a টেলর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩২, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

টেলর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:০৮
টেলর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিদায় বলতে যাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের তারকা ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেলর। ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার আর একটি ওয়ানডে খেলেই বিদায় জানাবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। অবসরের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন টেলর নিজেই।

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় টেলর জানান, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেই হবে তার ক্যারিয়ারের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

গত সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচে ১১০ রান করতে পারলে টেলর বনে যাবেন ওয়ানডেতে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

ইনস্টাগ্রাম বার্তায় টেলর বলেন, ‘অনেক ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বলতে হচ্ছে, আগামীকাল আমার প্রিয় দেশের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলব। এটা আমাকে বিনয়ী হতে সহায়তা করেছে, আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে এই পর্যায়ে থাকতে পেরে আমি কতটা ভাগ্যবান। ২০০৪ সালে প্রথম যখন খেলতে নামি, তখন থেকেই আমার লক্ষ্য ছিল দলকে ভালো অবস্থানে রাখা। আশা করি আমি এটা করতে পেরেছি।’

টেলর আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে যে বন্ধুত্বগুলো হয়েছে তাতে আমি কৃতজ্ঞ। আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে ধন্যবাদ। আমার সাবেক-বর্তমান কোচ ও সতীর্থদের হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি তোমাদের কখনই ভুলব না।’

এছাড়াও স্ত্রী-সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টেলর লিখেছেন, ‘এয়ারপোর্টে আর মন খারাপ করতে হবে না।’ ২০০৪ সালের এপ্রিলে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেক হয় টেলরের। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন ৩৪টি টেস্ট, ২০৪টি ওয়ানডে, ৪৫টি টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলা টেলর অবসর নেবেন ২০৫টি ওয়ানডে খেলে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে জয় পেল অস্ট্রেলিয়া


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবা প্রতিদিন
শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ০৮:৩৩
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে জয় পেল অস্ট্রেলিয়া

ফাইল ছবি

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল অস্ট্রেলিয়া। ১২০ বলে ১১৯ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমেও বিপাকে পড়েছিল অসিরা। ৩৮ রানে প্রথমসারির ৩ উইকেট পতনের পর দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

চতুর্থ উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন স্টিভ স্মিথ। তাদের এ জুটিতেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় অসিরা।

কিন্তু এরপর ১ রানের ব্যবধানে স্টিভ স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েলের উইকেট হারিয়ে আবারও চাপের মধ্যে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ দিকে মার্কু স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। তাদের কল্যাণে ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

শনিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১১৮/৯ রানে ইনিংস গুটায় প্রোটিয়ারা।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।

তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জশ হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রিশি ভেন দার ডুসেন। জশ হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক।

১৩ বলে মাত্র ১৩ রান করে পেট কামিন্সের শিকার হয়ে ফেরেন হেনরি ক্লেসেন। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৮ ওভারে ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারায় আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১১৮/৯ রান (মার্কওরাম ৪০, কাগিসো রাবাদা ১৯*, ডেভিড মিলার ১৬, হেনরি ক্লেসেন ১৩, টিম্বা বাভুমা ১২; জশ হ্যাজলউড ২/১৯, অ্যাডাম জাম্পা ২/২১)।

অস্ট্রেলিয়া: ১৯.৪ ওভারে ১২১/৫ (স্টিভ স্মিথ ৩৫, মার্কু স্টয়নিস ২৪*, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৮, ম্যাথু ওয়েড ১৫* ডেভিড ওয়ার্নার ১৪, মিচেল মার্শ ১১)। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যে ইউক্রেন ধ্বংস হচ্ছে, তামাশা দেখছেন বিশ্ববাসী!


