a
ফাইল ছবি
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষান-কৃষানীরা বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটিয়ে উঠোন ও বাড়ির আনাচে কানাচে তিল পরিমান জমি অনাবাদি না রেখে প্লাস্টিকের বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এতে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয়ের পথও দেখছেন তারা।
আজ রবিবার (১৩ জুন) সরেজমিনে, নিতাই ইউপি’র পানিয়ালপুকুর চানষা পাড়া গ্রামের কৃষক বুলবুল জানান, দীপ্ত টিভিতে বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে এ বছর ৩শত বস্তায় আদা চাষ করেছি।
তিনি আরো জানান, বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হচ্ছে, অনাবাদি জমির সদ্ব্যবহার, অন্যদিকে হালচাষ ও শ্রমিক বিহীন এ ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
আর যাদের আবাদি জমি নেই তারাও ইচ্ছে করলে বসতবাড়ির আশপাশে, আঙিনায়, সুপারি বাগান কিংবা অন্যান্য পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করতে পারেন।
এক একটি বস্তায় ২ থেকে ৩টি করে বীজ আদা রোপন করে ২থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। বীজ লাগানোর সময় মাটি শোধন করায় রোগ বালাই কম হয়।
সদর ইউপি’র রুপালি কেশবা গ্রামের সুমন জানান, বছরের অনেক সময় আদার দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
তাই কয়েক বছর ধরে স্বল্পপরিসরে মিল চাতালের ওয়ালে বস্তায় আদা চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় হচ্ছে। ওই কৃষকদের পাশাপাশি সদর ইউপি’র ইসমাইল যদুমনি গ্রামের কৃষক রশিদুল জমির আইলে ২৫০টি বস্তা, উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আতাব্বর টোনেয়া বসত বাড়ির আঙিনায় ১৫০ বস্তা আদা লাগিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমানে উপজেলায় যাদের জমি কম এ ধরনের প্রায় হাজার খানেক কৃষক সবজি চাষের পাশাপাশি বস্তায় আদা চাষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে। আর কৃষি অফিস থেকেও বস্তায় আদা চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি
দেশের ৪৯টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং সেটি আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায়।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি, রাজশাহী বিভাগের ৮টি, খুলনা বিভাগের ১০টি, বরিশাল বিভাগের ৬টি ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি আরও জানান, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আগামী দুই দিন তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী পাঁচ দিনে আবহাওয়ার অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
রবিবার (৯ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বদলগাছীতে ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে ব্যাকমেইল করে ও হুমকি ধমকি দিয়ে এক মহিলা তাকে বিয়ের করার জন্য তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকি তার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল সেই নারী।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে লাইভে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব অভিযোগ করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। এ সময় তার পাশেই ছিলেন স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। লাইভের শেষের দিকে স্ত্রীও কথা বলেন এবং রাষ্ট্রের কাছে তার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।
ফেসবুক লাইভে খোরশেদ জানান, সাইদা শিউলি নামে ওই নারী ভয়ংকর চরিত্রের অধিকারী। তার সঙ্গে প্রশাসন ও উচ্চ মহলের বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের উঠাবসা। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও তিনবার বিয়ে করেছেন। ওই নারীর দুটি সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এবং এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন।
খোরশেদ বলেন, ‘আমি করোনার শুরু থেকেই করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিয়েছি ও সম্মুখে থেকে লডাই করে দাফন সৎকার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। একপর্যায়ে গত মে মাসে আমি ও আমার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হই। তখন অক্সিজেনের অভাবে আমার স্ত্রীকে একপর্যায়ে আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়। তখন একটি সংবাদের নিচে ওই মহিলা কমেন্ট করে জানান, তিনি অক্সিজেন দিতে চান এবং আমার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেন। তখন থেকেই তিনি আমার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত হন এবং কথা বলা শুরু করেন।’
‘একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারি তার মতলব ভিন্ন। আমি তাকে তখন দূরে সরাতে চেষ্টা করি এবং বোঝাই। এরপর তার ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেকেও আমি এসব ঘটনা জানাই, তখন সে আমাকে বলে তার মা হয়তো দুষ্টুমি করছে, এরকম কিছু সম্ভব নয়। কাজ হবে না বুঝে পরবর্তীতে নভেম্বর-ডিসেম্বরে তার ভগ্নিপতিকে জানাই। এতে তিনি আরও ক্ষুব্ধ হন এবং আমার পেছনে উঠেপড়ে লাগেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্মানকে ভয় পাই বলেই এতদিন মুখ খুলিনি। আমি ধৈর্য ধরেছি। কারণ, আল্লাহ হয়তো একটি ফয়সালা করবেন। তবে দুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দুটি পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে এ সংক্রান্ত নিউজ হওয়ায় আমি নিজেই বিষয়টি সবার কাছে বলতে এসেছি। আমার পাশে থাকার জন্য আমি আমি সাংবাদিক, আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও প্রতিপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ।’
খোরশেদ বলেন, ‘২১ জানুয়ারির পর থেকে হোয়াটস অ্যাপে, ম্যাসেঞ্জারে, টেলিফোনে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন এবং হত্যার হুমকি জানাচ্ছেন ওই মহিলা। আমার পরিবারের সবাইকে মারাত্মক মানষিক অত্যাচার করছেন। সর্বশেষ আমার স্ত্রী ও সন্তান নকিবকে তুলে নিয়ে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেন। আমি এসব ঘটনায় শুরু থেকেই সরকারি সংশ্লিষ্ট সব দফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং অবহিত করেছি। বিভিন্ন ঘটনা ঘটার পর পরই তাদের অবহিত করা হয়।’
তনি বলেন, ‘আমার বাড়ি একটি মরা বাড়ি হয়ে গেছে। একের পর এক লাশ দাফন করি। আবার আমার বাচ্চাদের থেকে এসব কারণে লুকিয়ে থাকতে হয়। ওদের জীবনের ভয়ে আছি আমি। আমার ছেলে মেয়ে আমার চিন্তায়, পারিবারিক অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে গেছে। এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার কারণ কি? আমি এসব থেকে মুক্তি চাই আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষকে ব্যবহার করে তিনি আমাদের জ্বালাতন করতেন। এতদিন কষ্ট সহ্য করেছি, আর পারছি না। অনেকে লজ্জায় আমার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না। আপনাদের কাছে এ ঘটনার বিচার চাই। সাংবাদিক ভাইরা লেখনি ও প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে আমাকে এ অবস্থা থেকে বাঁচান। আমি এ নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই। আমি আমার পরিবারের কাছেও ক্ষমা চাই এসব ঘটনায়।’
কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের সচিবকে ফোন দিয়ে বলেছেন, আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে ঐ মহিলা হত্যা করবে। আমার সাথে তার সব কথার রেকর্ড আছে। সাংবাদিকসহ যে কেউ চাইলে আমরা এসব রেকর্ডিং দেব। আমি আমার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তা চাই রাষ্ট্রের কাছে।’