a
সংগৃহীত ছবি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দুই হাজারেরেও বেশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। মোহাম্মদ বিন রাশিদ সেন্টার ফর ইসলামিক কালচারের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ২০২৭ জন অমুসলিম ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ (আইএসিএডি) কর্তৃক পরিচালিত এই সেন্টারটির মাধ্যমে প্রবাসীরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে থাকনে। যা বিভিন্ন ধর্মের মানুষের কাছে ইসলামের ইতিহাস, ইসলামি জ্ঞান ও ইসলামের পরিচিত তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে এ সংস্থার মাধ্যমে দুবাইতে ৩১৮৪ জন বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করেছিলেন। যারা সংস্হাটির ওয়েবসাইট (www.iacad.gov.ae) এবং টোল ফ্রি (৮০০৬০০) নাম্বারের মাধ্যমে ইসলামে প্রবেশের আগ্রহ দেখান। তাদের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করানো হয়। সূত্র: খালিজ টাইমস
ছবি: আল অ্যারাবিয়া
প্রথমবারের মতো কাবা শরিফে অবস্থিত হাজরে আসওয়াদের (পবিত্র কালো পাথর) স্ফটিক স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ মে) সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘জান্নাতি’ পাথর হাজরে আসওয়াদের সবচেয়ে স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করে।
আল অ্যারাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে— কোভিডের সময় হাজরে আসওয়াদের কাছে ভিড় নেই। এ সুযোগে সৌদি সরকারের দুই পবিত্র মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হাজরে আসওয়াদ বা ব্ল্যাক স্টোনের ছবি নিয়েছে। একেকটি ছবি তৈরি করতে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। প্রতিটি ছবি ছিল ১৬০ গেগাবাইটের এবং অবিশ্বাস্য ৪৯ হাজার মেগাপিক্সেলের।
তারপর ফোকাস স্ট্যাকিং নামে একটি কৌশল ব্যবহার করে ছবিগুলো শার্প করতে ৫০ ঘণ্টা লেগেছে। বিভিন্ন ফোকাস পয়েন্টের সঙ্গে একাধিক ফটো একত্রিত করে, ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে ফোকাস স্ট্যাকিং করা হয়।
৪ মে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় এই ছবিগুলো প্রকাশ করে। এখন যে কেউ প্রথমবারের মতো একটি বর্ধিত ডিজিটাল ফটোতে পাথরটিকে খুব কাছ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাবেন।
‘হাজরে আসওয়াদ’— কাবাঘরের দেয়ালে বিশেষভাবে স্থাপনকৃত একটি পাথরের নাম। আরবি ‘হাজর’ শব্দের অর্থ পাথর আর ‘আসওয়াদ’ শব্দের অর্থ কালো। অর্থাৎ কালো পাথর। ‘হাজরে আসওয়াদ’ বেহেশতের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। হজযাত্রীরা হজ করতে গিয়ে এতে সরাসরি বা ইশারার মাধ্যমে চুম্বন করে থাকেন।
রাসুলের নবুয়তপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ আগের স্থানে কে বসাবেন—এটি নিয়ে কোরাইশদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছিল। তখন মহানবী (সা.) নিজের গায়ের চাদর খুলে তাতে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে চাদর ধরতে বলেন।
গোত্রপ্রধানরা চাদরটি ধরে কাবা চত্বর পর্যন্ত নিয়ে গেলে নবী করিম (সা.) নিজ হাতে তা কাবার দেয়ালে স্থাপন করেন এবং দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটান।
আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-এর শাসনামলে হাজরে আসওয়াদ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ফলে তিনি তা রূপা দিয়ে বাঁধাই করেছেন। আর তিনিই সর্বপ্রথম হাজরে আসওয়াদকে রূপা দিয়ে বাঁধানোর সৌভাগ্য অর্জনকারী। এই পবিত্র পাথরের দৈর্ঘ্য ৮ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৭ ইঞ্চি। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরে দাবি আদায় এবং চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য কথা বলছেন গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। এরই প্রেক্ষিতে লাগাতার মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, প্রেসক্লাবের হলরুমে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন মহলে স্মারকলিপি পাঠাচ্ছেন সুবিধা বঞ্চিত কর্মচারীরা।
গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চাকরি করলেও তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের কোন উদ্যোগ গ্রামীণ ব্যাংক প্রশাসন নিচ্ছে না। কর্মচারীরা তাদের দাবী জানাতে গত ৩১ জানুয়ারি '২০২৫ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সেই সংবাদ সম্মেলন করার কারনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের প্রায় ১৫০ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করে।
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবীতে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল ২৭ ফেব্রুয়ারী'২০২৫ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি পেশ করা হবে।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকাল ১০:৩০ রাজপথে মিছিল এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংক কর্মচারী মিন্টু রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিক নেতা রাজু আহমেদ, বক্তব্য রাখেন আশিক, আপেল, রহমতুল্লাহ জসীমউদ্দিন প্রমুখ। বক্তাগন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবীতে আন্দোলন এর ধারাবাহিকতায় আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি পেশ এর কর্মসূচি ঘোষনা করেন। একই সাথে দাবি আদায়ে রাজপথে থাকবেন বলে ঘোষণা করেন।