a অস্ট্রেলিয়াকে ৩ ম্যাচে হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

অস্ট্রেলিয়াকে ৩ ম্যাচে হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ০৬ আগষ্ট, ২০২১, ১১:১৮
অস্ট্রেলিয়াকে ৩ ম্যাচে হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

ফাইল ছবি

অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচে হারিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের। ১২৭ রানের মামুলি স্কোর নিয়েও ১০ রানে জয় পেল টাইগাররা।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১০ রানের জয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর টস হয়।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। ২.১ ওভারে মাত্র ৩ রানে ফেরেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। 

জশ হ্যাজলউডের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম। প্রথম দুই ম্যাচে ৩০ ও ৯ রানে আউট হওয়া নাঈম এদিন ফেরেন মাত্র ১ রানে।

নাঈম আউট হওয়ার ঠিক পরের বলেই অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। প্রথম দুই ম্যাচে ২ ও ০ শূন্য রানে আউট হওয়া এ ওপেনার এদিন ফেরেন মাত্র ২ রানে। 

ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে আশা জাগিয়েও হতাশ করেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৪৭ রানে ১৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন এ অলরাউন্ডার  

১৩ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন। ১২ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ফেরেন এ তরুণ ব্যাটসম্যান। 

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি তরুণ ব্যাটসম্যান শামিম পাটোয়ারিও। ১৩.৪ ওভারে দলীয় ৮১ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন শামিম। তার আগে ৮ বলে মাত্র ৩ রান করার সুযোগ পান তিনি। 

ইনিংস শেষ হওয়ার মাত্র ২ বল আগে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রিয়াদ। তিনি আউট হওয়ার পরের দুই বলে ফেরেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান।

অভিষেক ম্যাচে পরপর তিন বলে রিয়াদ, মোস্তাফিজ ও মেহেদিকে আউট করে হ্যাটটিক করেন অস্ট্রেলিয়ান তরুণ পেসার নাথান এলিস। 

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১.৩ ওভারে মাত্র ৮ রানে ফেরেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। প্রথম দুই ম্যাচে ১৩ ও ৪ রানে আউট হওয়া ম্যাথু ওয়েড এদিন ১ রানের বেশি করতে দেননি নাসুম। 

এরপর ব্যাটিংয়ে নামা মিচেল মার্রশকে সঙ্গে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান বেন ম্যাকডারমট। 

অবশ্য তাদের জুটিটা ৬০ রানে ভেঙে যাওয়ার  কথা ছিল। ১৩তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ম্যাকডারমটের ক্যাচ ফেলে দেনে শরিফুল ইসলাম। ৩২ রানে নতুন লাইফ পান এ ওপেনার।  

ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মিচেল মার্শ ও বেন ম্যাকডারমটের জুটি ভাঙেন সাকিব। দ্বিতীয় উইকেটে মার্শ-ডারমট ৭১ বলে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। সাকিবের শিকার হওয়ার আগে ৪১ বলে দুই ছক্কায় ৩৫ রান করেন ডারমট।

সাকিব আল হাসানের পর অস্ট্রেলিয়া শিবিরে শরিফুলের জোড়া আঘাত। তার শিকার হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন ময়েজেস হেনরিকস ও মিচেল মার্শ। হেনরিকস ২ রানে আউট হলেও ৪৭ বলে ৫১ রান করে ফেরেন মিচেল মার্শ।

জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন মোস্তাফিজ। তিনি সেই ওভারে দেন মাত্র ১ রান। তার সেই ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা।

শেষ ওভারে অসিদের দরকার ছিল ২২ রান। মেহেদি হাসানকে এক ছক্কা মেরে ১১ রান আদায় করে নিলেও ১০ রানে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে জয় পেল অস্ট্রেলিয়া


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবা প্রতিদিন
শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ০৮:৩৩
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে জয় পেল অস্ট্রেলিয়া

ফাইল ছবি

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল অস্ট্রেলিয়া। ১২০ বলে ১১৯ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমেও বিপাকে পড়েছিল অসিরা। ৩৮ রানে প্রথমসারির ৩ উইকেট পতনের পর দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

চতুর্থ উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন স্টিভ স্মিথ। তাদের এ জুটিতেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় অসিরা।

কিন্তু এরপর ১ রানের ব্যবধানে স্টিভ স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েলের উইকেট হারিয়ে আবারও চাপের মধ্যে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ দিকে মার্কু স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। তাদের কল্যাণে ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

শনিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১১৮/৯ রানে ইনিংস গুটায় প্রোটিয়ারা।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।

তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জশ হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রিশি ভেন দার ডুসেন। জশ হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক।

১৩ বলে মাত্র ১৩ রান করে পেট কামিন্সের শিকার হয়ে ফেরেন হেনরি ক্লেসেন। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৮ ওভারে ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারায় আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১১৮/৯ রান (মার্কওরাম ৪০, কাগিসো রাবাদা ১৯*, ডেভিড মিলার ১৬, হেনরি ক্লেসেন ১৩, টিম্বা বাভুমা ১২; জশ হ্যাজলউড ২/১৯, অ্যাডাম জাম্পা ২/২১)।

