a
ফাইল ছবি
দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের ভুগছিলেন আম্পায়ার নাদির শাহ। রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় দিকে মারা গেছেন বাংলাদেশের আইসিসি প্যানেল আম্পায়ার নাদির শাহ। রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
বছরদুয়েক আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগের ম্যাচ পরিচালনা করার সময় মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর থেকেই অনেকটা গৃহবন্দি মাঠের এই মানুষ। খেলোয়াড়ী জীবনে নাদির শাহ ছিলেন লেগ স্পিনার। সঙ্গে ব্যাটিংও খারাপ করতেন না। ঢাকা লিগে দুই দশকের বেশি সময় খেলেছে আবাহনী, মোহামেডান, বিমান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সূর্যতরুণ, আজাদ বয়েজ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান ক্লাবের হয়ে। পরে আম্পায়ারিং শুরু করে একসময় হয়ে ওঠেন দেশের এক নম্বর আম্পায়ার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করে ২০০৬ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় তার। সব মিলিয়ে ৪০টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনি পরিচালনা করেন মাঠে দাঁড়িয়ে। টিভি আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেন ৬ টেস্ট ও ২৩ ওয়ানডেতে। এছাড়াও ৭৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১২৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।
তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিসিবি পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নাদির শাহ (১৯৬৪-২০২১)। আমাদের ভালোবাসার মানুষ, অতুলনীয় নাদির শাহ আর নেই। তার বিদেহী আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি।’
ফাইল ছবি
বনেদী ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট হচ্ছে টি-টুয়েন্টি যেখানে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব বহু পুরনো। কিন্তু পরাজয় যেন পিছু ছাড়ছে না অজিদের, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সীমিত পরিসরের সিরিজের হার চলমান রয়েছে বাংলাদেশেও এ নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট প্রেমিদের মনে। তাদের এ হতাশা বহুগুনে বাড়িয়ে দিচ্ছে সরাসরি খেলা দেখতে না পারার আক্ষেপ। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় দীর্ঘ ২৭ বছর পর জাতীয় দলের ম্যাচ দেখতে না পেরে ক্ষিপ্ত দেশটির ক্রিকেট ভক্তরা।
গত ২৭ বছরে এই প্রথম জাতীয় দলের কোন ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্বদেশী দর্শকরা। বিষয়টি নিয়ে একরকম রসিকতা করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করে সঠিক লিংক চেয়েছেন অজি মারকুটে ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
তিনি তার পোস্টে বলেন আমি কি বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের লিংক পেতে পারি? তার সেই টুইটের কমেন্ট সেকশনে তখন জমা হতে শুরু করে অসংখ্য অবৈধ স্ট্রিমিং লিংক।
অস্ট্রেলীয় দলের ১৯৯৪ সালের পাকিস্তান সফর ছিল সর্বশেষ সিরিজ যেটা কোন টিভি চ্যানেলে দেখতে পারেনি স্বদেশী দর্শকরা। গত ২৭ বছরে অস্ট্রেলিয়ার সিংহভাগ ক্রিকেট ম্যাচই সম্প্রচার করেছে টেলিভিশন কোম্পানি ফক্সটেল। সম্প্রচারের বেলায় বলতে গেলে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ডই ফক্স।
২০১৮ সালে ১১৮ কোটি ডলারের বিশাল এক চুক্তিতে ৬ বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সকল হোম সিরিজ এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সত্ত্ব কিনে নেয় ফক্সটেল। এই চুক্তির পর থেকেই বাইরের সিরিজগুলোর জন্য একটু হিসেব করে খরচ করা শুরু করে তারা। প্রতিটি সফরের আগেই আয়োজক দেশের বোর্ডের সাথে একরকম দামাদামিতে লিপ্ত হয় ফক্সটেল। কম হাইপ থাকা সিরিজগুলোয় সেই দামাদামি একেবারে চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
মে মাসে এই সিরিজের সূচি ঘোষিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ফক্সটেলের কাছে সিরিজ সম্প্রচার বিষয়ক চুক্তির জন্য নিজে থেকে প্রস্তাব পেশ করে। তাদের সেই প্রস্তাবকে একদম পাত্তাই দেয়নি ফক্স।
বাংলাদেশে আসার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে এসেছে অজিরা। সেই সিরিজের চুক্তির সময়ও একইরকম গড়িমসি করেছে ফক্স। সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র দুইদিন আগে উইন্ডিজ বোর্ডের সাথে সম্মতিতে আসে তারা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরবর্তী সময়ে এই সিরিজ ইউটিউবে সম্প্রচারিত হবে এরকম ইঙ্গিত দিলেও গতকাল অস্ট্রেলিয়ার কোথাও ইউটিউবেও স্ট্রিম হয়নি এই ম্যাচটি। অস্ট্রেলিয়ায় ২৭ বা তারচেয়ে কম বয়সী কোন ক্রিকেট ভক্তই এর আগে এরকম ব্ল্যাকআউটের শিকার হয়নি।
এমন আক্ষেপের দিনে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ ক্রিকেট ভক্তরা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ভালোই ক্ষোভ ঝেড়েছেন তারা। সম্প্রচারকদের এমন বিলাসিতার সমালোচনা করেছে কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রও।
ফাইল ছবি
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে প্রায় ৩০০ জন নিহত ও ১৫৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ এবং এর উৎপত্তি আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেদেনের স্কাই রিসোর্টের কাছে।
ইউএসজিএস-এর তথ্যানুযায়ী, এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মরক্কোতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি। ১৯০০ সালের পর সেখানে ৬ মাত্রার কোনও ভূমিকম্প আঘাত হানেনি।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরাতন মারাখেস শহর। সেখানে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। পুরাতন এই শহরটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শহরটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের খুব কাছাকাছি অবস্থিত।
রাষ্ট্র পরিচালিত আল-আউলা টেলিভিশন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রিপোর্টটি প্রচার হওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে অন্তত ২৯৬ জন নিহত ও ১৫৩ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি, আল জাজিরা