a
ফাইল ছবি
আগামীকাল দুপুর ১টায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
ঘরের মাঠে খেলতে নামলেও কিছুটা পিছিয়ে তামিম বাহিনী । এশিয়ান প্রতিপক্ষদের মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই কোনো সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাই এ সিরিজ নিজেদের যেমন প্রমানের সুযোগ তেমনি শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট হারের প্রতিশোধের সুযোগ টাইগারদের সামনে ।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম।
স্ট্যান্ডবাই: নাঈম শেখ, তাইজুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম।
ফাইল ছবি
বিশ্বকাপজয়ী ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বাবা-মা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাঁচির পালস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ধোনির বাবা পান সিং এবং মা দেবকী দেবীকে।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে যাচ্ছেন চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি। কিন্তু ঠিক তার আগ মূহুর্তে এলো এই দুঃসংবাদ।
হাসপাতালে আপাতত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ধোনির বাবা-মাকে। তাদের বয়স বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে ধোনির পরিবার।
এদিকে আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্টের মাঝেখানে বায়ো-বাবল ছেড়ে বের হওয়ার উপায় নেই ধোনির। তাই মা-বাবার সঙ্গে আপাতত দেখা হচ্ছে না ধোনির।
সংগৃহীত ছবি
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর আশপাশের ৭টি জেলায় কঠোর লকডাউন চলছে। আগামী বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশ থেকে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন রাখতেই সরকারের এই পদক্ষেপ। তবে সরকার কঠোর লকডাউন দিলেও মানুষের মধ্যে তার মানার ইচ্ছা নেই। তারা চলাচল করছেন স্বাভাবিক নিয়মেই। পার্থক্য শুধু লকডাউনে থাকা ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবু থেমে নেই মানুষের চলাচল। প্রাইভেটকার বা হেঁটে ঢাকায় ঢুকছেন মানুষ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এসব চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে আশপাশের জেলা থেকে অনেকেই ঢাকায় প্রবেশ ও ত্যাগ করছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, জরুরি কাজেই ঢাকায় আসছেন ও ঢাকা থেকে যাচ্ছেন। ভেঙে ভেঙে চলাচল করায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।
ভৈরব থেকে আসা কামরুল ইসলাম জানান, জরুরি কাজে তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন। অফিস খোলা থাকায় তাকে ঢাকা ফিরতে হয়েছে। মাইক্রোবাস ও বিভিন্ন পরিবহনযোগে তিনি ঢাকায় এসেছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা ছোট চাকরি করি। কাজ না থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে। অফিস ও বাড়ি দুই-ই সামলাতে হয়। করোনার কারণে বাইরে চলাফেরা করা ঠিক না, এটা আমরাও বুঝি। কিন্তু উপায় না পেয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।
এদিকে জরুরি কাজে সিরাজগঞ্জ যাবেন রতন মিয়া। তিনি বলেন, বাড়িতে যাওয়া খুবই দরকার। কিন্তু বাস চলাচল বন্ধ। কীভাবে যাব, কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা) মো. সাইফুল হক বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী গাজীপুরেও লকডাউন চলছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরার এই অংশে কোনো দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে না। সড়ক নিয়ন্ত্রণে আমাদের টিম কাজ করছে। তবে অনেকেই অটোতে, রিকশায় এমনকি পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করছে।
এদিকে গাবতলী ফাঁকা থাকলেও আমিনবাজার ব্রিজের ওপর থেকে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। প্রাইভেটকার ও ট্রাকের জটে মানুষ পায়ে হেঁটেই আমিনবাজার পাড়ি দিচ্ছেন। অন্যদিকে সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারও যাত্রী পরিবহন করছে। প্রাইভেট কারগুলো সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া গ্রহণ করছে।
ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে একটি ছোট্ট শিশুকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন নোয়াখালীর চাটখিলের বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ্ব রহিমা খাতুন। সম্প্রতি সৌদিপ্রবাসী ছেলেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় দিতে আসেন। যখন ঢাকায় আসেন তখন নোয়াখালী রুটে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সাত জেলায় লকডাউন ও ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশ পথে বাইরের জেলা থেকে জরুরি পরিবহন ছাড়া সব যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা তিনি জানতেন না বলে জানান।