অস্ট্রেলিয়া: ১৯.৪ ওভারে ১২১/৫ (স্টিভ স্মিথ ৩৫, মার্কু স্টয়নিস ২৪*, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৮, ম্যাথু ওয়েড ১৫* ডেভিড ওয়ার্নার ১৪, মিচেল মার্শ ১১)। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’- এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৫১
পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন গ্রীন ভয়েস এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:   গ্রীন ভয়েস এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত। আজ ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’- এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। “শব্দ, বায়ু ও বর্জ্য দূষণ অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমানো, পুরাতন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং কালো ধোঁয়া নির্গমন ঠেকাতে বাধ্যতামূলক ফিটনেস পরীক্ষার দাবি জানানো হয়।

গ্রীন ভয়েসের সহ-সমন্বয়ক হুমায়ূন কবির সুমনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গ্রীন ভয়েসের উপদেষ্টা স্থপতি ইকবাল হাবিব, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিনিয়র সাংবাদিক শুভ কিবরিয়া, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সদস্য সচিব রোস্তম আলী খোকন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের (পরিজা) সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, শিল্পী ও শিক্ষক আবু সেলিম, গ্রীন ভয়েস তেজগাঁও কলেজ শাখার সভাপতি শাহ্রিন সেঁজুতি এবং বহ্নিশিখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক ফাতেহা শারমিন এনী প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সেফটি ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা শাখাওয়াত হোসেন স্বপন, গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ- সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম রাতুল, আরিফুর রহমান, শাকিল কবির, ফাহমিদা নাজনীন তিতলি, কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য স্বপন মাহমুদ, আলী আহসানসহ প্রায় ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির। মানববন্ধন থেকে সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবিসমূহ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মোনছেফা তৃপ্তি। রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “শব্দ, বায়ু ও বর্জ্য দূষণ একটি পুঁজিকেন্দ্রিক উন্নয়ন ব্যবস্থার ফল। মুনাফার জন্য কিছু গোষ্ঠী জনগণের স্বাস্থ্য ও প্রকৃতিকে ত্যাগ করছে। উন্নয়ন মানে যদি মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, তাহলে সে উন্নয়ন অগ্রহণযোগ্য। আমরা চাই এমন একটি দেশ যেখানে উন্নয়ন হবে পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং মানবিক। গ্রীন ভয়েসের মতো সংগঠনগুলোই আজ সত্যিকার উন্নয়নের পথ দেখাচ্ছে।”

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “বাংলাদেশের পরিবেশ আজ তিনটি প্রধান দূষণে বিপর্যস্ত—শব্দ, বায়ু ও বর্জ্য। প্রতিটি দূষণই জনস্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। সরকার এবং নীতিনির্ধারকদের উচিত এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পরিবেশ আন্দোলন আর বিলাসিতা নয়, এটি এখন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। গ্রীন ভয়েস যে সচেতনতা তৈরি করছে, তা শুধু প্রশংসনীয় নয়, বরং সময়োপযোগী ও জরুরি। তরুণদের এই উদ্যোগে সমাজ ও রাষ্ট্রের সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার।”

সাংবাদিক শুভ কিবরিয়া বলেন, “পরিবেশ দূষণের খবর শুধু কাগজে ছাপলে হবে না, সেটিকে জনতার আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। ঢাকার বায়ু আজ বিষে পরিণত হয়েছে, শিশুরা শব্দ দূষণে শ্রবণ শক্তি হারাচ্ছে। এ বাস্তবতা পাল্টাতে হলে আমাদের গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, তরুণ প্রজন্ম সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গ্রীন ভয়েসের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিতে শেখাচ্ছে। এটা শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি একটি সচেতনতা আন্দোলন।”

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে রোস্তম আলী খোকন বলেন, “আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবেশচেতনা গড়ে তোলার সুযোগ এখনো খুব সীমিত। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে গাছ ভালোবাসা, নদীকে রক্ষা করা, শব্দ কমানো এসব শিক্ষা দিতে হবে। পরিবেশ আন্দোলনকে শুধু বিজ্ঞানের আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। গানের, নাটকের, কবিতার মাধ্যমে পরিবেশচেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। গ্রীন ভয়েস এর মধ্য দিয়ে সেই পথেই এগোচ্ছে।”

