a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সরিষাবাড়ি প্রতিনিধিঃ বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই প্রদান করা হয় ২০০৯ সাল থেকে এবং ২০১০ সাল থেকে ১ জানুয়ারি বই উৎসব পালন করলেও দেড় দশকের সেই রীতি এবার ভাটা পড়েছে বিভিন্ন কারণে। ‘অপ্রয়োজনীয় খরচ’ এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে সেই বই উৎসব।
রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন, সিলেবাসে কিছু পরিবর্তন আনা ও বই ছাপার কাজ দেরিতে শুরু করায় সকল বই ছাপাও শেষ করা সম্ভব হয় নাই। সব বই হাতে পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
জামালপুর, সরিষাবাড়ি ৩৮ নং স্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জানুয়ারি মাসে তৃতীয় সপ্তাহে সীমিতভাবে অল্প কিছু বই দিয়ে বই উৎসব পালন করা হয় কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে। বই বিতরণে ছাত্র/ছাত্রীদের পাশাপাশি স্থানীয় অভিভাবকদের উপস্থিতি পুরো স্কুল প্রাঙ্গণ প্রাণবন্তু করে তোলে।
বই বিতরণ অনুষ্ঠানে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম রেনুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪ নং আওনা ইউনিয়নের বিএনপি’র সহ-সভাপতি জনাব মনিরুজ্জামান মাছুম, সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাবা সায়েদ্যাতুন নেসা, প্রধান শিক্ষক ৩৮ নং স্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জনাব নান্নু তালুকদার, ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি কাজিম উদ্দিন ও ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক সাইম সরকার। আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব নূরে আলম সিদ্দিকী মোয়াজ্জেম, মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ সম্মানিত শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
ফাইল ছবি
রাজধানীর সায়েদাবাদের জনপদ মোড়ে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত ৮টার দিকে যাত্রীবাহী ওই বাসটিতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন যাত্রী তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহত হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাযহারুল ইসলাম কাজল জানান, রাতে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা জানতে পারি। তবে কারা বাসটিতে আগুন দিয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
ছবি সংগৃহীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক যুদ্ধবিমান সাহারা মরুভূমিতে ভেঙে পড়ে। পাইলট প্রাণে বেঁচে যায়, কিন্তু চারদিকে শুধু ধু-ধু বালির সমুদ্র আর ঝলসানো রোদ। খাবার নেই, পানি নেই — কেবল এক বোতল পানি আর কিছু শুকনো বিস্কুট।
তিনদিনের মাথায় তার পানি ফুরিয়ে যায়। প্রচণ্ড রোদ, পানির অভাব আর একাকীত্বের ভারে সে প্রায় মৃত্যুর মুখে। ঠিক তখনই মনে পড়ে — পাইলট হওয়ার আগে সে ছিল একজন শিল্পী। পকেটে ছিল একটি পেন্সিল আর ভাঙা একটা চশমা। মরুভূমির বালুর ওপর সে আঁকতে শুরু করে — তার পরিবার, শহর, রাস্তা আর টলমলে পানি!
জানি সে বাঁচবে না, তবু শেষ মুহূর্তগুলোতে সে তার স্মৃতি ধরে রাখতে চায়। অবাক করা বিষয়, ছবি আঁকতে আঁকতে তার তৃষ্ণা কিছুটা কমে যায়, মন শান্ত হয়ে আসে। সে ভাবল, "আমি এখনো বেঁচে আছি। স্বপ্ন দেখতে পারি মানে এখনো হার মানিনি।"
অষ্টম দিনে এক ফরাসি উদ্ধারকারী দল তাকে খুঁজে পায়। তারা দেখে — কঙ্কালসার দেহ, ফেটে যাওয়া ঠোঁট, ক্লান্ত চোখ — কিন্তু সেই পাইলট তখনো বালিতে ছবি আঁকছে, যেন কোনো মন্ত্রমুগ্ধ শিল্পী!
উদ্ধারের পরে পাইলট বলেছিল, "আমি টিকে ছিলাম, কারণ আমি বিশ্বাস হারাইনি। আমার ভাঙা চশমা আর এক টুকরো পেন্সিলও আমাকে মরুভূমিতে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।”
শিক্ষা: জীবন অনেক কিছু কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু আপনার বিশ্বাস কেড়ে নিতে পারে না। যদি আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখেন, কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না।
....ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।