a
ফাইল ছবি
আজ সোমবার কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এ বিষয়ে জানান, আজ রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা এসে পৌঁছবে। এসব টিকা পৌঁছার কথা ছিল রবিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে।
প্রসঙ্গত, গতকাল টিকা আসা নিয়ে কয়েক দফা বিভ্রান্তি চলে। গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে ডা. রোবেদ আমিন হঠাৎই বলেন, ‘টিকা আসছে না, এ জন্য ১০-১২ দিন সময় লাগতে পারে।’ এরপর তথ্যটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারও হয়। কিছুক্ষণ পরই ওই কর্মকর্তা গতকালই টিকা আসার কথা জানান। এরপর সর্বশেষ রবিবার সন্ধ্যায় মাইদুল ইসলাম প্রধান জানান, টিকা আসবে আজ সোমবার রাতে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকা) ডা. শামসুল হক এ বিষয়ে জানান, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে ফাইজারের টিকা নিয়ে একটি ফ্লাইট রওনা দিয়েছে। ফ্লাইটটি দুবাই হয়ে ঢাকা আসবে।
ফাইল ছবি
পিসিআর ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে মাত্র ৪ মিনিটেই করোনা পরীক্ষার সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছে চীনের সাংহাইয়ের ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। কোভিড প্যাথোজেন নামে ডাকা হচ্ছে এই পরীক্ষাকে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাময়িকী নেচার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রকাশিত একটি প্রকাশনা পর্যালোচনায় গবেষক দল বলেছেন, একটি সমন্বিত ও হালকা প্রোটোটাইপ ডিভাইসে সার্স-কভ-২ শনাক্তে একটি ইলেক্ট্রমেকানিক্যাল বায়োসেনসর প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে মাত্র ৪ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে আরএনএ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
তারা আরও জানায়, কোভিড-১৯ ল্যাব পরীক্ষায় যে পরিমাণ সময় খরচ হয়, তা কমিয়ে আনতে পারবে নতুন এই পরীক্ষার মাধ্যমে। সোয়াব থেকে জিনগত উপকরণ বিশ্লেষণে এতে মাইক্রোইলেকট্রনিক্স ব্যবহার করা হয়েছে।
মহামারি পরীক্ষায় চীনা গবেষকদের এই পদ্ধতি দ্রুত, সহজসাধ্য, অতি স্পর্শকাতর ও বহনযোগ্য। সাংহাইয়ের করোনায় আক্রান্ত ৩৩ অধিবাসীর নমুনা নিয়ে এই পদ্ধতির পরীক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের নমুনার পিসিআর পরীক্ষাও করা হয়েছে।
পিসিআর পরীক্ষার মতোই নতুন এই পদ্ধতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল পাওয়া গেছে। গবেষণায় আরও ৫৪ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যাদের করোনা না থাকলেও জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ছিল। এতে কোনো ভুল ফলাফল আসেনি।
ফাইল ছবি । ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত আকারে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে।’
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হই। এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে, তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে স্কুল-কলেজ খুলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তোমরা বাসায় বসে নিয়মিত পড়ালেখা করে সিলেবাস শেষ করবে। তার সঙ্গে সুস্থ থাকতে হবে। জীবন থেকে এক বছর চলে গেলেও কিছু হবে না, তার চাইতে সুস্থ থাকাটা বড় বিষয়।’
এর আগে প্রেসক্লাবে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন ডা. দীপু মনি।