a
ফাইল ছবি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যে জার্মানির কোলন শহরের মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের অনুরোধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কেবল শুক্রবার জুমার নামাজের সময়টাতে মাইকে আজান দেওয়া যাবে এবং তাও ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। খবর প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিখ্যাত এ শহরটির মেয়র হেনরিয়েত্তে রেকে বলেন, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, শহরে অনেক মুসলিম বাসিন্দা আছেন এবং তারা আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বৈষম্য দূর করা এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ানোর জন্য জুমার নামাজের আজান মসজিদের মাইকে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
শহরটিতে মোট ৩৫টি মসজিদ রয়েছে। এখন থেকে সবগুলো মসজিদেই জুমার নামাজের আজান দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার (১১ অক্টোবর) এ ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
কুয়েতে ১১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭ দেশের সঙ্গে লড়বেন দুই বাংলাদেশি হাফেজ। তারা হলেন, হাফেজ তাওহিদুল ইসলাম ও হাফেজ আবু রাহাত।
গত বুধবার (১২ অক্টোবর) কুয়েতের ধর্মমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশিকুজ্জামানসহ ১১৭ দেশের রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম আয়োজিত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার দু'জন শিক্ষার্থী দুটি গ্রুপে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। ১১ অক্টোবর সকালে কুয়েতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন হাফেজ তাওহিদুল ইসলাম ও হাফেজ আবু রাহাত। তাদের সঙ্গে আছেন মাদ্রাসার পরিচালক শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী।
কুমিল্লার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাফেজ তাওহিদুল ইসলাম এরই মধ্যে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৭০টি দেশের মধ্যে ১০ম স্থান অধিকার করেন। এছাড়া সিরাজগঞ্জের রমজান আলীর ছেলে হাফেজ আবু রাহাত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২০ পিএইচপি কুরআনের আলোয় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
হাফেজ আবু রাহাত বলেন, আমি দেশের হয়ে কুয়েতে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন বাংলাদেশের লাল সবুজের সম্মান বয়ে আনতে পারি। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী আটক ও হেফাজতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। সেই সঙ্গে এসব ঘটনা দ্রুত পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৪ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। পরে বিজ্ঞপ্তি আকারে তার কথা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
ভলকার তুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন এই কারণে, বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী আটক রয়েছেন। গত অক্টোবর থেকে হেফাজতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আমি যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা করলেও রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই সমস্ত ঘটনার দ্রুত পর্যালোচনার আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার আরও বলেন, বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে হয়রানি করার অভিযোগে আমি এখনো উদ্বিগ্ন। আমি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কথিত গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তদন্তকে উৎসাহিত করছি। সূত্র: ইত্তেফাক