a
ফাইল ছবি
ঈদুল আজাহা উপলক্ষে গত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা ছেড়েছেন ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬২টি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী। বুধবার রাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ হাতে এলো ১৫ থেকে ২০ জুলাই ঢাকা ছেড়ে যাওয়া সিমের হিসাব। এই কদিনে ঢাকা ছেড়েছে ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬২টি সিম। মনে রাখবেন এটি কিন্তু মানুষের হিসাব নয়। এক জনের ১৫টা পর্যন্ত সিম থাকতে পারে। আবার একটি সিমের সাথেও বহুজন ঢাকা ছেড়ে থাকতে পারেন।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যানুযায়ী, গ্রামীণফোনের ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৪টি, রবির ১৯ লাখ ২৬ হাজার ২৮টি, বাংলালিংকের ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬টি এবং টেলিটকের ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৪টি সিম ঢাকার বাইরে গেছে।’
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে মেদান্ত মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ঢাকায় গত ৩০ আগস্ট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর গতকাল দুপুরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় পাশের রাজ্য হরিয়ানার ওই হাসপাতালে।
মেদান্ত মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. অরুণ গার্গ বলেছেন, ‘তাঁর (তোফায়েল আহমেদ) অবস্থা স্থিতিশীল। আমরা তাঁকে আরও পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে রেখেছি।’ সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের নয়াদিল্লির ব্যুরো চিফের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে ডা. গার্গ বলেছেন যে, তিনি তাঁর চিকিৎসক দলের সঙ্গে অসুস্থ নেতাকে পরীক্ষা করে কিছু মেডিকেল চেক-আপের পরামর্শ দিয়েছেন।
ডা. গার্গ আরো বলেন, ‘দুশ্চিন্তার কিছু নেই, আশা করি আগামী দুই/এক দিনের মধ্যে আমরা সবকিছু ঠিকঠাক হলে তাঁকে (তোফায়েল আহমেদ) কেবিনে পাঠাতে পারবো।’
ফাইল ছবি
করোনার থাবায় শেষ পর্যন্ত স্থগিত করতে হলো আইপিএল ২০২১। বেশ কয়েকটি ফ্রাঞ্চাইজির স্টাফ খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়াতে শেষে আর কোন উপায় খুজে না পেয়ে সাময়িকভাবে আইপিএল বন্ধ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবারের পর মঙ্গলবারও চেন্নাই বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র-র করোনা রিপোর্ট মঙ্গলবারই পজিটিভ আসে। তারপরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল বন্ধ করতে বাধ্য হয় বিসিসিআই। একের পর এক ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ ধরা পড়তেই দিল্লির ম্যাচ বাতিল করার দাবি উঠেছিল।
স্টার স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসের ৭ তারিখ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি, ব্রডকাস্ট এবং ওপারেশন টিম মুম্বইয়ে স্থানান্তর করার জোর দাবি ছিল। নতুন সূচি অনুযায়ী ফের খেলা আরম্ভের কথা ছিল ১০ মে'র পর।
বিসিসিআই বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা আইপিএলে বন্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, আপাতত আইপিএল বন্ধ করা হলো। সমস্ত দল, ব্রডকাস্টার এবং টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হলো। পরের অবস্থা এবং সুযোগ বুঝে নতুন সূচি প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য গত এপ্রিল মাসের ৯ তারিখ থেকে করোনার কারনেই গ্যালারি ফাঁকা রেখে আইপিএলের ১৪তম শুরু করে বিসিসিআই। এর আগে আইপিএলের মাঝপথে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কিছু অজি তারকা আইপিএল ছেড়ে দেশে পাড়ি জমান। এবারের আইপিএলে বাংলাদেশ থেকে কলকাতার হয়ে খেলছেন সাকিব আল হাসান ও রাজাস্থান রয়েলসের হয়ে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান।