a
ফাইল ছবি
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসির নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিনিধি দল জাপোরিঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শনে যায়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তির কাছে রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, যতক্ষণ তার দল প্লান্টে ছিল এই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অসংখ্য তথ্য সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছেন তারা।
তিনি আরও বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিস দেখার দরকার ছিল সেটি তারা দেখেছেন। আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, পরিদর্শন শেষে প্লান্ট ছেড়ে চলে গেছেন রাফায়েল গ্রোসি। তবে ওই সময় জানা যায়নি তার পুরো দলই প্লান্ট ছেড়ে চলে গেছে কিনা। পরবর্তীতে জানা যায় আণবিক সংস্থার অন্তত পাঁচজন প্লান্টে রয়ে গেছেন। তারা ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন।
এদিকে এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে প্রতিনিধি দলকে নিয়ে প্লান্টের দিকে রওনা দেন গ্রোসি। কিন্তু প্লান্ট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একটি চৌকিতে তাদের তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তাদের বলা হয় জাপোরিঝিয়ায় গোলাবর্ষণ হয়েছে; সেখানে যাওয়া নিরাপদ হবে না।
কিন্তু রাফায়েল গ্রোসি জানান ঝুঁকি থাকলেও তিনি প্লান্টে যাবেনই। সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা
প্রতিকী ছবি
ইসরায়েলের হাইফা নগরীর একটি তেল শোধনাগারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গণমাধ্যম প্রাথমিক খবরে বলা হয়েছে, সাইবার হামলা রফলে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানায়, গতকাল শুক্রবার শেষ বেলায় হাইফা নগরীর বাযান তেল শোধনাগারে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তেল শোধনাগারের জরুরি বিভাগের কর্মীরা আগুন নেভাতে শুরু করলেও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্ধারকর্মীদের ডাকা হয়।
ইসরায়েলের জেরুজালেম পোস্ট জানায়, বাযান শোধনাগারের একটি ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক জানায়, অগ্নিকাণ্ডে তেল শোধনাগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাইপ ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি পত্রিকাটি জানায়, এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে তবে শোধনাগার থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ রাখা রয়েছে। এই ঘটনায় শোধনাগারের ক্ষতি ও সম্ভাব্য হতাহতের ঘটনা সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
ফাইল ছবি
আর্মেনিয়ার দখল থেকে ২৮ বছর পর নাগোরনো কারাবাখ মুক্ত করেছে আজারবাইজান। যুদ্ধে কীভাবে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে লড়াই করেছে আজারবাইজান, সেকথা নিজেই জানালেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
রাশিয়ার একটি ম্যাগাজিনকে সাক্ষৎকারে তিনি জানান, কারাবাখ যুদ্ধে তিনি তুর্কি ড্রোন ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। ১০ বছর আগ থেকেই তিনি তুর্কি ড্রোন কিনে সংগ্রহ করতে থাকেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় কারাবাখ যুদ্ধের আগে মনুষ্যবিহীন বিমান (ড্রোন) ব্যবহার করিনি। অনেকদিন আগ থেকেই আমরা ড্রোন সংগ্রহ করতে থাকি, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে, যদি আমার স্মৃতি ভুল না করে।
তিনি জানান, সেই সময়ে তুরস্কের সামরিক প্রতিষ্ঠান এটি (ড্রোন) তৈরি শুরু করেনি। আমি প্রথম বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোনের বিদেশি ক্রেতা ছিলাম। এটি খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এবং এটি সঠিকভাবে হামলা চালাতে পেরেছে।
বায়রাকতার টিবি২ সশস্ত্র ড্রোন তুরস্কের প্রতিরক্ষা কোম্পানি বায়কার টেকনোলজিস তৈরি করছে। এই ড্রোনটি তুরস্কের সামরিক বাহিনী ২০১৫ সাল থেকে দেশের নিরাপত্তার জন্য সামরিক বাহিনীতে সংযুক্ত করে। সম্প্রতি আজারবাইজানের সেনাবাহিনী সেসব ড্রোন ব্যবহার করে কারাবাখ যুদ্ধে ব্যাপকভাবে সফলতা অর্জন করে।