a
ফাইল ছবি
অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারেও রমজান মাসে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩ বা ৪ এপ্রিল থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হবে। বর্তমানে অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রমজানে বেলা সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে যথারীতি শুক্র ও শনিবার। ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাক, রেলওয়ে, হাসপাতাল ও রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং অন্যান্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে।
এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে সময়সূচি নির্ধারণ ও অনুসরণ করবে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
প্রথম আলোর অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের শুনানি হতে পারে।
আজ ১৮ মে মঙ্গলবার বেলা ১১টার একটু পরে রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ বিচারক তাঁর রিমান্ড নামঞ্জুর করেন।
আদালতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের হয়ে শুনানি করেন প্রথম আলো নিয়োজিত আইনজীবী এহসানুল হক সামাজি, আশরাফ উল আলম, প্রশান্ত কুমার কর্মকার। তাছাড়া আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রশীদ এবং আইনজীবী সুমন কুমার রায় শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ।
সকাল আটটার দিকে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে তোলা হয়। রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম সে সময় জানান, তাঁকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়।
একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাস্পাতালে নেওয়ার কথা বলে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়েছে। তাঁকে উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন পেশাজীবি সাংবাদিকরা বিকেলে সচিবালয়ে এবং রাতে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। রোজিনা ইসলামের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ বাণিজ্য টিকায় দুর্নীতি মাস্ক কেলেংকারী নিয়ে একাধিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছেন। এদিকে প্রথম আলো পত্রিকার ব্যবস্থানা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ বলেছেন, "আক্রোশ থেকে" রোজিনা ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার ইসরায়েলি হুমকিতে তারা ভীত নয়। এসব হামলা প্রতিহত করতে তারা প্রস্তুত আছে।
গতকাল সোমবার হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদেহ এসব কথা বলেছেন।
টেলিভিশনে প্রচারিত বিবৃতিতে আবু ওবাইদেহ বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক হামলার পর হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড ২০০ জন ইসরায়েলিকে বন্দী করে। এ ছাড়া গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ দলের হাতে প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলি বন্দী আছে।
আবু ওবাইদেহ বলেন, ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে স্থল হামলা শুরু করার বিষয়ে দখলদারেরা (ইসরায়েল) যে হুমকি দিয়েছে, তাতে আমরা ভীত নই। আমরা এর জন্য প্রস্তুত।’
গাজায় স্থল হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলা চালানোর জন্য তারা ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হামাসের কাছ থেকে এই বক্তব্য এল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি গতকাল বলেন, ইসরায়েলের ১৯৯ নাগরিককে হামাস জিম্মি করেছে বলে তারা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছেন।
হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তাঁরা বিদেশি বন্দীদের মুক্তি দেবেন।
আবু ওবাইদেহ জানান, গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন ইসরায়েলি বন্দী নিহত হয়েছেন।
হামাসের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২ হাজার ৭৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। একই সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালান হামাসের যোদ্ধারা। এ সময় তাঁরা বিদেশি নাগরিকসহ অনেক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে তারা গাজায় টানা বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। অবরুদ্ধ গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। সূত্র: প্রথম আলো