a
ছবি সংগৃহীত
পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে হঠাৎ উত্তেজনা বাড়ার কারনে মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়ে গেলেও আমেরিকা ও ইসরাইল ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানকে উসকানি দিয়ে যাচ্ছিল এবং মজাই পাচ্ছিল। বিশ্বের কিছু প্রভাবশালী দেশগুলোর কূটনৈতিক কূটচালে দূ'দেশের সম্পর্ক প্রায় স্বাভাবিক পর্যায়ে।
কয়েক বছর সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েল হামলা চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হঠাৎ হামলার পর ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানের উপর ইসরায়েলসহ পশ্চিমারা বেজায় চটেছে। কারণ তাদের ধারণা, ইরানের বলেই হামাস ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা আজ এতো শক্তিশালী অবস্থায় পৌঁছেছে। তাই কোন শক্তিশালী দেশকে দিয়ে ইরানকে ব্যস্ত রাখতে পারলে ইসরায়েল বা পশ্চিমা শক্তিশালী দেশগুলো ইরানকে ধরাশায়ী করার সহজ হবে। তবে ইরান-পাকিস্তানের হঠাৎ স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় পশ্চিমাদের জন্য তাদের আশা গুড়েবালি হতে যাচ্ছে। এই মূহুর্তে ভঙ্গুর অর্থনীতি পাকিস্তান আর্থিক বা শামরিক সহযোগিতা ফিলিস্তিনীদের করতে না পারলেও তাদের লজিষ্টিক সাপোর্ট থাকলেই পশ্চিমাদের জন্য বড় মাথার ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
সর্বশেষ খবরে জানা যায়, টেলিফোনে কথা বলার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবুদল্লাহিন সন্ত্রাস দমনে নিবিড় সমন্বয় ও পারস্পরিক উদ্বেগের বিভিন্ন বিষয়ে শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে একমত হন। ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত উভয়ের কথোপকথন থেকে জানা গেছে, এ দু’জন পরিস্থিতি শান্ত করার বিষয়েও একমত হয়েছেন।
এদিকে সিরিয়ায় আবারও ইসরায়েল হামলার ফলে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের মতে, এই হামলার জন্য দায়ী ইসরায়েল এবং তিনি দাবি করেন, এতে চারজন সামরিক উপদেষ্টার পাশাপাশি সিরিয়ার অনেক বাহিনী নিহত হয়েছেন। হামলার বিষয়ে ইসরায়েল চিরাচরিত নিয়মে কোনো মন্তব্য করেনি। কয়েক বছর ধরে ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত লক্ষ্যবস্তুতে উপর্যপুরি হামলা চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ ধরনের হামলা আরও তীব্রতর হয়েছে। ফলে এই মূহুর্তে ইরান-পাকিস্তানের উত্তেজনা নিরসনটাই বেশি দরকার ছিল বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।
লেখক: খোরশেদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ফাইল ছবি
পাহাড়ে যেভাবে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও সহিংস ঘটনা ঘটছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।গত মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়িতে সেনা টহল দলের ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় দুজন সেনা সদস্য নিহত এবং দুজন সেনা কর্মকর্তা আহত হন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিলাইছড়ি উপজেলার জারুলছড়িপাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ওই স্থানের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। টহল দলটি জারুলছড়িপাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজ্ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে এবং এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে এক নতুন আতঙ্ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এই কেএনএ। এটি কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) একটি সামরিক শাখা। বছরখানেক আগে বান্দরবানে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
জানা যায়, কেএনএফের সামরিক শাখা কেএনএ’র শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে যায়।
২০২১ সালে একটি দল ফিরে আসে প্রশিক্ষণ নিয়ে। এ দলের সদস্যরাই এখন সেনাবাহিনীর ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুমান করা যায় যে, কেএনএ সদস্যরা মিয়ানমার থেকে শুধু প্রশিক্ষণই নয়, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও রসদ সামগ্রী পাচ্ছে। ফলে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পাহাড়ে অনেক সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় থাকার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এসব সংগঠন চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ, মাদক ব্যবসাসহ নানান ধরণের অপকর্মে জড়িত। আবার বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও এসব দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মূল কারণ।
তবে কেএনএ’র তৎপরতা শুধু এসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এরা বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তাদের তৎপরতা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির আগের পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন পার্বত্য এলাকা ছিল এক ভয়ের জনপদ। এটিই বড় চিন্তার বিষয়। কাজেই এ ধরনের সংগঠনগুলো কঠোরভাবে দমন করা সময়ের দাবি।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নির্মূলে পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আমরা পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে সরকারসহ সমগ্র দেশবাসীকে এগিয়ে আসার ও সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
রাজধানীর ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে ৪ কোটি টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের ওই শাখার ক্যাশ ইনচার্জসহ দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে বংশাল থানার ডিউটি অফিসার মাসুম বিল্লাহ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
মাসুম বিল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই টাকা উধাওয়ের বিষয়টি বুঝতে পারে ব্যাংকের ওই শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ক্যাশ ইনচার্জসহ দুই কর্মকর্তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। দুই ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন- রিফাত ও ইমরান। এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি।