a
ফাইল ছবি
আগামি রবিবার ২৩ মে হতে শুরু হবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। তবে জায়গা হয়নি ইমরুল কায়েস, বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের। ইঞ্জুরির জন্য প্রাথমিক দল থেকে আগেই বাদ পড়েন দুই পেসার রুবেল হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর ছিল অধিনায়ক তামিম ইকবালের প্রচেষ্টায় ৫ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করার জন্য দলে ডাকা হয়েছে ইমরুল কায়েসকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলে যায়গা হলো না এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের। টানা ব্যর্থতার পরেও দলে টিকে গেছেন মিঠুন চৌধুরি। বিসিবির এই সিদ্ধান্তের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ট্রল করা হচ্ছে।
১৫ সদস্যের দলে আছেন চার স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড় নাঈম শেখ, তাইজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম। করোনাভাইরাসের কথা চিন্তা করেই চার স্ট্যান্ডবাই রাখা। তারাও দলের সঙ্গে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকবেন।
দল ঘোষনার পর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আমরা ওয়ানডে সিরিজ খেলেছি। তিন শূন্যতে জিতেছি। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আমরা দলে খুব বেশি পরিবর্তন আনিনি। আশা করি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও আমরা ভালো করবো।’
মিনহাজুল বলেছেন, ‘ঘরের মাঠে আমরা সবসময় ভালো খেলি। এই সিরিজেও তাই হবে আশা করি। নিউজিল্যান্ডে ভালো করতে পারিনি। কিন্তু ঘরের মাঠে খেলার আগে খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাসী আছে। আমরা একটি ভালো সিরিজের প্রত্যাশা করছি।’
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম।
স্ট্যান্ডবাই: নাঈম শেখ, তাইজুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম।
ফাইল ছবি
চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের আন্তর্জাতিক ধারাভষ্যকার, আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। আজ (১৮ এপ্রিল) এসএলসি’র দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ধারাভাষ্যকার হিসেবে বাংলাদেশ একমাত্র ধারাভাষ্যকার হিসেবে থাকছেন শামীম আশরাফ চৌধুরী। করোনার কারনে সীমিত করা হয়েছে ধারাভাষ্য প্যানেল সেই হিসেবে বাংলাদেশী দর্শকরা আতাহার আলীর কন্ঠ শুনতে পাবে না এই সিরিজে।
সিরিজে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকা সবাই শ্রীলঙ্কান। মূলত করোনা ভাইরাস প্রভাবে গত বছর থেকেই আইসিসি নিরপেক্ষ আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম বেধে দিয়েছে।
সিরিজে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন ইতোমধ্যে ১৯৭ টি টেস্ট পরিচালনার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রঞ্জন মাদুগালে। মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন কুমার ধর্মসেনা ও রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে।
টিভি আম্পায়ারের ভূমিকায় দেখা যাবে রবীন্দ্র উইমালাসিরিকে। চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন লিন্ডোন হ্যানিবাল (১ম টেস্ট), প্রগিত রাম্বুকওয়েলা (২য় টেস্ট)। রিজার্ভ আম্পায়ার প্রগিত রাম্বুকওয়েলা (১ম টেস্ট), লিন্ডোন হ্যানিবাল (২য় টেস্ট) ও রিজার্ভ ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন গ্রেইম লেব্রয়।
সিরিজে টিভি ধারাভাষ্যকার হিসেবে থাকছেন সুপরিচিত ধারাভাষ্যকার সাবেক লঙ্কান ক্রিকেটার রাসেল আরনল্ড, পারভেজ মারুফ, লঙ্কান জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রোশান আবেসিংহে, পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার আমির সোহেল ও একমাত্র বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকার শামীম আশরাফ।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে ২১ এপ্রিল-২৫ এপ্রিল, দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৯ এপ্রিল-৩ মে। ম্যাচ দুইটি করোনার কারনে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
ফাইল ছবি । বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আজ রবিবার ভোরে শরীরে তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিকালে মেডিকেল বোর্ড পর্যালোচনা বৈঠক করে প্যাথলজি টেস্ট দিয়েছে। এর রেজাল্ট আজই আসবে।
পরীক্ষার পরই বুঝা যাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের এই নতুন উপসর্গ কেন দেখা দিল। আজ মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের প্যারামিটারসগুলো উঠানামা করছে। চিকিৎসকরা সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছেন। জ্বর আসার পর একাধিক প্যাথলজি টেস্ট করানো হয়েছে। এর রেজাল্ট আসলে বোঝা যাবে এটা স্বাভাবিক জ্বর, নাকি অন্য কিছু। জ্বর স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ছিল, মেডিকেল বোর্ড এর কারণ খুঁজছে।
চিকিৎসক আরও বলেন, খালেদা জিয়ার হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আর ডায়বেটিসের মাত্রা ১১-১৩ এর মধ্যে আছে। হিমোগ্লোবিন বাড়ছে না।
মেডিকেল বোর্ডের আরেকজন সদস্য জানান, পোস্ট কোভিডের চিকিৎসা করতে গিয়ে অন্য রোগের চিকিৎসাগুলো এখনো সমানভাবে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন সেগুলো সামনে আসছে। এজন্যই আমরা বলছি, হাইয়ার সেন্টারে ট্রিটমেন্ট নেওয়া দরকার। যেখানে মাল্টিপল ডিজিসের ট্রিটমেন্ট পসিবল। এখন মূলত সমস্যা কিনডি ও রক্তের হিমোগ্লোবিনে।
কিনডির সমস্যায় খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। কিডনির ক্রিয়েটিনিন কয়েকদিন ধরেই বডার লাইনক্রস করছে। এর মাত্রা প্রায় ২ মিলিগ্রাম। এটা কেন কমছে না, এজন্যই মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। হার্টেও সমস্যা আছে।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ৬ দিন পর ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে জরুরিভাবে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা নিচ্ছেন।