a
ফাইল ছবি
মহামারী করোনার কারনে বাংলাদেশ থেকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে আল্লাহর পবিত্র ঘর কাবাকে স্বচক্ষে দেখা এবং পবিত্র ওমরা ও হজ্ব পালন হতে বঞ্চিত ছিলো অনেকে তাদের জন্য সু খবর এলো অবশেষে। বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি দূতাবাসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে এখন থেকে করোনার টিকা গ্রহণকারীরা সকল পুরুষ মহিলার জন্য ওমরা পালনে আর বাধা নেই। তারা যথাযথ নিয়ম মেনে ওমরা পালন করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে সৌদি আরবের হজ এবং ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুলফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত জানান, বিদেশীদের ক্ষেত্রে ওমরাহ’র আবেদনের সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তির সনদ যুক্ত করতে হবে। তা ছাড়া যেসব দেশে থেকে সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে সেসব দেশের টিকাপ্রাপ্তদের বেলায় সৌদি আরবে পৌঁছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।
আগামীকাল সোমবার থেকেই আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশী ওমরাপালনে যেতে ইচ্ছুক সকলে। সৌদির পক্ষ থেকে বলা হয় বিদেশিদের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬০ হাজার অরে আবেদন নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে সুযোগ দিবে সৌদি আরব।
মহামারী করোনার কারনে এ বছর ও গত বছরে সীমিত পরিসরে অল্প জনবল নিয়ে হজ্ব পালনের অনুমতি ছিল।
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে ১৪ এপ্রিল হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নির্দেশনগুলো হলো-
(ক) মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ
করবেন;
(খ) তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদিমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি
অংশগ্রহণ করবেন;
(গ) জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন;
(ঘ) সম্মানিত মুসল্লিদের পবিত্র রমজানে তিলাওয়াত ও যিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহর
রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করার অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।
সংগৃহীত ছবি
পাকিস্তান সরকার ভারত থেকে চিনি এবং তুলা আমদানির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে এখনও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পাকিস্তান সরকার জনগনের সমালোচনার মুখে পড়ে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান আমদানি বাণিজ্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়। খবর দ্য হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ওই বৈঠকে আলোচনা হয় ভারত থেকে চিনি ও তুলা আমদানি করার ব্যাপারে। পাকিস্তানের বিরোধীদল এবং কাশ্মীরি জনগণের পক্ষ থেকে কঠোর সমালোচনার পর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।
এসব ঘটনায় মনে হচ্ছে, পাকিস্তান সরকার জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে। তাই কাশ্মীর পরিস্থিতির অগ্রগতি ছাড়া এমূহুর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জনগণের বিরাট এক অংশ।