসজিদের মাইকে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

শহরটিতে মোট ৩৫টি মসজিদ রয়েছে। এখন থেকে সবগুলো মসজিদেই জুমার নামাজের আজান দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার (১১ অক্টোবর) এ ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

জিলহজ মাসের পথম ১০ দিন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ


আরাফাত, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ০৭ জুন, ২০২৪, ১২:০২
জিলহজ মাসের পথম ১০ দিন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ

ছবি সংগৃহীত

 

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। যারা সামর্থ্যবান ব্যক্তি তারা হজ ও কোরবানি আদায় করবেন এবং বেশি বেশি নফল রোজা রাখার চেষ্টা করবেন।

এছাড়াও ছোট ছোট অনেক আমল আছে সেদিকে মনোযোগী দেয়ার তাগীদ আছে। জিলহজ মাসে চাঁদ উঠা থেকে শুরু করে ঈদের দিন কোরবানি পূর্ব পর্যন্ত চুল, নখ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আর এসব ছোট ছোট কাজগুলো সম্মানিত হাজিদের হজের কাজগুলোর সাথে সাদৃশ্য পায় বলে এসব ছোট কাজগুলোর মধ্যেই অনেক ফজিলত। তাই এসব ব্যাপারে সকলকে যত্নবান হওয়া উচিত।

হাদীছে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব করা হয়েছে। এই সময়গুলোর মধ্যে কোরবানির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হয়। উল্লেখ্য, শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটার তাগিদ ইসলামে থাকলেও এই সময় সেসব চুল ও নখ কাটারও নিষেধ করা হয়েছে।

এটি মুস্তাহাব একটি আমল। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তির কাছে কোরবানির পশু আছে সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে। (মুসলিম, হাদিস : ৪৯৫৯; আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮২)

মুস্তাহাব এই আমল করার জন্য জিলহজ আগমনের আগেই চুল-নখ কেটে-ছেঁটে পরিপাটি হয়ে থাকা উচিত, যেন পরবর্তী সময়ে বেশি লম্বা হয়ে না যায়।

অপরদিকে, যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয় তারাও আমলটি করতে পারে। হাদিসে বর্ণিত আছে—এই আমলটি তাদের জন্য কোরবানির সমতুল্য।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার প্রতি আজহার (১০ জিলহজ) দিন ঈদ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাকে আল্লাহ তাআলা এই উম্মতের জন্য (ঈদ হিসেবে) নির্ধারণ করেছেন। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করে, (হে আল্লাহর রাসুল) আপনি বলুন, (যদি আমার কোরবানির পশু ক্রয়ের সামর্থ্য না থাকে), কিন্তু আমার কাছে এমন উট বা বকরি থাকে, যার দুধ পান করার জন্য বা মাল বহন করার জন্য তা প্রতিপালন করি। আমি কি তাকে কোরবানি করতে পারি? তিনি বললেন, না; বরং তুমি তোমার মাথার চুল, নখ ও গোঁফ কেটে ফেল এবং নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করো। এটাই আল্লাহর কাছে তোমার কোরবানি। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮০)
 
নারী ও শিশুরাও এই ফজিলতপূর্ণ আমলে শামিল হতে পারে। তাদের আমলের প্রতি পিতা-মাতাগণ উৎসাহিত করতে পারেন। সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেঈদের আমল থেকে এটাই প্রমাণিত হয়। ওলিদ বিন মুসলিম (রহ.) বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন আজলান (রহ.)-কে জিলহজের প্রথম দশকে চুল কাটা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বলেন, আমাকে নাফে (রহ.) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) এক নারীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। ওই নারী জিলহজের প্রথম দশকের ভেতরে তার সন্তানের চুল কেটে দিচ্ছিলেন। তখন তিনি বলেন, যদি ঈদের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, তাহলে অনেক ফজিলত হতো। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৫২০)

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

জবির সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ


সিয়াম, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২, ১১:৪৬
জবির সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ

ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কাজী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোঃ মাজহারুল ইসলাম।

অভিযোগপত্র থেকে জানা, ২৬ জুলাই আনুমানিক সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় মােঃ আনিছুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মনােবিজ্ঞান বিভাগে লাইট এবং ফ্যান, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যান। তিনি বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে বেরিয়ে আসার সময় উক্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর জনাব মােঃ কাজী নূর হােসেন তাকে প্রশ্ন করেন কেন তার রুমের কাজ হয়নি। প্রতিউত্তরে আনিছুর বলেন, কি কাজ সেটা আমি জানিনা। তারপর, কাজী নুর হােসেন বলেন “তাের দপ্তরের দাড়িওয়ালা একটা আছে না,  প্রধান প্রকৌশলীর সাথে ঘুরে, তাকে (মােঃ মাজহাল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ) ধরে নিয়ে এসে উল্টো করে ঝুলিয়ে পাছার ছাল তুলে ফেলব এবং ইলেকট্রিশিয়ান পাঠিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যে কাজ না করে দিলে তাের খবর আছে। আমি যে মেসেজটা দিলাম সেটা তাের প্রধান প্রকৌশলীকে জানিয়ে দিবি।

 মনােবিজ্ঞান বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে একজন সম্মানিত শিক্ষক হয়ে পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকে একজন কর্মকর্তার সাথে মানহানিকর মন্তব্য করায় খুবই মর্মাহত, মানসিক ভাবে বিপর্যন্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে লিখিত অভিযোগে জানান মো মাজহারুল ইসলাম। এমতাবস্থায়, উক্ত ঘটনার প্রতিকার এবং উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

এবিষয়ে মোঃ মাজহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ভিসি স্যার বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে জানিয়েছেন। পূর্বের বিরোধ আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, স্যারের সাথে আমার পূর্বের কোনো বিরোধ নেই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আগামীকাল উভয়পক্ষকে ডেকে বিস্তারিত জানব। অভিযোগ যেহেতু এসেছে সমাধান করে দিব।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি ভিসি স্যার আগামীকাল ১টায় বসে সমাধান করতে চেয়েছেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষার্থী কাজী নূর হোসেন সম্পর্কে বলেন, তিনি আমাদের সাথেও অকারণে রূঢ় ব্যবহার করেন।

এসব বিষয়ে কাজী নূর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি  কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলিং সেন্টারের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ মনে করেন, সকল শিক্ষকদেরকে বিশেষ করে মনোবিজ্ঞানের  শিক্ষকদের আচার ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে যেন তারা রোল মডেল হিসেবে সকলের কাছে অনুকরণীয় হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ধর্ম