সভাপতির বক্তব্যে আলমগীর কবির বলেন, আজকের আমাদের সমাবেশের বার্তা পরিষ্কার—শব্দ, বায়ু ও বর্জ্য দূষণ আমাদের নীরবভাবে হত্যা করছে। এটি শুধু পরিবেশ সমস্যা নয়, এটি এক জাতীয় সংকট। এই বার্তাকে সামনে রেখে, আমরা প্রতিশ্রুতি নিচ্ছি—শব্দহীন সহনশীলতা, বিশুদ্ধ বাতাস, এবং দূষণমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমরা আরও শক্তভাবে, আরও সংগঠিতভাবে কাজ করে যাব। শুধু গাছ লাগিয়ে নয়, চেতনার বীজ বুনে—তরুণদের হাত ধরে একটি সচেতন, সচল ও সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণ করাই হবে আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য। আমরা চাই, আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা রেখে যাই একটি বাসযোগ্য পৃথিবী—যেখানে প্রকৃতি আর মানুষ একে অপরের শত্রু নয়, সহযাত্রী। আর সেই পথচলায় তরুণরাই হবে আমাদের কাণ্ডারি।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব থেকে একটি সচেতনতামূলক র‍্যালি বের করা হয় যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে অবস্থিত রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাপ্ত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচির ইতি ঘটে এবং দূষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সমাবেশ থেকে নিম্নোক্তদাবীগুলো উত্থাপন করা হয়-
বায়ুদূষণ:
১. জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর ও পুরাতন যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং কালো ধোঁয়া নির্গমন ঠেকাতে ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২. দুই-স্ট্রোক ইঞ্জিনচালিত যানবাহন সারা দেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে, নদীপাড়ের ইটভাটা ভেঙে ফেলতে হবে এবং কাঠ বা গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪. মাটির ইটের পরিবর্তে কংক্রিট ব্লকের মতো পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহ দিতে হবে এবং সরকারি প্রকল্পে তা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫. নির্মাণকাজের সময় বায়ু ও শব্দ দূষণ কমাতে ঘের দেওয়া, ঢাকনা ব্যবহার এবং ধুলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিয়ম মানতে
হবে।
৬. ঢাকাসহ সব বড় শহরে বায়ুর মান পরিমাপের ব্যবস্থা বাড়াতে হবে এবং আগাম দূষণের পূর্বাভাস দেওয়ার ব্যবস্থা চালু
৭. শুষ্ক মৌসুমে নিয়মিতভাবে রাস্তা ভেজাতে হবে এবং এজন্য সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।

শব্দদূষণ:
১. শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং হাসপাতাল ও স্কুলের সামনে হর্ণ বাজানো
বন্ধ করতে হবে।
২. হাইড্রোলিক হর্ণের আমদানি ও তৈরি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং হর্ণ বাজালে কড়াভাবে জরিমানা দিতে হবে। ৩. গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেওয়ার আগে চালকদের শব্দ বিষয়ে সচেতনতা যাচাই করতে হবে এবং শব্দমাত্রা মেপে গাড়ির ছাড়পত্র দিতে হবে।
৪. আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে শব্দ নিয়ন্ত্রণের সাইনবোর্ড লাগাতে হবে এবং নিয়মিত মনিটরিং চালাতে হবে।
৫. যেকোনো নির্মাণকাজ বা কারখানার অনুমোদনের আগে শব্দদূষণ কমানোর ব্যবস্থা আছে কি না, তা ভালোভাবে যাচাই
করতে হবে।
৬. রাতে ছাদ বা কমিউনিটি হলে গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে এবং ড্রিল মেশিন, ব্লেন্ডার বা প্রেসার কুকারের মতো জোরে শব্দ করা যন্ত্র ব্যবহার কমাতে হবে।

বর্জ্য দূষণ (তরল, কঠিন, ইলেকট্রনিক ও চিকিৎসা):
১. ওয়াসার তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ঢাকার তরল বর্জ্য সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়ার্কশপ আয়োজন করতে হবে।
২. তরল বর্জ্য ব্যবস্থায় আনতে হবে। ওয়াসার দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং দেশের সবাইকে স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহারের আওতায় আনতে হবে।
৩. কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থায় বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে—ছোট ছোট প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ে তুলে বড় কেন্দ্রগুলোর উপর চাপ কমাতে হবে।
৪. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঘর থেকেই আলাদা করে ফেলতে হবে, প্রথমে ধনী পরিবার ও প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে সারা এলাকায় ছড়িয়ে দিতে হবে।
৫. ই-বর্জ্য ব্যবস্থায় Reduce, Reuse, Recycle পদ্ধতি চালু করতে হবে এবং সরকার-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিধিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম চালাতে হবে।
৬. হাসপাতালের বর্জ্য অবশ্যই আলাদা করে ফেলতে হবে এবং নিয়মিত তদারকি করে সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে। ৭. সাভারের ট্যানারি সিটিতে ইটিপি যেন ঠিকমতো কাজ করে তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সব ট্যানারির বর্জ্য পরিশোধন করতে হবে।
৮. শিল্প এলাকার দূষণের জন্য পরিচিত জায়গাগুলোতে মনিটরিং যন্ত্র বসিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্রিকেট

ক্রিকেট এর সব খবর