খোরশেদ, আন্তর্জাতিক সংবাদ:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২, ০১:০৪
বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যে ইউক্রেন ধ্বংস হচ্ছে, তামাশা দেখছেন বিশ্ববাসী

ফাইল ছবি

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের অধিকাংশ নগরী, সামরিক স্থাপনা ধ্বংস ও দখলে নিয়েছে রুশ সৈন্যরা। এতে করে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় সামরিক-বেসামরিক হতাহত হয়েছে অনেক।

রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। তারা দাবি করছে, বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়াতে এই অভিযান। মি. পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে এই প্রথমবারের মতো রাশিয়া শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এটি গত শুক্রবার পশ্চিম ইউক্রেনের বড় ধরনের ভূগর্ভস্থ অস্ত্রের গুদাম বরাবর আঘাত হানে এবং আঘাতে পুরো গুদামটি ধ্বংস হয়ে যায়।

এরপর গত রবিবার রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপলে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম স্টিল প্ল্যান্ট আজোভস্তল ‘ধ্বংস’ হয়ে গেছে বলে সেখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের সংসদ সদস্য লেসিয়া ভ্যাসিলেঙ্কো টুইটারে লিখেছেন, ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টিল প্ল্যান্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে ইউক্রেনের অর্থনীতির বিশাল ক্ষতি বয়ে আনবে।

অপরদিকে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে তাদের পাল্টা হামলায় গত তিন সপ্তাহে ১৪ হাজার ৪০০ রাশিয়ান সেনা নিহত হয়েছে। জেনারেলসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাও এর মধ্যে রয়েছেন। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির  জেলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি আলোচনা-বৈঠকের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, ‘এখনই সময় আলোচনার’। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, ইন্টারফ্যাক্স, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান।

জেলেনস্কি মাঝে মাঝে পরাশক্তি রাষ্ট্রপ্রধানের ন্যায় হুঙ্কার ছাড়ছেন এবং পশ্চিমা বড় বড় শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যা বলেন না, তিনি তাই বলে যাচ্ছেন এবং মাঝে মধ্যে মানবিক মায়া কান্নাও কেটে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে তিনি বলছেন, আলোচনার এটাই সময় : ‘অবিলম্বে’ মস্কোর সঙ্গে অর্থবহ শান্তি ও নিরাপত্তা আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

গত ১৯ মার্চ, শনিবার  জেলেনস্কি বলেন, আগ্রাসন চালিয়ে রাশিয়ার করা ‘ভুলের’ ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখার এটাই একমাত্র সুযোগ। প্রতিদিনের মতো দেওয়া রাত্রিকালীন ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘নিজেদের ভুলের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য রাশিয়ার কাছে এটাই একমাত্র সুযোগ, এটাই সাক্ষাতের সময়, আলোচনার সময়, এটাই ইউক্রেনের ন্যায়বিচার ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনর্বহালের সময়।’ মস্কোকে সতর্ক করে জেলেনস্কি আারও বলেন, ‘অন্যথায় রাশিয়ার এমন ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা কাটিয়ে উঠতে আপনাদের কয়েক প্রজন্মের প্রয়োজন পড়বে।’

রুশ নাগরিকদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, ‘কেবল কল্পনা করুন মস্কোর স্টেডিয়ামে পড়ে আছে ১৪ হাজার মৃতদেহ এবং হাজার হাজার আহত ও অঙ্গহানির শিকার হওয়া মানুষ। এই আগ্রাসনে ইতোমধ্যে রাশিয়ার বহু হতাহত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটাই যুদ্ধের মূল্য। তিন সপ্তাহের সামান্য কিছু বেশি সময়ে। এই যুদ্ধ অবশ্যই থামাতে হবে।’

উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর ইউরোপ, আমেরিকা ও ন্যাটোসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইউক্রেন সামরিক সাহায্যের আবেদন করলেও কোন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণে সাহস দেখায়নি। ন্যাটো, ইউরোপ, আমেরিকাসহ প্রতিটি দেশ তাদের সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে না পাঠিয়ে, নিরাপদ অবস্থান থেকে কৌশলে তারা ইউক্রেনকে মারণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যু্দ্ধ করতে প্রকারন্তরে ইউক্রেনকে উৎসাহ দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে।

