a
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাম্প্রতিককালে সহিংসতায় ১৯টি পরিবারের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৩০ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলু
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই গণহত্যায় ৯১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪১ জন শিশু ও ২৫ জন নারী। এ ছাড়া আটজন শিশু ও ৬ নারীসহ আল-কওলাক পরিবারের ২১ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আবু আউফ পরিবার এক শিশু ও ৫ নারীসহ তাদের নয় জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আল-তানানী পরিবারে এক নারী ও চার শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ৬ জন। সবাই নিজ বাড়িতে ইসরায়েলের নির্মম বোমার আঘাতে নিহত হয়েছেন।
ফাইল ছবি: সাবেক ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট
গাজায় নিরঙ্কুশ বিজয় বা হামাসের বিনাশ কোনোটাই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট। শনিবার (২৬ মে) গাজার চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানোর সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আনাদোলু এজোন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওলমার্ট বলেন, রাফায় সামরিক অভিযান দ্রুত বন্ধ করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে বন্দীদের ফিরিয়ে আনার জন্য চলমান গাজা যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া কোন পথ নেই।
ওলমার্ট বলেন, ‘গাজার চলমান যুদ্ধে ইসরাইলের কোনো লাভ নেই। এতে লাভ কেবল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের কিছু চরমপন্থী সদস্যদের।’
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত আগ্রাসনের পর ইসরাইল গাজায় নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে নিরহ ফিলিস্তিনিদের হ/ত্যা করে চলেছে। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়। এছাড়া ২৫০ জনকে বন্দী করেছে তারা।
এ পর্যন্ত গাজায় ৩৫ হাজার ৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে হ/ত্যা করেছে ইসরায়েল। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ যুদ্ধে গাজার বেশিরভাগ অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে ইসরায়েল।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা করছে বলে অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকা গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে একটি মামলা করেছিল।
হেগভিত্তিক ট্রাইব্যুনাল তেল আবিবকে নির্দেশ দিয়েছে যেন তার বাহিনী আর গাজায় গণহত্যা না চালায়। একইসাথে নির্দেশ দেয়া হয়, যেন দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে সামরিক অভিযান বন্ধ করে এবং অবরুদ্ধ উপত্যকার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের দ্রুত নিশ্চয়তা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
ফাইল ছবি
আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখাতে সারা দেশের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
৮৬টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। শনিবার অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শনিবার ঢাকা মহানগরীতে অধিদপ্তরের ৩টি টিম ও বিভাগীয় শহরসহ দেশের সর্বমোট ৩০টি জেলায় একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সারাদেশে মোট ৩২টি টিম ৩৯টি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় বিভিন্ন অনিয়মে ৮৬টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আর ভোক্তার অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তরের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সূত্র: যুগান্তর