a
সংগৃহিত ছবি
আইসিসি ওয়ানডে সুপার লীগের শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল মিরপুরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজ জিতার পর এই বিশাল সুসংবাদ পেল ক্রিকেট পাগল বাংলাদেশী ভক্তরা।
ওয়ানডে র্যাংকিং এ বাংলাদেশ ভারত ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডকে পিছনে ফেলে এ সাফল্য অর্জন করে, শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট ৫০,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান তাদের উভয়ের পয়েন্ট ৪০। বাংলাদেশ সফরে আসা শ্রীলঙ্কার রয়েছে টেবিলের তলানিতে তাদের পয়েন্ট -২। গতকাল সিরিজ জিতার পর আইসিসি নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সকল দলের পয়েন্ট তালিকা প্রকাশ করেছে। আগামী ২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওয়ানডে সুপার লীগ চালু করে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। টেবিলের শীর্ষ আট দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে বাকি ২টি দলকে অন্য দলে সাথে কোয়ালিফাই করে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশের এমন সাফল্যে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তকুলের চাওয়া টাইগারদের এমন সাফল্যের ধারাবাহিককতা বজায় থাকুক সবসময়।
ছবি: সংগৃহীত
টি-২০ বিশ্বকাপে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন ভারত ও পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে ব্যতিক্রমভাবে। আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে রোহিতরা ভালোভাবেই মিশন শুরু করেছেন।
অন্যদিকে বাবর আজমদের শুরটা ভালো হয়নি। পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার দিয়ে। ফলে সুপার এইটে উঠার লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচে তাদের জয় পেতেই হবে।
আজ (রবিবার) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দল। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে এই লড়াই। গোটা ক্রিকেট বিশ্ব এই ম্যাচটি দেখতে উন্মুখ হয়ে বসে আছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাক-ভারত দ্বৈরথের ইতিহাস বেশ পুরনো। তাই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে দুই দলের এই ম্যাচের আগে ভারত-পাকিস্তানের বিগত পরিসংখ্যানে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
বিশ্বকাপের অতীত পরিসংখ্যান এবং শক্তির বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে বেশ এগিয়ে ভারত। আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানও এখন তাদের দখলে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে পাকিস্তানের দল। তাই লড়াইটা যে সহজ হবে না, সেটা নিশ্চিত বলা যায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। জয়ের হিসাবে পাকিস্তানের চেয়ে বেশ এগিয়ে ভারত। বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি ৭ বার, ছয়টিতেই জিতেছে ভারত। সবশেষ ২০২১ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টিতে দু’দলের মোট ১২ দেখায় মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। আর ভারত জিতেছে ৯টি। তবে পরিসংখ্যান যেমনই হোক, মাঠে নিজেদের সেরাটা দিলে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই যে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে পাকিস্তান, সেটার প্রমাণ অনেকবারই দিয়েছেন বাবর-রিজওয়ানদের দল।সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বিগত সত্তর দশক ধরে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সমন্বয় চলে আসছে, সে মোতাবেক দুই দেশ একজোট হয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুল্লিভান।
সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ফোনালাপে করোনা পরিস্থিতিতে সমবেদনা জানিয়ে তিনি টিকা তৈরির কাঁচামাল এবং ভেন্টিলেটর পাঠানোর আশ্বাস দেন।
যদিও গত ২দিন আগের খবর যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত আবেদন করেছিল যাতে করোনা টিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে। সেখানে ভারতের আবেদন গ্রহণ না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই যুক্তি দিয়েছিলেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কভিশিল্ড তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যত দ্রুত সম্ভব ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সাহায্য পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন নিজেই। গতকাল রবিবার এক টুইটবার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মহামারীর শুরুতে যখন যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালের ওপর চাপ পড়েছিল, তখন ভারত যেমন আমাদের সাহায্য পাঠিয়েছিল, তেমনই প্রয়োজনের সময় আমরা ভারতকে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর।’
এদিকে, প্রেসিডেন্টের কিছুক্ষণ পরই টুইট করেন ডেপুটি কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, ‘উদ্বেগজনক কভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলায় বাড়তি সাহায্য এবং সরঞ্জাম প্রদানের জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করছে আমেরিকা। সাহায্য প্রদানের পাশাপাশি সাহসী স্বাস্থ্যকর্মীসহ ভারতীয়দের জন্য প্রার্থনা করছি।’
অক্সিজেন-চিকিৎসার অভাবে ভারত যখন মৃত্যুপুরী পরিণত হয়েছে, তখন অসহায় দেশটির পাশে দাঁড়াচ্ছে একে একে বিশ্বের সকল দেশ।
ইতিমধ্যে ভারতের এমন মহাবির্যয়ে পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মান ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এরই মধ্যে অক্সিজেনসহ বিভিন্ন চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
ভারতের এই চরম বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ। করোনা সংকট মোকাবেলায় দেশটিকে সব ধরনের সহায়তার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি ও ফ্রান্স।