আবার আমেরিকাসহ কিছু দেশের অস্ত্র যখন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে ভাল প্রতিরোধ গড়ছে, তখন সেসব দেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীরা রাতে রাতে ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোতে ধুঁয়া তুলছে প্রতিটি দেশকে নিরাপদ রাখতে আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম মজুদ করার এখনই উপযুক্ত সময়! তাই বিশ্বের নজর যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দানে, এই সুযোগে অস্ত্র রফতানীকারক দেশগুলো ভিতরে ভিতরে অস্ত্র ব্যবসায়ে তৎপর।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৈন্য, যুদ্ধ-বিমান, নো-ফ্লাই জোনসহ নানাবিধ সাহায্য চেয়ে বার বার বিফল হয়েছে। ইউরোপসহ, আমেকিার রাষ্ট্র প্রধানরা জানিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে সৈন্য বা সামরিক বিমান পাঠালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে নিজেদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করেছে। ফ্রান্স, জার্মান, ইসরায়েল, ভারতসহ অনেক দেশ আমেরিকার কূটনৈতিক চাল থেকে নিজেদের কৌশলগত স্বতন্ত্র অবস্থানে রাখার চেষ্টা করে আসছে এবং তারা পরোপক্ষভাবে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে নিজেদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চিহ্নিত করছেন।

এদিকে ইউক্রেন সংকটের ঘটনাপ্রবাহ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করছে পশ্চিমাঘেষা সোস্যাল মিডিয়া।এক্ষেত্রে ইউক্রেন সংকটের শুরু থেকেই আলোচিত সোস্যাল মিডিয়ার ভূমিকা। বিশ্বে এর আগে কখনও কোনো যুদ্ধ কিংবা লড়াইয়ের ঘটনাপ্রবাহ সামাজিক মাধ্যমে এভাবে সরাসরি ও তাৎক্ষণিকভাবে নাক গলায়নি বা বাগাড়ম্বর সংবাদ পরিবেশন করেনি। বর্তমানে যুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহও যেন ঠিক করে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমগুলো।

পাশাপাশি যুদ্ধের ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের নীতি নির্ধারকদের প্রতি করণীয় ঠিক করার ব্যাপারে চাপ তৈরি হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম থেকেই। সিরিয়া যুদ্ধে এই প্রবণতা দেখা গেলেও, ইউক্রেন সংকটে তা যেন ব্যাপকহারে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ায় তৈরি হওয়া এ জনমতের চাপ তার কতটুকু আসল আর কতটুকু কৃত্রিম, সে প্রশ্নও উঠছে। বর্তমানে রাশিয়ার আক্রমণে যখন ইউক্রেনের বড় বড় শহর ও স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তখন অপরপক্ষগুলো শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ না নিয়ে প্রকারন্তরে ইউক্রেনে সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছেন। এবিষয়ে রুশ পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান যথার্থই বলেছেন ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে শান্তির কথা না বলে ইউক্রেনে সমরাস্ত্র পাঠিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।

তিনি আরও বলেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনে সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে যাচ্ছে। এসব দেশের সরকারগুলোর সম্মতিতে ইউক্রেনের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ভাড়াটে সেনাদের আমদানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের জয়ের সামান্য বিষয়গুলো বড় করে প্রচার করার চেষ্টা করছেন। যেমন গত ২০ মার্চ প্রচার করা হয় ইউক্রেনের আকাশে বাধাহীন এবং মন্থরভাবে দেশটির যুদ্ধবিমান উড়ছে। দেশটিতে অবস্থানকারী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের রিপোর্টিং টিম এমন দৃশ্য দেখেছেন।

ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র  ও যুক্তরাজ্যের  গোয়েন্দারা তাদের দৈনন্দিন আপডেটে দাবি করে আসছে এবং বলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনের আকাশসীমায় রাশিয়া ‘প্রবল আধিপত্য’ বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি। এসব খবর রাশিয়াকে আরো বেশি ক্ষেপিয়ে তুলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সিএনএনের টিম দাবি করছে, তাদের দেখা দৃশের সঙ্গে পশ্চিমা গোয়েন্দা তথ্যের মিল রয়েছে।      

