a ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের আজ জন্মদিন
ঢাকা শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের আজ জন্মদিন


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বৃহস্পতিবার, ০৬ মে, ২০২১, ০৭:৪৮
ড আলাউদ্দিন আল আজাদের আজ জন্মদিন

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ । ফাইল ছবি

 

বাংলাদেশ ও বিশ্বের সাহিত্য ভাণ্ডারে আলাউদ্দিন আল আজাদ এক বিশেষ শ্রদ্ধেয় নাম। ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট কবি, সব্যসাচী লেখক, শিক্ষাবিদ ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলাদেশের তথা সারা বিশ্বের সাহিত্য জগতের দীপ্তিমান প্রতিভা, মহান ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয় মহিমায় উদ্ভাসিত এক নিরীক্ষাধর্মী সাহিত্যশিল্পী।

আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৩২ সালের ৬ মে বৃহত্তর ঢাকার বর্তমানে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা গাজী আব্দুস সোবহান এবং মাতার নাম মোসাঃ আমেনা খাতুন। আলাউদ্দিন আল আজাদ অভিজাত, বনেদি ও সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম নিলেও শৈশবটা তেমন সুখকর ছিল না। মাত্র দেড় বছর বয়সে মাকে হারান এবং দশ বছর বয়সে বাবা ইন্তেকাল করেন। আর তখন থেকেই শুরু প্রায় সর্বহারা আজাদের সংগ্রামশীল জীবনের।  

আলাউদ্দিন আল আজাদ ছিলেন প্রগতিশীল লেখক, বামপন্থী চিন্তাধারা ও কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। বামপন্থী রাজনৈতিক-সামাজিক আন্দোলনে এবং প্রগতিশীল সাহিত্য-আন্দোলনে আলাউদ্দিন আল আজাদের সাহসী ভূমিকা আজ অনেকেই ভুলে গেছেন। কিন্তু পথে-মাঠে-ময়দানে ও শিল্পকর্মে আলাউদ্দিন আল আজাদ মার্ক্সসীয় ভাবধারাকে সমুন্নত রাখার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। আলাউদ্দিন আল আজাদ তার প্রকৃত নাম নয়। আলাউদ্দিনের সাথে যুক্ত হয়েছে লেখক নাম 'আল আজাদ'। আর তাঁর ডাক নাম ছিল 'বাদশা'। শৈশবে তিনি বাবা-মাকে হারান; আর এখান থেকেই শুরু হয় তার জীবনসংগ্রাম। গ্রামজীবনের কৃষিভিত্তিক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা ছিল তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।

আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৪৯ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে অইএ পাস করেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং ১৯৫৪ সালে প্রথম শ্রেণীতে এমএ পাস করেন। ১৯৫৫ সালে তোলারাম কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ঈশ্বরগুপ্তের জীবন ও কবিতা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। 

পরবর্তীকালে সিলেট এমসি কলেজ, চট্টগ্রাম কলজসহ পাঁচটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা এবং পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপালও ছিলেন। পেশাগত জীবনে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে সংস্কৃতি উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রেই ছিল তার পদচারণা। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪৯টি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহঃ

১। তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০),
 ২। শীতের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২), 
৩। কর্ণফুলী (১৯৬২),
 ৪। ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪),
 ৫। খসড়া কাগজ (১৯৮৬), 
৬। শ্যাম ছায়ার সংবাদ (১৯৮৬), 
৭। জ্যোৎস্নার অজানা জীবন (১৯৮৬), 
৮। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি (১৯৮৬), 
৯। স্বাগতম ভালোবাসা (১৯৯০), 
১০। অপর যোদ্ধারা (১৯৯২), 
১১। পুরানা পল্টন (১৯৯২), 
১২। অন্তরীক্ষে বৃক্ষরাজি (১৯৯২), 
১৩। প্রিয় প্রিন্স (১৯৯৫), 
১৪। ক্যাম্পাস (১৯৯৪), 
১৫। অনূদিত অন্ধকার (১৯৯১), 
১৬। স্বপ্নশীলা (১৯৯২), 
১৭। কালো জ্যোৎস্নায় চন্দ্রমল্লিকা (১৯৯৬),
 ১৮। বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭)

