a
সংগৃহিত ছবি
শরীয়তপুর-মাঝিরঘাট সড়কের উত্তর প্রান্তে পদ্মা নদীর শাসন বাঁধ ঘেঁষে জিও ব্যাগ ও বালু ফেলে ফেরিঘাট নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে ঘাট নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ নৌ-যান কর্তৃপক্ষ। ঘাটের নির্মাণকাজ শেষ হলে মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার থেকে পন্টুন এনে মাঝিরঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে এই ঘাট দিয়ে শুধু হালকা যানবাহন চলাচল করবে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশলী মো. ফয়সাল নির্মাণাধীন মাঝিকান্দি ফেরিঘাট থেকে জানান, নদীর প্রবল স্রোতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি পারাপার বিঘ্নিত হয়। ইতোমধ্যে দুইবার ফেরি পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। তাই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সে কারণে হালকা যান ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য সীমিতভাবে ফেরি সার্ভিস চালু রাখার জন্য মাঝিকান্দি ফেরিঘাট চালু করা হবে। তাই দ্রুতগতিতে কাজ চলছে।
আগামী শুক্রবারের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে। পরবর্তীতে বাংলাবাজার ঘাট থেকে পন্টুন এনে ফেরি পারাপার চালু করা হবে। জাজিরা অংশে ভারী যান চলাচলের উপযোগী রাস্তা না থাকায় আপাতত ভারী কোনো যান এই ফেরিতে পার হবে না। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ফেরিঘাট চালু করতে কিছু দোকান সরিয়ে ফেলা হবে।
পরবর্তীতে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় রাস্তা করা সম্ভব হলে ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হবে।
সংগৃহীত ছবি
রাজশাহীতে বাস-মাইক্রোবাস ও লেগুনার ত্রিমুখী সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, দুপুরে রংপুর থেকে একটি হায়েস মাইক্রোবাস রাজশাহী আসছিল। পথে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে কাটাখালী থানার সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি হিউম্যান হলারকে (লেগুনা) ধাক্কা দেয়। এ সময় মাইক্রোবাসটির গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। ফলে গাড়ির ভেতরে সবাই দগ্ধ হয়ে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, মাইক্রোবাসটির ভেতরে চারটি পরিবারের ১৩ জন ব্যক্তি ছিলেন। সবাই মারা গেছেন। এছাড়া বাসের আরও চারজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে রামেক হাসপাতালে নেয়ার পর পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে ১১ জনের লাশ বের করা হয়। আগুনে মাইক্রোবাস ও হিউম্যান হলারটিও (লেগুনা) পুড়ে গেছে। রামেক হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত-নিহতদের নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
ফাইল ছবি
মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নে নির্বাচন পূর্ব সহিংসতায় ৪ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে জগদল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
আগামী ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও সৈয়দ হাসানের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে আজ শুক্রবার বিকালে নজরুল সমর্থকরা রহমান মোল্যা (৫৪), সবুর মোল্যা (৫২), কবির মোল্যা (৫০) কে কুপিয়ে হত্যা করে।
পরবর্তীতে সৈয়দ হাসানের সমর্থকরা নজরুল গ্রুপের ইমরান হোসেনকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় দু'পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় ৬ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত সবুর মোল্যার স্ত্রী মিরিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, নজরুল ইসলাম তার স্বামী সবুর মোল্যাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে। সে আগে বিএনপি করতো। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
জগদল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জানান, মেম্বার প্রার্থী নজরুল ও সৈয়দ হাসানের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েক বার সালিস বৈঠকও হয়েছে।
জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে মাগুরা সদর থানায় নজরুল ইসলাম ও সবুর মোল্যাকে ডেকে নিয়ে সালিস বৈঠক করা হয়। সেখানে দু'পক্ষই কোন সহিংসতায় জড়াবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আবার তারা এ সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।