খবরে বলা হয়েছে, সিএনএনের একটি টিম শনিবার ইউক্রেন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন কয়েকটি এলাকায় ভ্রমণ করেছেন। এই এলাকায় কয়েকশ কিলোমিটারের মধ্যে আকাশের নিম্নসীমায়  তারা ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান উড়তে দেখেছেন। এসব খবরে পরাশক্তি রাশিয়া তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহারের কৌশল অবলম্বন করাটাই স্বাভাবিক। এতে ইউক্রেনের কিছু কৌশলগত সামরিক-বেসামরিক জায়গা নিরাপদ থাকলেও এসব খবরের পর তা প্রধান টার্গেটে পরিণত হবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রাশিয়া এর আগে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি, কিন্তু ইউক্রেন এধরণের অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগের পর রাশিয়া তার দ্বিগুণ গতিসম্পন্ন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেণের শহর-জনপথ ধ্বংস করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেন পূনর্গঠনে কয়েক বিলিয়ন সাহায্যের প্রয়োজন হবে। করোনারোত্তর সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা, তখন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা সারা বিশ্বের জন্যই হুমকিস্বরূপ।

এদিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকিও দিয়ে বসলেন জেলেনস্কি, তিনি বলেন, পুতিনের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হলে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ হবে।

জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তিনি একইসঙ্গে সতর্ক করেছেন, যদি আলোচনার চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তাহলে দুই দেশের মধ্যে লড়াই ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ দিকে নিয়ে যাবে।'

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রবিবার সকালে সিএনএন-এর ফরিদ জাকারিয়ার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

আবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, আমেরিকা পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এখন ইউক্রেনকে এস-৪০০ দিতে তুরস্ককে প্রস্তাব করেছে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সহযোগিতার জন্য ইউক্রেনকে রাশিয়ার তৈরি সেই আলোচিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ দেওয়ার জন্য তুরস্কের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যদিও প্রথম থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য তুরস্কের প্রতি নাখোশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে এখন সেই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাই ইউক্রেনকে দিতে অনুরোধ করছেন মার্কিন নেতারা।

অপরপক্ষে, রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার চেয়ারম্যান ভ্যাজিস্লাভ ভোলোদিন তার ব্যক্তিগত টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বলেছেন, শান্তি চাইলে ইউক্রেনে মানবিক ত্রাণ না পাঠিয়ে অস্ত্র পাঠাচ্ছেন কেন?
ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে ইউক্রেনে সমরাস্ত্র পাঠিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেওয়ার পর রুশ পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান এ কথা বলেছেন।

ইউক্রেনে সমরাস্ত্র ও ভাড়াটে সেনা পাঠানোর ব্যাপারে আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্রদের হুশিয়ার করে দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি ইউক্রেন সংকট নিরসনে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে বিলম্ব করার জন্যও পাশ্চিমাদের দায়ী করেছে। খবর রুশ বার্তা সংস্থা তাসের।

তিনি বলেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনে সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে যাচ্ছে। এসব দেশের সরকারগুলোর সম্মতিতে ইউক্রেনের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ভাড়াটে সেনাদের আমদানি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার সহকর্মীরা শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানোর আগে তাদের নিজেদের আগে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।
তাই শান্তিকামী বিশ্ববাসী মানুষের আশা, বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য পরিহার করে সত্যিকার শান্তি স্থাপনে সকল পক্ষ মনোযোগী হওয়া। যা তুরস্ক, ফ্রান্স ও জার্মানসহ কিছু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়করা মাঝে মধ্যে উদ্যোগী হচ্ছেন। এসব উদ্যোগী রাষ্ট্র নায়করা সত্যিকার অর্থে শান্তি স্থাপনে উদ্যোগ নিতে পারলে বিশ্ববাসী হয়তোবা কথিত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে রেহাই পাবে।

মোহা. খোরশেদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্রিকেট

ক্রিকেট এর সব খবর