a
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, ১৮ বছরের কম বয়সীদের আপাতত টিকা দেওয়া হচ্ছে না। তবে বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আজ মঙ্গলবার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ভবনে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা পরিদর্শন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ফাইজারের টিকা এবার ঢাকা ছাড়াও বড় বিভাগীয় শহর ও জেলা পৌরসভায় দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি শেষ করে অচিরেই দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮২ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক ৫ লাখ করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সে হিসেবে সপ্তাহে দেওয়া হচ্ছে ৩০ লাখ এবং মাসে এক কোটি ২০ লাখ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে দিলেও দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সব মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: কালের কন্ঠ
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ১০৯ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১,৮৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩,৫৪৯ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ১৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম: স্বাস্থ্য সহকারীদের দুঃখ-দুর্দশা লাচ্ছনা বঞ্চনার ইতিহাস এবং কাজের পরিধি স্বাস্থ্য খাতে অবদান, অর্জন ও দাবী দাওয়া জানানোর উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণের ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্ৰীয় দাৰি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলন নেতারা বলেন, পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে স্বাস্থ্যে সেবা হল অন্যতম। আমরা মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করি, আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাম ধারী স্বাস্থ্যকর্মী। স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বার্থপর পরিদর্শক দেশের প্রথম সারির স্বাস্থ্য যোদ্ধা। সীমিত সুযোগ সুবিধা নিয়েও আমরা নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের তৃণমুল পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে। উপরোল্লিখিত দাবি সমূহ বাস্তবায়নে আপনাদের সদয় ও আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আমাদের দাবী সমূহ:
১। নিয়োগবিধি সংশোধন ৷
২। শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমান সংযোগ।
৩। ১৪ তম গ্রেড প্রদান ।
৪। ইন সার্ভিস ডিপ্লোমনা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১ তম গ্রেড উন্নীতকরণ।
৫। টেকনিকেল পদমর্যাদা প্রদান ।
৬ । পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদান ।
লিখিত বক্তব্য শেষে তারা তাদের পরবর্তী কর্মসূচীর কথা জানান।
আগামী ২৯/১১/২০১৫ইং তারিখ রোজ শনিবার হইতে ইপিআই কার্যক্রম সহ সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিভাগীয় কার্যক্রম বর্জন এবং জাতীয় শহীদ মিনার, (ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পাশে), ঢাকা, বাংলাদেশ, অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হবে। তারা আরো বলেন, গত ০৬/১০/২০২৫ তারিখে রোজ সোমবার সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী, ঢাকা মহাপরিচালক মহোদয়ের সভা কক্ষে জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সআবু জাফর, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা। ডাঃ এ.বি.এম আবু হানিফ, পরিচালক প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা। অধ্যাপক ডাঃ শেখ ছাইদুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা। ডাঃ শাহ আলী আকবর আশরাফী, পরিচালক, এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর, এইচআইএস এন্ড হেলথ, মহাখালী, ঢাকা। ডাঃ সৈয়দ আবু আহাম্মদ শাফী, উপ-পরিচালক, হাসপাতল-১, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।
উক্ত আলোচনা সভায় মহাপরিচালক মহোদয় বলেন ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধনী কো-আরী জবাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিবেন এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী -১৩, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১৩ এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শক- ১২ তম গ্রেড আপগ্রেডেশন বাস্তবায়নের জন্য সার্বিক-সহযোগীতা করবেন। কিন্তু আমাদের দাবী এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
প্রথম সারির স্বাস্থ্য যোদ্ধা। সীমিত সুযোগ সুবিধা নিয়েও আমরা নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের তৃণমুল পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে। উপরোল্লিখিত দাবি সমূহ বাস্তবায়নে আপনাদের সদয় ও আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।