a প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেলজিয়ামের রানির সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেলজিয়ামের রানির সৌজন্য সাক্ষাৎ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ০৮ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০২:৪০
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেলজিয়ামের রানির সৌজন্য সাক্ষাৎ

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সফররত বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে। আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন বেলজিয়ামের রানি।

এর আগে গতকাল কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন বেলজিয়ামের রানি।

তিন দিনের সফরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছান বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান ।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অ্যাডভোকেট (দূত) হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এলেন তিনি। মাথিল্ডে বেলজিয়ামের প্রথম রানি যিনি ঢাকা সফরে এলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

খালেদা জিয়া আজ করোনার টিকা নেবেন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১, ০২:১৪
খালেদা জিয়া আজ করোনার টিকা নেবেন

ফাইল ছবি

আজ সোমবার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুপুর ২টায় মহাখালী শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে টিকা নেবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৮ জুলাই ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের মাধ্যমে করোনার টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন খালেদা জিয়া। রবিবার তার টিকা দেওয়ার ফিরতি এসএমএস আসে। 

১৪ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। ২৯ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ অবস্থান করছেন তিনি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে


কর্নেল(অব.) আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ১১:১২
সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে

ছবি সংগৃহীত

 

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার অনেক পুরনো কৌশল। সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থকে উপেক্ষা করে। এটি ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন ঘটে, তেমনই জাতীয় জীবনেও দেখা যায়।  

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বিএনপির সাত্তার সরকার যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন জেনারেল এরশাদ সেই সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেন এবং তার শাসনামলে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তিনি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কিছু কাজ করেছিলেন, কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে উপেক্ষা করেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।  

২০০৭ সালে, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান ড. ইয়ারুদ্দিনকে সরিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেই সময়ের সামরিক বাহিনীর এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা তাকে বঙ্গভবনে প্রবেশে সহায়তা করেন, যিনি এখন নির্দোষ হওয়ার ভান করছেন। এটি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ ষড়যন্ত্র ছিল, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।  

ব্যক্তিগত স্বার্থে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফর হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত মীরজাফরের মতোই তার পরিণতি ঘটে এবং ভারতের নির্দেশে তিনি ক্ষমতা আওয়ামী লীগের হাতে তুলে দেন।  

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মাত্র দুই মাস পর, বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন—এমন হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।  

যে জেনারেল তার অধীনস্থ অফিসারদের জীবন রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরের মতোই নিষ্ক্রিয় থাকেন। বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় শুধু ক্ষমতা হারায়নি বরং প্রায় দুই শতাব্দী ব্রিটিশ শাসনের অধীনে দাসত্ব করতে বাধ্য হয়েছে।  

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর শত বছরের সংগ্রামে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়।  

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসেও আমরা একের পর এক বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আজও সেই ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের স্থায়ীভাবে দুর্বল করে রাখার জন্য। তবে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব আমাদের সামনে পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু এখনো সেই পরিবর্তনের যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।  

বিপ্লবী নেতৃত্বকে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং ক্ষমতার জন্য অস্থির হওয়া উচিত নয়। জনগণ সবসময় তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।  

ড. ইউনুসের নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা থাকলেও, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি না হওয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় তারা হতাশ।  

এদিকে, দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আলাদা পথে এগোনোর চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। যখন জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন, তখন তাদের এই বিভক্তি শত্রুদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।  

সম্প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান 'শহীদ সেনা দিবস'-এ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সামনে রাজনৈতিক সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের বিবাদ বন্ধ না করলে এবং দায়িত্বশীল না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।  

তবে তার বক্তব্য নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, তিনি কোনো বিশেষ শক্তির ইঙ্গিতে কাজ করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, তার ও ড. ইউনুসের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।  

তবুও, আমরা এখনো তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে চাই এবং বিশ্বাস করি যে, তিনি দেশের ও জনগণের স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

 

লেখক: রাজনৈতিক কলাম লেখক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - জাতীয়