a রোজার কাযা ও কাফফারা যে ভাবে আদায় করতে হয়
ঢাকা শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩২, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

রোজার কাযা ও কাফফারা যে ভাবে আদায় করতে হয়


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:০৪
রোজার কাযা ও কাফফারা যে ভাবে আদায় করতে হয়

জীবন-মৃত্যুর মালিক, সৃষ্টিজগতের প্রতিপালক, মহান আল্লাহ তায়ালা এমন কিছু কাজ মানুষের ওপর ফরজ করেছেন, যেসব কাজ সময়মত অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা কর্তব্য। আবার যদি সময়মত সেসব কাজ আদায় না করতে পারে, তবে সেটি পরবর্তীকালে যেকোন সময় আদায় করার যে সুযোগ থাকে, তাকেই আমরা সাধারণত কাযা বলি।

রমজানের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ওজরের কারনে রোজা না রাখলে পরবর্তীকালে আদায় করার নাম কাযা। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন: অন্য সময় এ সংখ্যা পূর্ণ করবে। [সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ১৮৪]

একই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন: নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। অবশ্য তোমাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয় ‍কিংবা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করে নিতে হবে। আর রমজানের রোজা যাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়, তার কর্তব্য এর বদলে একজন মিসকিনকে খাবার দেওয়া। স্বত:স্ফূর্ত হয়ে কেউ সৎকাজ করলে তা তার পক্ষে ভালো। যদি তোমরা বুঝতে তবে সিয়াম পালনই তোমাদের জন্য অধিক কল্যানের হতো। [আল কুরআন, সূরা বাকারাহ]

একই সূরায় আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেন: রমজান মাস। এ মাসেই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাযিল করেছেন সৎপথের দিক নিদর্শন ও পার্থক্যকারীরুপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই সাওম পালন করে। আর যে রোগী বা মুসাফির, সে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তাই চান আর তোমাদের জন্য যা কষ্টকর তা চান না। উদ্দেশ্য যাতে তোমরা (নির্ধারিত দিনের সাওম) সংখ্যা পূরণ করতে পার আর তোমাদের সঠিক পথ প্রদর্শনের কারণে তোমরা আল্লহর মহিমা ঘোষণা করবে ও শুকরিয়া আদায় করবে। [আয়াত নং- ১৮৫]

রাজাধিরাজ মহান আল্লাহ যাদের ওজর নেই তাদের প্রতি রমজানের রোজা সময়মত আদায় করা ফরজ করেছেন। আর যাদের অস্থায়ী ওজর আছে যেমন- সফর ও মাসিক তাদের প্রতি কাযা ফরজ করেছেন। আর যাদের স্থায়ী ওজর যার ফলে রোজা রাখতে পারে না তাদের জন্য আদায় ও কাযা কোনটাই না। যেমন: বয়স্ক এক্ষেত্রে বরং মিসকিনকে খাওয়াতে হবে।

হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ওপর রোজা রেখে মারা যায় অর্থাৎ সুযোগ থাকার পরেও কাযা আদায় না করে মারা যায় তবে তার পক্ষ থেকে অভিভাকগণ কাযা আদায় করে দেবে।

যেভাবে রোজার কাফফারা আদায় করা যায়:
প্রথম: দু’মাস একাধারে রোজা রাখতে হবে। কোনক্রমে যদি এই ৬০ দিনের মধ্যে একটি রোজাও ছুটে যায়, তবে আবার প্রথম থেকে ৬০ দিন পূর্ণ করতে হবে। পূ্র্বের ‍দিনগুলোর রোজা কোন কাজে আসবে না।

উল্লেখ্য, কাফফারা আদায় করার সময় যাতে বছরের যে পাঁচদিন রোজা রাখা হারাম সেই দিনগুলো না পড়ে। আর স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে যদি কাফফারা আদায় করার সময় হায়েয উপস্থিত হয়, তবে হায়েযের সময়ের মধ্যে রোজা না রেখে পবিত্র হওয়া মাত্রই রোজা রাখা আরম্ভ করতে হবে।

