a
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বুধবার ভোর থেকে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে।ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র বুধবার ভোর থেকে 'কঠোর লকডাউন' কার্যকর করার জন্য পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সাথে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বহু রাস্তা বেরিকেড বসিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরি সেবা সংস্থার কোন যানবাহনও যেতে পারছে না, যেতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তায়। সরকারের তরফ থেকে এটিকে 'কঠোর লকডাউন' হিসেবে বর্ণনা করা হলেও গার্মেন্টসসহ শিল্প কারখানা এবং ব্যাংক খোলা রয়েছে।
এ দফায় 'কঠোর লকডাউন' কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা নিতে যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
এর আগে ৫ থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও সেটি মূলত কার্যকর হয়নি। পুলিশ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এজন্য 'মুভমেন্ট পাস' ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানায়।
ফাইল ছবি: প্রধান উপদেষ্টা ড ইউনুস
নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আজ বিকালে বৈঠকে বসবেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বিকাল ৪টায়। পরের দিন তিনি বসবেন বিভিন্ন ধর্মীয় দলের ধর্মীয় সাথে। এসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐক্যের ডাক দেওয়া।
গতকাল মঙ্গলবার ছাত্র নেতাদের সঙ্গেও এসব বিষয়ে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস।
গত ২ ডিসেম্বর, সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালায় দেশটির একদল উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী জনতা। এ সময় তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রের মাধ্যম গোটা বিশ্ব পর্যবেক্ষণ করে। ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে এমন কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ঘটেনি।
এ ঘটনায় সোমবারই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আশানুরূপ তৎপরতা দেখায়নি।
তবে, ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীতে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশের হাইকমিশন, ডেপুটি হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সূত্র: যুগান্তর
নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ তোপের মুখে পরা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘিরে এখন দেশব্যাপী আলোচনা তুঙ্গে। যদিও তিনি ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। অবশ্য পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই তার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে সবাইকে উত্তেজনা পরিহার করে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মামুনুল।
শনিবারের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক লাইভ ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি। মামুনুল হককে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কেউ যেন কোনো বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার না করে। আপনারা কোনো অবস্থাতেই কোনো উত্তেজিত আচরণ করবেন না। জানমালের ক্ষতি হয় এই ধরনের কোনো কাজ করবেন না। তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা আমার পরিবারের সদস্যরা জানেন। পরিবারের যেই অভিভাবকরা আছেন তারাও জানেন। উপস্থিত পুলিশ সুপার তথ্যের সত্যতা যাচাই করেছেন। তিনি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেও নিশ্চিত হয়েছেন।’
মামুনুল হক ওই রিসোর্টে কেনো গিয়েছেন সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিনের পরিশ্রমে একটু হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। একটু বিশ্রাম প্রয়োজন ছিলো। বিশ্রামের জন্য ঢাকার অদূরে সোনারগাঁও ঘুরতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে আমার স্ত্রী ছিলো। তারপর আমরা এই রিসোর্টে উঠি। তার পরিচয় নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আসলে তিনি আমার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর স্ত্রী ছিলেন। তাদের আড়াই বছরের সংসার ছিলো। তাদের দুটি সন্তানও আছে। কলহের যের ধরে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর পারিবারিকভাবে আমি তাকে বিয়ে করি।’