a
ফাইল ছবি
আগামীকাল দুপুর ১টায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
ঘরের মাঠে খেলতে নামলেও কিছুটা পিছিয়ে তামিম বাহিনী । এশিয়ান প্রতিপক্ষদের মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই কোনো সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাই এ সিরিজ নিজেদের যেমন প্রমানের সুযোগ তেমনি শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট হারের প্রতিশোধের সুযোগ টাইগারদের সামনে ।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম।
স্ট্যান্ডবাই: নাঈম শেখ, তাইজুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম।
ফাইল ছবি
তারকাবহুল ভারত দল তারকাহীন শ্রীলঙ্কার কাছে হারানো এক বিস্ময়ের ব্যাপার হয়ে থাকবে। ২০২১ সাল থেকে ১১ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার জয় মাত্র দুইটিতে। একই সময়ে পরে ব্যাট করে (দ্বিতীয় ইনিংসে) সাত ম্যাচে তারা জিতেছে, হেরেছে মাত্র চারটায়।
এই এশিয়া কাপেও তারা প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তানের সাথে করেছিল ১০৫ রান, হেরেছিল ৮ উইকেটে। বিপরীতে দুই ম্যাচে পরে ব্যাট করে দুইটাতেই জিতেছে লঙ্কানরা। তারা বাংলাদেশের ১৮৪ ও আফগানদের ১৭৬ রান পরে ব্যাট করে খুব সহজেই টপকে গেছে।
সেই লক্ষ্য তাড়ার আত্মবিশ্বাসেই এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে টস জিতেই লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা রোহিতের ভারতকে ব্যাটে পাঠান। এরপর ১৭৪ রানের বড় টার্গেট দেয় ভারত। তবে সেই বড় লক্ষ্য তাড়া করতেও শ্রীলঙ্কার খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।
কারণ শ্রীলঙ্কার হাতে ছিল দুই ইনফর্ম ব্যাটার। এক, টপ অর্ডারে কুসল মেন্ডিস ২, লোয়ার অর্ডারে স্বয়ং কাপ্তান দাসুন শানাকা। দুজনেই কালকে কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন।
৩৭ বলে ওপেনিংয়ে নামা মেন্ডিস করেছেন ৫৭ রান। পাথুম নিশাঙ্কাকে নিয়ে গড়েছেন ৬৭ বলে ৯৭ রানের জুটি। জয়ের পথটা দুই ওপেনারই মূলত মসৃণ করেছেন। আর ভারতীয় বোলিংয়ের পরের ধাক্কাটা সামলে নিয়েছেন ভানুকা রাজাপাকসে ও ক্যাপ্টেন শানাকা, তাদের ৩৪ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপই জয়ের পথটা সহজ করেছে।
যদিও একটা জায়গা একটু ব্যতিক্রম, শ্রীলঙ্কার স্পিন ভাণ্ডারের চেয়ে কালকে পেসাররাই ভালো করেছেন। তবে সবশেষে ভাগ্যটাও শ্রীলঙ্কাকে কালকে দিয়েছে যোগ্য সঙ্গ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এই বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে নতুন নির্বাচন কমিশন। একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।
তাই বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিনিয়ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ যখন দেশে গণতান্ত্রিক কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ভিত্তি সুসংহত তখন গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি অত্যন্ত লজ্জাকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হওয়া ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের কারণে বিএনপি জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি জনগণের ওপর দায় চাপায়। নিজেদের পরাজয় আড়াল করার লক্ষ্যে নির্লজ্জভাবে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করে আসছে।