a ইসলামপুরে (জামালপুর) হাজার হাজার একর জমির ফসল পানির নীচে
ঢাকা বুধবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইসলামপুরে (জামালপুর) হাজার হাজার একর জমির ফসল পানির নীচে


ইসলামপুর প্রতিনিধি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২১, ০৮:০৪
ইসলামপুরে (জামালপুর) হাজার হাজার একর জমির ফসল পানির নীচে

ফাইল ছবি

জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র, দশআনীসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর রোপা আমন ধান, বীজতলা ও শাক-সবজির ক্ষেত।

এ বছর সময় মতো বন্যা না হওয়ায় কৃষকরা রোপা আমনসহ নানা ফসল করেছেন। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অসময়ে বন্যায় পানির কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রান্তিক কৃষকরা।
 
চিনাডুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম জানান, ইতোমধ্যে ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে।

সাপধরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, যমুনা আমার ইউনিয়নকে জালের ন্যায় ঘিরে রেখেছে। ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বন্যা হবে না এমন ধারণা থেকে কৃষকরা এক টুকরো জমিও খালি রাখেননি। এই অসময়ের বন্যা কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান টিটু জানান, এ পযর্ন্ত পাঁচ হাজার পরিবারের ২৫ হাজারের অধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, আগামী সাত দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে, জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করতে আরও ২৪ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৫৮
মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করতে আরও ২৪ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ

দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলার সুবিধাদি সম্প্রসারন ও আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে কন্টেইনার টার্মিনাল, কন্টেইনার ডেলিভারী ইয়ার্ড এবং কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করাসহ বার্ষিক ১ কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, ৪ লক্ষ টন টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বন্দরের উন্নয়নে ২০২১ সাল থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মোট ২৪ টি উন্নয়ন প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি মাস্টার প্ল্যান প্রকাশ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে বন্দরের উন্নয়নে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ১০টি প্রকল্পের মধ্যে ১টির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ৩ টির কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে, অধিক গুরুত্বপূর্ণ আরো ৪ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বন্দর উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট নামে যে প্রকল্পটি রয়েছে সেটি বাস্তবায়ন করতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় নির্ধারন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্পসহ ৫০টির অধিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন ও তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় আছে।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের দ্রুত ও দক্ষ সেবা প্রদানে যেসব উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৭০টি কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল স্থাপন, ৩টি কার ইয়ার্ড নির্মাণ, ১০টি বিভিন্ন ধরনের সহায়ক জলযান ক্রয়, ৬২টি বিভিন্ন ধরনের লাইটেড বয়া, ২টি রোটেটিং বিকন, ৬টি জিআরপি লাইট টাওয়ার সংগ্রহ ও স্থাপন, একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, একটি স্টাফিং-আনস্টাফিং শেড, একটি ওয়েব্রিজ মোবাইল স্ক্যানার সংগ্রহ।

এ ছাড়া রুজভেল্ট জেটির বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। বন্দরের আধুনিকায়ন, চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণ ও দক্ষতার সঙ্গে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জাহাজের গড় অবস্থানকাল হ্রাস এবং কার্গো ও কন্টেইনার সংরক্ষণের সুবিধাদির সম্প্রসারণসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে মোংলা বন্দরে যেসব সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে তাহলো জাহাজ হ্যান্ডলিং সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২২৫ মিটার, ড্রাফট ৭ থেকে সাড়ে ৮ মিটার, কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ১০ মিলিয়ন মে.টন, ও কন্টেইনার ৭০ হাজার টিইউজ। এছাড়া কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সুবিধার মধ্যে রয়েছে, স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ার ৫টি, ফর্কলিফট ৩১টি, রিচ স্ট্র্যাকার ২টি, মোবাইল ক্রেন ৫টি, ডকসাইট ক্রেন ৫টি, টার্মিনাল ট্রাক্টরে শেষ হবে।  সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজও সমাপ্তির পথে। এ বছরেই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবে মোংলাবাসী। এসবের বাইরে গত বছরের ডিসেম্বরে মোংলা বন্দরের আউটার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১৯.৪৫ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই চ্যানেল দিয়ে ১০.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হারবারিয়া পর্যন্ত হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধায় আনা হয়েছে। পোর্টের অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম সংগ্রহ। পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম বর্তমানে চালু রয়েছে যা ২০২২ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে  হারবারিয়া থেকে বন্দরের জেটি পর্যন্ত ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ খুব সহজেই ভিড়তে পারবে।

সহায়ক জলযান সংগ্রহ, বর্জ্য নি:সৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ থেকে পিপিপি'র আওতায় মোংলা বন্দরের ২টি অসম্পূর্ণ জেটির নির্মাণও কাজ শেষ করা হবে ২০২২ সালের মধ্যে।  চলমান এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোংলা বন্দরে মোট ৭৭২টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে বলে নিশ্চিত করেছে বন্দরের হারবার বিভাগ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের উন্নয়নে বর্তমানে একাধিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে আউটার বার ড্রেজিং সম্পন্ন করেছি এবং ৭৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে গত মাসের ১৩ তারিখ থেকে ইনারবারে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্দরে কন্টেইনার জাহাজসহ অন্যান্য জাহাজগুলো তুলনামুলকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে যে কয়টি উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

চট্টগ্রামে সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ


নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার, ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৫৬
চট্টগ্রামে সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ

সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা ৬টার পর ওষুধের দোকান (ফার্মেসি) ও কাঁচাবাজার ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)। শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এ নির্দেশনা প্রদান করেন । 
 
তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে চট্টগ্রামের সব শপিং সেন্টার, বিপণি কেন্দ্র, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখতে হবে। তবে ওষুধের দোকান ও কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। 

এসব নির্দেশনা অমান্যকারীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে তিনি জানান। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে ৫১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ জন।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯টি ল্যাবে ২ হাজার ৫৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হিসেবে ৫১৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩৬ জনই নগরীর বাসিন্দা।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