a
ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আর কখনও কিপিং না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। আজ এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। আগেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে কিপিং ছেড়েছেন মুশফিক। এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে কিপিং ছাড়লেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। হয়তো আরো কিছুদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে কিপিং উপভোগ করতে চান তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগেই জাতীয় দলের প্রধান কোচ জানিয়েছেন, প্রথম দুই ম্যাচে কিপিং করবেন নুরুল হাসান সোহান। পরের দুই ম্যাচে কিপিং করবেন মুশফিক। কোচের সেই কথা সেই অনুযায়ী আজ রবিবার কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে উইকেটের পিছনে মুশফিককেই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৩টায় টসের সময় জানা যায়, এ ম্যাচেও উইকেটকিপিং করবেন সোহান। খেলা শেষে কোচ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর কিপিং করতে চান না মুশফিক।
প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, মুশফিকের সঙ্গে কথা বলার পর উইকেটকিপার বদলানো হয়েছে। আজ তারই কিপিং করার কথা ছিল। তবে মুশফিক আমাকে বলেছে, সে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিপিং করতে চায় না। কোচ আরও বলেন, আমাদের এখন সোহানের দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং বিশ্বকাপের আগে তাকে নিজের কাজটা করতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেটরক্ষক হিসেবে ৩২টি ক্যাচ ও ২৯টি স্ট্যাম্পিং করেছেন মুশফিক।
ফাইল ছবি
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রসঙ্গ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি। সহকারী নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে যথাসময়ে হাজির প্রধান নির্বাচক। কিন্তু ছুটির দিনে মিরপুর স্টেডিয়ামে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের কেউ নেই! প্রখর রোদে বিসিবি একাডেমির সামনে, পরে একাডেমি ভবনের ভেতরে দুই দফা সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা হয়েছিল। সংবাদকর্মী ও নির্বাচকদের সমন্বিত সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত মিডিয়া সেন্টারের সামনে হয় সংবাদ সম্মেলন।
চলতি বছরের জন্য বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় আছেন ২১ ক্রিকেটার। কিন্তু গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচকদের দিকে ছুটে যাওয়া সিংহভাগ প্রশ্নই হলো সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। জাতীয় দলে অনিয়মিত হলেও সাকিবকে রাখা হয়েছে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে। তা নিয়ে প্রশ্নবাণে পড়তে হয়েছে নির্বাচকদের।
সবগুলো প্রশ্নই ছিল নান্নুকে উদ্দেশ করে। মাঝেমধ্যে কথা বলেছেন রাজ্জাকও। কথার মাঝে মেজাজও হারিয়েছেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার। একবার তো প্রশ্ন করা এক সাংবাদিককে উল্টো প্রশ্নই করে বসলেন, ‘আপনি যদি নির্বাচক হতেন কী করতেন? সাকিবকে বাদ দিতেন না রাখতেন।’
যদিও বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা, না রাখা সাংবাদিকদের কাজ নয়। এটা বেমালুমই ভুলে গেছেন রাজ্জাক। শুধু এটুকুই নয়, গতকাল সাকিব প্রশ্নে নির্বাচকদের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে রাজ্জাকের কথায়। সাবেক সতীর্থ সাকিবকে নিয়ে প্রশ্নের মিছিল দেখে হয়তো মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সাকিব কিন্তু এখনো কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। সাকিব এই মাপের খেলোয়াড় যে নিজে থেকে কোনো ফরম্যাট থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন।’
আলোচনা ছাড়াই সাকিবকে কেন্দ্রীয় চুক্তির তিন ফরম্যাটে রাখা হয়েছে, তা স্বীকার করে রাজ্জাক বলেন, ‘এখনো সাকিবের সঙ্গে আমাদের ওরকমভাবে কথা হয়নি। যেহেতু হয়নি, ফট করে একটা কথা বলে দেওয়া ঠিক না। কথা হলে জানতে পারবেন।’
বার বারই অগ্রজ নান্নুকে থামিয়ে দিয়ে কথা বলেছেন রাজ্জাক। তবে নান্নু জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তির এই তালিকা নির্বাচকরা জমা দিয়েছেন এক মাস আগে। তারপরই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাকিবের খেলা, না খেলার নাটক মঞ্চস্থ হয়।
নির্বাচকদের কাছে তথ্য আছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর বছরের বাকি সময়ে সব ম্যাচ খেলবেন সাকিব। নান্নু বলেন, ‘ও (সাকিব) ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। তারপর থেকে ও এভেইলেবল। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী তিন ফরম্যাটের জন্যই ও এভেইলেবল আছে।’ কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা দিলেও ক্রিকেটারদের গ্রেডিং ঘোষণা করা হয়নি। অচিরেই বিসিবির অপারেশন্স বিভাগ গ্রেডিং ঘোষণা করবে বলে জানান নির্বাচকরা। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, যারা করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মতো টিকা নেই। এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সোমবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডা. মীরজাদা সেব্রিনা ফ্লোরা।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এখন আমাদের কাছে ৪২ লাখ টিকা মজুদ আছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের আগে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার। সবার টিকা নেই। তবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সংবাদ সম্মেলনে সরকারের ১৮টি নির্দেশনা পাঠ করে শোনান ।
এরপর ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত তথ্য, রোগীর মাত্রা, সংক্রমণের হার ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করি।
২৪ মার্চ পর্যন্ত যে তথ্য আমাদের হাতে এসেছে তার ভিত্তিতে মোট ২৯টি জেলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, নওগাঁ, সিলেট, খুলনা রয়েছে।