দ্বিতীয়: রোজা রাখতে সক্ষম না হলে ৬০ জন মিসকিনকে পরিপূর্ণ ‍তৃপ্তি সহকারে এক বেলা আহার করাতে হবে।

খাবার খাওয়াতে সক্ষম না হলে এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল (সা.) এর একটি হাদিস উল্লেখযোগ্য। সেটি হলো- আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা) এর নিকট এক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা). আমি হালাক তথা ধ্বংস হয়ে গেছি। আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, কোন বস্তু তোমাকে ধ্বংস করেছে? লোকটি বলল, রমজানের রোজা রেখে স্ত্রী সঙ্গম করে ফেলেছি। মহানবী (সা.) বললেন, তুমি কোন দাস-দাসীকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখ? লোকটি না বলল, এবার রাসূল (সা.) বললেন, দু’মাস একাধারে রোজা রাখতে পারবে? সে না বলল।

এরপর আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, ষাট জন দরিদ্রকে খাওয়াতে পারবে?। এবারও লোকটি না বলল। এরপর আল্লাহর রাসূলের দরবারে লোকটি বসে রইলো। তারপর নবী করিম (সা.) এর কাছে একটি খেজুরের ঝুড়ি আসলে তিনি লোকটিকে এগুলো সদকা করে দিতে বললেন। এবার লোকটি বলল, আমার থেকে বেশি দরিদ্রকে কি দান করতে হবে? মদিনার দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী এলাকায় আমার থেকে বেশি অভাবী পরিবার আর নেই।

দোজাহানে বাদশাহ মহানবী (সা.) লোকটির এমন কথা শুনে জোরে হেসে ফেললেন, সেসময় আল্লাহর রাসূল (সা.) এর দাতগুলো প্রকাশ হয়ে পড়লো। তারপর আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, যাও এগুলো তোমার পরিবারকে গিয়ে খাওয়াও। [সহীহ বুখারী- হাদিস নং ১৯৩৬, সহীহ মুসলিম- হাদিস নং ১১১১, আবু দাউদ- হাদিস নং ২৩৯০, সুনানে নাসায়ী- ২১২]

আজকের বিষয়ের যবনিকায় এসে মহান প্রভুর কাছে একান্ত প্রার্থনা; হে সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক, আমাদেরকে রমজানের বাকি রোজাগুলোর পরিপূর্ণ হক আদায় করে রাখার তাওফিক দান করুন। আমীন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কোরআনের চোখে সফল যাঁরা -


নিউজ ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫৯
কোরআনের চোখে সফল যাঁরা

সংগৃহীত ছবি

জীবনে সফলতা পেতে কে না চায়। সফলতার জন্য মানুষ কত কী-ই না করে, তার শেষ নেই। তবে প্রকৃত সফলতা কী, তা আমরা অনেকে জানি না। মহান আল্লাহ যাদের সফল হিসেবে ঘোষণা করেছেন, তারাই প্রকৃত সফলকাম। তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে সফলকাম মানুষদের বর্ণনা দিয়েছেন। নির্দেশনা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে, যেগুলো একজন মানুষকে প্রকৃতপক্ষে সফল করতে পারে।

°
পবিত্র কোরআনে তাকওয়া, ঈমান বিল গায়েব, পবিত্র কোরআন ও আগের কিতাবের ওপর বিশ্বাস, কিয়ামত ও আখিরাতে বিশ্বাস, সৎকাজে আদেশ অসৎ কাজে নিষেধ, নামাজ কায়েম, জাকাত প্রদান, আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয়, রাসুল (সা.)-এর ওপর ঈমান আনা ও তাঁর সহযোগিতা করা, তাঁর সুন্নতের অনুসরণ করা, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজের জীবন-সম্পদ ব্যয় করে আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করা, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর জন্য কাউকে ভালোবাসা বা ঘৃণা করা, সংকীর্ণ মনোভাব ত্যাগ করাকে সফলতা অর্জনের মাধ্যম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। নিম্নে সেসব আয়াত তুলে ধরা হলো, যেখানে মহান আল্লাহ এই গুণে গুণান্বিতদের সফলকাম বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

