a
ফাইল ছবি
ডেঙ্গু এখন নীরব ঘাতক। উপসর্গ ও লক্ষণ আছে, কিন্তু পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে। এরপর দেখা যায় অবহেলা করে আর চিকিৎসকের কাছে যায় না রোগী। কিন্তু ধীরে ধীরে প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় নানা জটিলতা শুরু হয়। এক পর্যায়ে রোগী হাঁটতে পারে না, বিছানায় পড়ে যায়। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে তার শরীরে ডেঙ্গু নীরব ঘাতকের মতো সিংহভাগ ক্ষতি করে ফেলে। বিলম্বে আসার কারণে চিকিৎসক শত চেষ্টা করেও অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারে না।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ডেঙ্গুর লক্ষণ ও উপসর্গ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। উপসর্গ দেখে বাসায় থেকেই চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া যায়, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও মুগদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুর অন্যতম কারণ বিলম্বে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও একই অভিমত প্রকাশ করেছেন। শিশু ও নারীরা ডেঙ্গুতে বেশি মারা যাচ্ছে। কারণ তারা চিকিৎসাসেবা নিতে অবহেলা করছে, বিলম্বে হাসপাতালে আসছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, রিপোর্ট যাই আসুক, লক্ষণ ও উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ভয়ংকর হয়ে ওঠা ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মোট সংখ্যায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ হাজার ১৯৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাতে দেশে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ জনে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এই সংখ্যা এযাবতকালে সর্বোচ্চ। সূত্র: ইত্তেফাক
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২০০ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ হাজার ৩২৫ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১১,৫৭৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৯ জন।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৯৯৯৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৪০ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৫১০টি। শনাক্তের হার ২৯.৩১ শতাংশ।
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা অফিসিয়ালি সিক্রেট আইন মামলায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি চলছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চুয়ালি এ শুনানি চলছে। আদালতে রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানিতে অংশ নিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালতের সামনে অপেক্ষা আছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে আছেন।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধিতে করা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) ন্যস্ত করা হয়েছে। ডিবির রমনা বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, মামলাটির তদন্তভার তাঁরা পেয়েছেন। এখন তাঁরা শাহবাগ থানা থেকে নথিপত্র বুঝে নেবেন।
এর আগে পুলিশ রোজিনা ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে। একই সঙ্গে রোজিনা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে রোজিনা ইসলামের জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবীরা। ওই দিন শুনানি নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড আবেদন নাকচ করেন এবং রোজিনার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন। সেদিন আদালতের নির্দেশে রোজিনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দেশ বিদেশ থেকে সকলে অপেক্ষায় আছে আদালতে আদেশের উপর। দেশ বিদেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন সর্বস্তরের মানুষ রোজিনার জামিনের জন্য মানব বন্ধন সভা সমাবেশ মিছিল মিটিং করে যাচ্ছে এখন আদালত কি হুকুম দেয় সেদিকে তাকিয়ে আছে সকলে।