a
ফাইল ছবি
চলতি বছরে হজযাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে প্রথম হজ ফ্লাইট ৩১ মে এর পরিবর্তে ৫ জুন থেকে শুরু হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এ সম্পর্কিত এক পত্রে এ তথ্য জানা যায়।
মন্ত্রণালয়ের পত্রে জানানো হয়, “রুট টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ এর আওতায় ২০২২ সনের হজে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবগামী শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের ইমগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে আগামী ৩১ মে প্রথম হজফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে সকল ধরনের প্রস্তুতিও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অদ্য রুট টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ বাস্তবায়নকারী সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এসে জানান রুট টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ এর জন্য ৪০ জন জনবলসহ সৌদি টিম ঢাকায় আগামী ২ জুনের আগে এসে পৌঁছাতে পারবে না এবং প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস/যন্ত্রপাতি এখানো ঢাকায় এসে পৌঁছেনি। এসকল ডিভাইস/যন্ত্রপাতি উল্লেখিত সৌদি টিমের সঙ্গে ঢাকায় আসবে। এই যন্ত্রপাতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইনস্টল করতে হবে। এতে কিছু সময় লাগবে। ফলে আগামী ৫ জুনের আগে তাদের পক্ষে ঢাকা থেকে হজযাত্রীদের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।”
ফলে ৩১ মে প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু করা হলে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হজযাত্রীদের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের হজযাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রথম হজ ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ডেডিকেটেড ফ্লাইট এবং ঢাকায় প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার স্বার্থে ৩১ মে এর পরিবর্তে আগামী ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু করতে হবে। সূত্র: বাসস।
ছবি : মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: বাংলাদেশ সনাতন পার্টি এর কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তি ও সনাতনী সম্প্রদায়ের পুর্ব ঘোষিত ৮ দফা দাবির বাস্তবায়ন এবং নিবন্ধন সংক্রান্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আজ রোজ শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এটি আয়োজন করে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি এর সভাপতি আশিষ কুমার দাশ এর সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুমন কুমার রায় এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অশোক তরু, মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলামিষ্ট সুরঞ্জন ঘোষ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহবায়ক অনিক রায়, সম্মিলিত সনাতন পরিষদের অ্যাড. জিতেন বর্মন শ্যামল সরকার, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি এর স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাংবাদিক শ্যামল কান্তি নাগ, অ্যাড. লিটন বনিক, প্রাণতোষ তালুকদার, মোহন সরকার, দিলিপ অধিকারী, অনিল সাধু, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি এর চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অজয় ভট্টাচার্য, নয়ন বিশংগ্রী, গৌরঙ্গ দে, বাংলাদেশ হিন্দু লীগের সাধারণ সম্পাদক শংকর, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি প্রদীপ কান্তি দে, রনি
রাজবংশী, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘের পিযুস দাস, সনাতন সংগঠনের মিঠুন ভট্টাচার্য শুভ এছাড়াও বাংলাদেশ সনাতন পার্টি এর দপ্তর সম্পাদক সুজীৎ দাস, জয় চক্রবর্তী, বিকাশ অধিকারী, অমিত মালী, রাহুল, জয়পুর হাটের বন্ধন বাগচী, শায়ান বালা, জন্টু জয়ন্তসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা অনতিবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি ও সনাতনী সম্প্রদায়ের ৮ দফাদাবী বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকাররের প্রধান উপদেষ্টা দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অনিক রায় সনাতনী সম্প্রদায়ের অস্থিত্ব রক্ষায় ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে সকলকে একসাথে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
মূখ্য আলোচক কলামিষ্ট ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যান ফ্রন্ট এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সুরঞ্জন ঘোষ বলেন হিন্দু সম্প্রদায় একচেটিয়া আওয়ামীলীগ কে ভোট দিলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাই বেশি লুটপাট ও দখল করছেন।
বাংলাদেশ সনাতন পার্টি এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুমন কুমার রায় বলেন সব সকারের আমলেই আমরা নির্যাতিত ও নীপিড়িত কোন সরকারের আমলেই আমাদের সঠিক অধিকার দেয়নি। সনাতনীরাই সবসময় বিভিন্ন দলের ভোটব্যাংক বা বলির পাঠা হিসেবে ব্যাবহার হয়েআসছে। বাংলাদেশ সনাতন পার্টি নিবন্ধন পেলে সনাতনীরা আগামী দিনে কারো ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার হবে না এবং সনাতনী সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ বলেন, বাংলাদশের সংখ্যালঘুর নির্যাতন হলেও সব সরকার তা বার বার অস্বীকার করেন যা জাতি হিসেবে আমাদের খুব লজ্জাজনক। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বন্ধে দ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর দ্রুত বিচারের দাবী জানায়। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি এর সভাপতি আশিষ কুমার দাশ বলেন সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর সংগঠিত নির্যাতন ও নিপিড়নের ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক তাই আগামীদিনে সনাতনী সম্প্রদায়ের অস্থিত্ব রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের কোন বিকল্প নাই। তাই বাংলাদেশ সনাতন পার্টিকে শক্তিশালী করতে কর্মিদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এবং তিনি নির্বাচন কমিশনকে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (BSP) কে নিবন্ধন দিয়ে সনাতনী সম্প্রদায়ের অস্থিত্ব রক্ষায় ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ফাইল ছবি
রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে পর্দা উঠেছে আইপিএলের চতুর্দশ আসরের। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ বলে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তোলে মুম্বাই। ইন্ডিয়ান্সদের শুরুটা ভালো হলেও শেষ দিকে সেভাবে রান তুলতে পারেননি তারা। ওপেনার রোহিত শর্মা ও ক্রিস লিন শুরুতে তোলেন ২৪ রান। এরমধ্যে রোহিত ১৫ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলিকে সাজঘরে পাঠান বুমরাহ।
এরপর অজি ওপেনার লিন করেন ৩৫ বলে ৪৯ রান। তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব ২৩ বলে ৩১ রান করেন। চারে নামা ইশান কিষাণ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু শেষ দিকে হার্ডিক পান্ডিয়া ১০ বলে ১৩, কিয়েরন পোলার্ড ৯ বলে ৭ এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া ৭ বলে ৭ রান করার সংগ্রহটা কম হয়ে যায় রোহিতদের।
ওই রান নিয়েই দারুণ লড়াই করে মুম্বাই। শুরুতে উইকেট নিয়ে ফেলে দেয় চাপে। তবে বিরাট কোহলি ৩৩ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩৯ রান করে দলকে ভরসা দেন। এবি ডি ভিলিয়ার্স এরপর দলকে জয়ের পথে তুলে নেন। তিনি খেলেন ২৭ বলে ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। শেষ দুই বলে থাকা দুই রান হার্শাল প্যাটেলরা তুলে নেন। বেঙ্গালুরু পেসার হার্শাল প্যাটেল বল হাতে ২৭ রানে তুলে নেন পাঁচ পাঁচটি উইকেট।