°
ঈমান আনাঃ-
‘যারা অদৃশ্যের প্রতি ঈমান আনে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। আর যারা ঈমান আনে তাতে, যা তোমার প্রতি নাজিল করা হয়েছে এবং যা তোমার আগে নাজিল করা হয়েছে। আর আখিরাতের প্রতি তারা পূর্ণ বিশ্বাস রাখে। তারা তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়েতের ওপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩-৫)

°
রাসুল (সা.)-এর অনুসরণঃ-
‘যারা অনুসরণ করে রাসুলের, যে উম্মি নবী; যার গুণাবলি তারা নিজদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়, যে তাদের সৎকাজের আদেশ দেয় ও বারণ করে অসৎ কাজ থেকে এবং তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে, আর অপবিত্র বস্তু হারাম করে। আর তাদের থেকে তাদের ওপর থাকা বোঝা ও শৃঙ্খল অপসারণ করে। সুতরাং যারা তাঁর প্রতি ঈমান আনে, তাঁকে সম্মান করে, তাঁকে সাহায্য করে এবং তাঁর সঙ্গে যে নূর নাজিল করা হয়েছে তা অনুসরণ করে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫৭)

°
নামাজ কায়েম ও আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাসঃ-
‘এগুলো প্রজ্ঞাপূর্ণ কিতাবের আয়াত, সৎকর্মশীলদের জন্য হিদায়েত ও রহমতস্বরূপ, যারা নামাজ কায়েম করে এবং জাকাত দেয়, আর তারাই আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে; তারাই তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়েতের ওপর  এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : লুকমান, আয়াত : ২-৫)

°
আল্লাহর রাস্তায় আহ্বানকারীঃ-
‘আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহ্বান করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম।’ (সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ১০৪)

°
যারা সেই আহ্বানে সাড়া দেয় তারাও সফলকাম। ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর প্রতি এ মর্মে আহ্বান করা হয় যে তিনি তাদের মধ্যে বিচার মীমাংসা করবেন, তাদের কথা তো এই হয় যে তখন তারা বলে, ‘আমরা শুনলাম ও আনুগত্য করলাম।’ আর তারাই সফলকাম।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৫১)

°
অধিক নেক আমলের অধিকারীঃ-
কিয়ামতের দিন যাদের আমলের পাল্লা ভারী হবে, তারাও সফলকাম। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর সেদিন পরিমাপ হবে যথাযথ। সুতরাং যাদের পাল্লা ভারী হবে, তারাই হবে সফলকাম।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৮)

°
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১০২)

°
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইকারীঃ-
বিশ্বব্যাপী আল্লাহর দ্বিন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাহিলিয়াতের ঘোর অন্ধকার থেকে উম্মাহকে মুক্ত করার জন্য জান-মাল দিয়ে লড়াই করেছেন সাহাবায়ে কেরাম। যারা তাদের মতো বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করবে, আল্লাহ তাদের সফলকাম বলে ঘোষণা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘কিন্তু রাসুল ও তাঁর সঙ্গে মুমিনরা তাদের মাল ও জান দিয়ে লড়াই করে, আর সেসব লোকের জন্যই রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৮৮)

°
যারা মানুষের হক আদায় করেঃ-
প্রত্যেক মানুষের ওপরই তার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও মিসকিন-মুসাফিরদের হক রয়েছে। যারা তা যথাযথভাবে পালন করবে আল্লাহ তাদের সফল করবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব আত্মীয়-স্বজনকে তাদের হক দিয়ে দাও এবং মিসকিন ও মুসাফিরকেও। এটি উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ৩৮)

