a
ফাইল ছবি
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের বাচা-মরার লড়াইয়ে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে টিকে থাকলো টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট দল আর্জেন্টিনা। আজ বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে মেক্সিকোর বিপক্ষে অগ্নিপরীক্ষায় নামে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ শেষে গোল করতে ব্যর্থ হয় মেসির দল। তবে বিরতির পর জোড়া গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই অ্যাটাকে যায় তারা। তবে সেখান থেকে কোন বিপদ ঘটে না। অন্যদিকে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর খেলতে থাকে মেক্সিকো। ম্যাচের ৮ মিনিটে কর্নার পায় মেক্সিকো। তবে তা থেকে সুযোগ তৈরী করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৯ মিনিটে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে সুযোগ তৈরী হলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি মেক্সিকো।
ম্যাচের ২০ মিনিটে ডি বক্সের বাইর থেকে ফ্রি কিক পায় মেক্সিকো। তবে সেই ফ্রি কিক কাজে লাগাতে পারেনি মেক্সিকো। অ্যালেক্সিক ভেগার নেওয়া ফ্রি কিক নিজের গ্লোভসে নেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ম্যাচের ২২ মিনিটে ডি পলকে ফাউল করার কারণে নেস্টোর আরাউজোকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের ২৫ মিনিটে গোছানো আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ডান দিক থেকে লাউতোরো মার্টিনেজের নেওয়া শট চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে কর্নার আদায় করে আর্জেন্টিনা। সেই কর্নার কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। ডান প্রান্তে ডি পলকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির নেওয়া সেই ফ্রি কিক থেকে ঠেকিয়ে দেন মেক্সিকোর গোলরক্ষক গুইলের্মো ওচোয়া। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে আক্রমণে গেলেও তার পূর্ণতা দিতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে আবারও কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। শট কর্নার নেয় মেসি। মেসির থেকে বল পেয়ে ক্রস করে ডি মারিয়া। তার ক্রস থেকে হেড করে লাউতোরো মার্টিনেজ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে ফাউল করার কারণে গঞ্জালো মন্টিয়েলকে হলুদ কার্ড দেখান রাফারি। ডি বক্সের বাইর থেকে নেওয়া ফ্রি কিক অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
এরপর কিছু আক্রমণ চালালেও তা থেকে গোল বের করতে ব্যর্থ হয় দুই দল। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকো।
বিরতি থেকে ফিরে গোলের আশায় মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দু'দলই। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন গুতেরেজ। মেসির নেওয়া ফ্রি কিক চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৫০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও গোলশূন্য থাকে দু'দল। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ডান দিক থেকে ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকাররা।
এরপর থেকে আক্রমণে ধার বাড়ায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ফ্রি কিক পায় মেক্সিকো। সেই ফ্রি কিক থেকে বিপদের সম্ভাবনা তৈরী হলেও তা ক্লিয়ার করে দেয় আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা। গোলের আশায় ম্যাচের ৬৩ মিনিটে লাউতোরো মার্টিনেজের পরিবর্তে জুলিয়ান আলভারেজকে মাঠে নামান আর্জেটিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান লিওনেল মেসি। তার গোলে ম্যাচে লিড পায় আর্জেন্টিনা। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে মেক্সিকো। অন্যদিকে সমান তালে আক্রমণ করতে থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণে সুযোগ তৈরী করলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা।
এরপর ম্যাচের ৮০ মিনিটে ফ্রি কিক পায় মেক্সিকো। তবে সেই ফ্রি কিক থেকে নেওয়া হেড সহজেই নিজের গ্লোভসে নেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে কর্নার পায় মেক্সিকো। তবে তা কাজে লাগেত পারেনি তারা। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে কর্নার আদায় করে আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে ম্যাচের ৮৭ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের সামান্য ভেতর থেকে অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান এন্দ্রো ফার্নান্দেজ। এই গোলের সুবাদে দুই গোলের লিড পায় আর্জেন্টিনা। সেইসঙ্গে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মেক্সিকো।
এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোল পেতে ব্যর্থ হয় দু'দল। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে বিশ্বকাপ-২০২২ ভক্তদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো আর্জেন্টিনা। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: সংগৃহীত
নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু এখনো কাটেনি সেই ম্যাচের রেশ।
ম্যাচের আগে মেসিকে নিয়ে নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গাল কিছু কথা বলেছিলেন, যেটা মোটেই পছন্দ হয়নি মেসির সতীর্থদের। তবে ম্যাচের আগে তারা কিছুই বলেননি। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পর মাঠে উদ্দাম উদযাপনে সেসবের কড়া জবাব দিয়েছে মেসিবাহিনী।
মাঠে ও মাঠের বাইরে বিনয়ী-চিরশান্ত স্বভাবের মেসিও সেদিন উদ্দাম উদযাপনে কড়া জবাব দিয়েছেন ডাচ কোচকে। ম্যাচ শেষে মেসি আরও ক্ষিপ্ত হন। মেক্সিকোর এক টিভিকে বললেন, ফন গাল আর্জেন্টিনা দলকে অসম্মান করেছেন। ম্যাচ শেষে টিওয়াইসি স্পোর্টসকে
সাক্ষাৎকারে নেদারল্যান্ডসের ফরোয়ার্ড ভাউট ভোগহোর্স্টকেও ধমক দিয়েছেন মেসি। এছাড়া জয় উদযাপন করতে নেদারল্যান্ডসের ডাগআউটের কাছে গিয়েছিলেন মেসি। সেখানে গিয়ে ডাচ কোচ ফন গালের দিকে তাকিয়ে কানে হাত দিয়ে বিশেষ ভঙ্গিতে জয় উদযাপন করেন আর্জেন্টাইন তারকা।
এদিকে টাইব্রেকারে হেরে হতাশায় ভেঙে পড়া ডাচ খেলোয়াড়দের সামনে যান আর্জেন্টিনার নিকোলাস ওতামেন্দি ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস। সেখানে তারা কানের কাছে হাত দিয়ে বিশেষ ভঙ্গিতে জয় উদযাপন করেন। এরপর গনসালো মনতিয়েল, মেসি, আনহেল দি মারিয়া আর অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারও একই ভঙ্গিতে জয় উদযাপন করেন।
ম্যাচ শেষে রেফারিং নিয়ে মেসির পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ম্যাচ শেষে রেফারির সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, মনে হচ্ছিল তিনি (রেফারি) ডাচদের পক্ষে বাঁশি বাজানোর উপলক্ষ্য খুঁজছিলেন!
ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের এমন উদ্দাম জয় উদযাপনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে ফিফা। তদন্ত শেষে কাউকে কোনো শাস্তি দেয়নি আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, উদ্দাম উদযাপন সেন্সরের আওতায় আনা হবে না।
ডাচ খেলোয়াড়দের সামনে গিয়ে উদ্দাম জয় উদযাপন করা নিয়ে ওতামেন্দি জানান, পেনাল্টি নিতে যাওয়ার সময় তাদের (আর্জেন্টিনা) প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছে গিয়ে ওদের (ডাচ) একজন কিছু বলছিল। এ কারণেই তিনি ওদের (ডাচ) সামনে গিয়ে এভাবে উদযাপন করেছেন। সূত্র: যুকগান্তর
ফাইল ছবি
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল পৌনে ৯টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।
এর আগে রোববার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫ মিনিটে বিমানটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। লন্ডনে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করে।
প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিনের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় যোগ দেবেন।
তিনি ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেবেন।
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন। সূত্র: যুগান্তর