a
সংগৃহীত ছবি
মালতির প্রশ্ন
এম.এস প্রিন্স
তোমাকে ছাড়া ভাবতে পারিনা আমি নিজেকে
পারিনা চলতে পৃথিবীর পথে।
তবে কেন রবে তুমি দূর থেকে বহু দূর?
হে কবি! এসো, মলিনি পৃথিবী লীন করি
চলি দুজনায় এক সাথে।
ভালোবাসার এক নীড়ে তোমায় ভালোবাসব-
ভালোবাসা দেব - ভালোবাসা নেব
যেন দুজনায় জোড়া কবুতর
অবাক বিশ্ব তাকিয়েই রবে -
আমরা চলব আমাদেরই মত রঙিন দুনিয়ায়।
কবির সাড়া পেলনা - গভীরের গান
শুধু সুরেই গেয়ে গেল মালতি।
কবি আজ কোথায়? কেন নীরব? প্রশ্ন তার।
ছবি সংগৃহীত: শহীদ ফাইয়াজ
ফাইয়াজ -এর জন্মদিনে মায়ের আবেগঘন চিঠি
প্রিয় ফাইয়াজ,
আব্বা আমার - আমার কলিজা বাচ্চা, আমার চাঁদের টুকরা। কেমন আছো আব্বা? পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকলে আজকে তোমার জন্য একটি বিশেষ দিন ছিল। কত কত স্মৃতি আমাদের। আব্বা আমি জানি তুমি খুব ভালো আছো। আমি তোমার জন্য কান্না করলেই মাহা আমাকে বলে 'মা, ভাইয়া তো শহীদ, ভাইয়া কত ভালো আছে! তুমি কাঁদো কেন?'
জানো বাবা, সেদিন বাজার করতে গিয়ে যেই চকোলেট এর শেল্ফ এর সামনে দিয়ে যাচ্ছি- আমি দেখতে পেলাম ঠিক তুমি দাঁড়িয়ে, আর ক্যাডবেরির একটা বড় Silk এর প্যাকেট আমাকে দেখিয়ে বলছো মুনাম্মা নেই এটা?' বাবা আমি আর চকোলেট কিনি না, মাহা মাইরীন ও আর আবদার করেনা।
সেইদিন মাইরীন মাহাকে বলছে 'জানো মাহা-মা আর কখনও বিরিয়ানি রাধবে না। ভাইয়া যে নাই, তাই।' সত্যিই তো বাবা, আমি কী করে রান্না করবো বলো? তোমাকেই তো খাওয়াতে পারবো না!
আব্বা, আমি কেমন আছি জিজ্ঞেস করবে না? আমি যে কেমন আছি জানি না বাবা- শুধু আমার কিছু ভালো লাগে না। শুধু মনে হয় অনেক দূরে হাঁটতে হাঁটতে কোথাও চলে যেতে পারতাম-। যেখানে কেউ নাই! চুপচাপ।
আমি যখন স্কুলে যাই বা অন্য কাজে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর ক্রস করতে হয়, জানো বাবা আমি পুরোটা রাস্তা চোখ বন্ধ করে থাকি। সিটি হসপিটালের সামনে দিয়ে গেলেও চোখ বন্ধ করে রাখি। মনে হয় কেন আমাকে এসব পথে চলতে হচ্ছে। ধানমণ্ডি ২৭ টা এখন সবচেয়ে বিভীষিকাময় আমার জন্যে।
আচ্ছা বাবা এই যে তোমার জন্মদিন, রোজার ঈদ, কুরবানীর ঈদ, পহেলা বৈশাখ আসবে..- আমি কী করবো বলো তো? আমাদের না একসাথে শপিং এ যাওয়ার কথা! তারপর শপিং শেষে পিৎজ্জ্বা আর কফি খেয়ে রিকশা চড়ে গল্প করতে করতে বাসায় ফেরার কথা!
আমি সারাটা দিন মনে মনে তোমার সাথে কথা বলি, তুমি যে কত কত উপদেশ দাও আমাকে! কত বড় হয়ে গেছো তুমি আব্বা!
জানো বাবা তোমার জন্য যখন দোয়া করি, তখন আমি একটু স্বার্থপর হয়ে যাই। আমি আল্লাহকে বলি, আল্লাহ ফাইয়াজ কি বুঝতে পারছে, ওর জন্য আমি কত কষ্টে আছি? ওকে প্লিজ একটু বলে দিয়েন যে তোমার মুনাম্মা ভালো নাই। তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা তোমার মুনাম্মার জন্য কঠিন শাস্তি হয়ে যাচ্ছে। আবার মনে হয়, এটা শুনলে হয়তো তোমার মন খারাপ হবে! তখন আবার কথা বদলে ফেলি। শুধু চাই তুমি ভালো থাকো।
তুমি ইনশাল্লাহ অনেক অনেক ভালো আছো। কারণ, যত মানুষ তোমার জন্য কেঁদেছে আর যত লোক তোমার জন্য দোয়া করছে- তুমি নিশ্চয়ই জানতে পারছো। মাতৃভূমির ক্রান্তিলগ্নে যেই ছেলে বীরের মত প্রান দেয়, তাকে কেউ ভালো না বেসে পারে বাবা? সমস্ত পৃথিবী তোমাকে এখন চেনে, আব্বা।
অনেক ভালোবাসি বাবা, অনেক দোয়া রইল। শুভ জন্মদিন বাবা ❤️।
তোমার মুনাম্মা
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি
ইরাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ৫১ পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান।
২০২০ সালে ইরাকের বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সন্নিকটে ড্রোন হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের শীর্ষ জেনারেলকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে তেহরান। খবর রয়টার্সের।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সন্ত্রাসবাদ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ৫১ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইরানের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি, হোয়াইট হাউসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন প্রমুখ।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানে থাকা মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্পদ ইরানি কর্তৃপক্ষ বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। যদিও ইরানে মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্পদ না থাকায় এই নিষেধাজ্ঞা প্রতীকী ব্যবস্থা হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
তেহরানের স্থানীয় গণমাধ্যমে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে বলেছে, জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং তার সহযোগির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী ভূমিকায় সংশ্লিষ্টতা এবং সন্ত্রাসবাদ ও মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ৫১ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি, যিনি এই বাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। পরে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তার নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী এবং মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্য কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তেহরান।
গত সপ্তাহে জেনারেল সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ট্রাম্পকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, নতুবা তেহরান নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিশোধ নেবে।