°
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা প্রাধান্য দেয়
‘তুমি পাবে না আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায়, যারা ভালোবাসে আল্লাহ ও (পাশাপাশি) তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধাচরণকে (ভালোবাসে)—হোক না এই বিরুদ্ধাচরণকারী তাদের পিতা, অথবা পুত্র, অথবা ভাই, অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। এদের অন্তরে আল্লাহ সুদৃঢ় করেছেন ঈমান এবং তাদের শক্তিশালী করেছেন তাঁর পক্ষ থেকে রুহ দ্বারা। তিনি তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেথায় তারা স্থায়ী হবে; আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এরাই আল্লাহর দল। জেনে রেখো, আল্লাহর দলই সফলকাম।’ (সুরা : মুজাদালা, আয়াত : ২২)

°
যারা অন্য মুমিনকে নিজের ওপর প্রাধান্য দেয়
‘আর মুহাজিরদের আগমনের আগে যারা মদিনায় নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ঈমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না। এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ৯)

°
মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

স্পেন দলে জায়গা পায়নি সার্জিও রামোসসহ কোন রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়


ক্রীড়া ডেস্ক:
সোমবার, ২৪ মে, ২০২১, ০৮:৫৩
স্পেন দলে জায়গা পায়নি সার্জিও রামোসসহ কোন রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়

ফাইল ছবি

আজ সোমবার ২০২০ ইউরো কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে। ২৪ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি স্পেন অধিনায়ক সার্জিও রামোসের। তাছাড়া ঘোষিত দলে নেই কোন রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়।

করোনা কারনে যদিও ইউরোর জন্য সব দলকেই ২৬ জন করে ফুটবলার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে এনরিকে আপাতত ২৪ জনের দলই ঘোষণা করেছেন।
দলে সুযোগ পেয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ৪ জন, বার্সেলোনা থেকে ৩ জন, ভিলারিয়াল / অ্যাটলেটিকো  থেকে ২ জন করে, ব্রাইটন / চেলসি / লিডস/লিভারপুল / ম্যান ইউনাইটেড / উলভস / পিএসজি / আরবি লেইপজিগ / জুভেন্টাস / নাপোলি / অ্যাথলেটিক / রিয়েল সোসিয়েদাদ / ভ্যালেন্সিয়া  থেকে সুযোগ হয়েছে করে নিয়েছে একজন করে খেলোয়াড়, এখনো স্পেনের হয়ে না খেলে প্রথমবার যায়গা পেয়েছে ২ জন।

পুরো মৌসুমে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলা ২০ বছর বয়সী ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সেন্টার ব্যাক এরিক গার্সিয়া, গোটা মৌসুম ধরে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁকেও দলে  রেখেছেন এনরিকে। আবার গার্সিয়ার সতীর্থ ম্যান সিটিরই আইমেরিক লাপোর্তে চোট সমস্যায় ভুগছেন তাও দলে যায়গা পেয়েছেন। তবুও তিনি দলে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু জায়গা হয়নি রামোসের।

এনরিকে বলেছেন, ‘রামোসকে নিয়ে আমি যেই সিদ্ধান্ত নিতাম, তাতেই বিতর্ক হত। আমি জানি, আমি কী করেছি। আর সংবাদমাধ্যমের বিরোধীতার মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত।

২০২০ ইউরোর জন্য স্পেনের ২৪ সদস্যের স্কোয়াড :

গোলরক্ষক: উনাই সাইমন, দাভিদ দি গিয়া, রবার্ত সানচেজ।

ডিফেন্ডার: হোসে গায়া, জর্দি আলবা, পাউ তরেস, আইমেরিক লাপোর্তে, এরিক গার্সিয়া, দিয়েগো লোরেন্তে, সিজার আজপিলিকুয়েতা, মার্কোস লোরেন্তে।

মিডফিল্ডার: সার্জিও বুসকেটস, রদ্রি, পেদ্রি, থিয়াগো, কোকে, ফ্যাবিয়ান রুইজ।

ফরোয়ার্ড: দানি ওলমো, মিকেল ওয়ারজাবল, আলভারো মোরাতা, জেরার্দ মোরেনো, ফেরান তরেস, অ্যাদামা ত্রাউরে, পাবলো সারাবিয়া।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ধর্ম