a
ফাইল ছবি
ঈদুল আজাহা উপলক্ষে গত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা ছেড়েছেন ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬২টি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী। বুধবার রাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ হাতে এলো ১৫ থেকে ২০ জুলাই ঢাকা ছেড়ে যাওয়া সিমের হিসাব। এই কদিনে ঢাকা ছেড়েছে ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬২টি সিম। মনে রাখবেন এটি কিন্তু মানুষের হিসাব নয়। এক জনের ১৫টা পর্যন্ত সিম থাকতে পারে। আবার একটি সিমের সাথেও বহুজন ঢাকা ছেড়ে থাকতে পারেন।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যানুযায়ী, গ্রামীণফোনের ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৪টি, রবির ১৯ লাখ ২৬ হাজার ২৮টি, বাংলালিংকের ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬টি এবং টেলিটকের ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৪টি সিম ঢাকার বাইরে গেছে।’
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
৪৮ ঘন্টার মধ্যে টমটমের ভাড়া পুন:নির্ধারন না করলে মানববন্ধন, অবস্হান কর্মসূচী এবং অবরোধের মত বৃহত্তর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে জানান হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ পরিষদ।
গতকাল হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গনে হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে প্রচারপত্র বিলি এবং পথসভায় এই ঘোষনা দেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল। পথসভা শেষে যাত্রী কল্যাণ পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের ইশরাত জাহানের নিকট তাদের তৈরি ভাড়ার চার্ট এবং তিনটি রোডে টমটম নিয়ন্ত্রনের পরিকল্পনা পেশ করেন নেতৃবৃন্দ । খুব শীঘ্রই টমটমের সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক।
যাত্রী কল্যাণের পক্ষ থেক্ টমটম ভাড়া উঠানামা ৫ টাকা করাসহ চৌধুরী বাজার থেকে সরাসরি যারা শায়েস্তনগর যাবে তারা ১০ টাকা দিবে, আবার চৌধুরীবাজার থেকে বাসষ্টেশন যারা সরাসরি যাবে তারা ১০ টাকা দিবে এবং চৌধুরী বাজার থেকে যারা পোদ্দার বাড়ি যারা যাবে তারা ১৫ টাকা দিবে এভাবে ব্যাক রোড, বাইপাস রোডের ভাড়া নির্ধারন করে প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং রাস্তার যানজট নিরসনে, লোডশেডিং থেকে মুক্তি পেতে মেইন রোড, ব্যাক রোড এবং বাইপাস রোডে লাল, সবুজ, সাদা কালারে তিনশত করে গাড়ি চলাচলের সুযোগ দেওয়া এবং নয়শতের উপরে বাকি টমটমগুলো শহরের বাহিরে সুযোগ করে দেওয়া এবং ড্রাইভারদের লাল,সবুজ, সাদা কালারের শার্ট পরিহিত আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে বলে লিখিত আকারে ফর্মুলা তুলে ধরেন যাত্রী কল্যাণ পরিষদ।
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, মেয়র এবং সচিবকে না পেয়ে অফিসে জমা দেন বলে জানান সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল। গতকাল রবিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গনে হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েলের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এস এম হেলালুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বশিরুল আলম কাউছার, মো: আলমগীর রেজা, শফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ আলম চৌধুরী মিন্টু, জেলা এডভোকেট সমিতির নির্বাচিত সিনিয়র সদস্য এডভোকেট মোঃ ফয়সল আহমেদ চৌধুরী প্রমখ।
ফাইল ছবি
সরকারি ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়া ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবশেষে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন জেলা প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় বাস করেন বৃদ্ধ ফরিদউদ্দিন আহমেদ। কিছুদিন আগে ফরিদউদ্দিন আহমেদ সরকারি হটলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সহায়তা পাননি বরং তাকে জরিমানা হিসেবে ১০০ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হয়েছিলো।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন গতকাল রবিবার সকালে জানিয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠ ফরিদউদ্দিনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ডিসি বলেন, ফরিদউদ্দিনের পরিবারের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রথমে খবর বের হয়েছিল তিনি একজন বাড়িওয়ালা হয়েও ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন এজন্য তাকে জরিমানা করা হয়েছিল এতে তিনি অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরে বিষয়টির সত্যতা খুজে বের করে তাদের যে পরিমাণ খরচ হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আজ সোমবারের মধ্যেই সেসব ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আছে ১৬ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী ছেলে, স্নাতক পড়ুয়া মেয়ে ও স্ত্রী। জানা যায়, তিনি এক সময় হোসিয়ারি কারখানায় কাটিং মাস্টার হিসেবে কাজ করতেন। তিনবার ব্রেনস্ট্রোক করার পর এখন কাজ করতে পারেন না। এখন মাসে মাত্র আট হাজার টাকা বেতনে সেই কারখানাতেই শ্রমিকদের দেখবালের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান করোনাকালীন মহামারিতে সংকটে পড়ে নিরুপায় হয়েই জাতীয় কলসেন্টারের ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন তিনি। ওই কলই তার জীবনে কাল হয়েছিল।
সরকারি সহায়তার আশায় তিনি কল করেছিলেন ওই নম্বরে। কিন্তু সহায়তা তো পাননি, উল্টো তিনি চারতলা ভবনের মালিক এমন তথ্যের কারণে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে তাকে। স্থানীয় লোকদের থেকে ধার করে তিনি জরিমানা পরিশোধ করেছিলেন বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরার নির্দেশে তাকে ১০০ জনের মধ্যে চাল, আলু, ডাল, লবণ ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে হয়েছিলো।