গল্প গ্রন্থঃ 
১। জেগে আছি,
২। ধানকন্যা, 
৩। মৃগনাভি,
৪। অন্ধকার সিঁড়ি,
৫। উজান তরঙ্গে, 
৬। যখন সৈকত, 
৭। আমার রক্ত স্বপ্ন আমার

কাব্য গ্রন্থঃ 
১। মানচিত্র, 
২। ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ, 
৩। সূর্য জ্বালার স্বপন,
৪। লেলিহান পান্ডুলিপি

নাটকঃ
১। এহুদের মেয়ে, 
২। মরোক্কোর জাদুকর,
৩। ধন্যবাদ, 
৪। মায়াবী প্রহর, 
৫। সংবাদ শেষাংশ। 

রচনাবলীঃ শিল্পের সাধনা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর লেখা বই "ফেরারী ডায়েরী (১৯৭৮)"

দেশবরেণ্য এই গুণীকবি বিভিন্ন সময় নানান ধরনের পুরস্কার লাভ করেছেন তার ভিতর উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৬৪, ইউনেস্কো পুরস্কার ১৯৬৫, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৭৭, আবুল কালাম শামসুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৩, আবুল, মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৪, লেখিকা সংঘ পুরস্কার ১৯৮৫, রংধনু পুরস্কার ১৯৮৫, অলক্তা, সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৬, একুশে পদক ১৯৮৬, শেরে, বাংলা সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৭, নাট্যসভা ব্যক্তিত্ব, পুরস্কার ১৯৮৯, কথক একাডেমী পুরস্কার ১৯৮৯ এবং
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণ পদক ১৯৯৪।

দেশবরেণ্য এই কবি ২০০৯ সালের ৩রা জুলাই মৃত্যুবরণ করে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

তোমাকে খুঁজে...


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:১১
তোমাকে খুঁজে

ছবি সংগৃহীত

তোমাকে খুঁজে...

আজও বিষাদ মাখা মনে
বসে আছি তোমার পথ চেয়ে,
হঠাৎ তুমি বদলে গেলে
কোন যাদুর ছোঁয়া পেয়ে।

হারিয়ে তোমায় খুঁজি
বসে থাকি অপেক্ষায়,
জানি, আলেয়ার ঘোরে আছি
কখনোই পাবনা তোমায়!

কি আদর! মায়াবী ভালবাসায়
সযতনে রেখেছিলে আমায়,
কোথা থেকে এক ঝড় এসে
ছিন্ন করে দিলো আমায়-তোমায়।

হয়তো তুমি আমায় রাখোনি মনে
ভালোই আছো অন্যের আলিঙ্গনে,
তবুও দিন-রাত খুঁজি নির্ঘুম রাতে
বিষন্ন ভরা অবসন্ন মনে!

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আগামীকাল থেকে ডেঙ্গু ঠেকাতে মশা নিধনে চিরুনি অভিযান


স্বাস্থ্য ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:২৪
আগামীকাল থেকে ডেঙ্গু ঠেকাতে মশা নিধনে চিরুনি অভিযান

সংগৃহীত ছবি

আগামী ১৬ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫টি ওয়ার্ডে এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল ও ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।

তিনি জানান, আগামীকাল দক্ষিণ সিটির ৬ নম্বর, ১৭ অক্টোবর ২ নম্বর, ১৮ অক্টোবর ৩ নম্বর, ১৯ অক্টোবর ৫৬ নম্বর এবং ২০ অক্টোবর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দিনব্যাপী এ বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। চিরুনি অভিযানে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে সকালের লার্ভিসাইড কার্যক্রমে ১৩ জন ও বিকেলের অ্যাডাল্টিসাইডিং (পরিণত মশার কীটনাশক) কার্যক্রমে ১৩ জন মশককর্মী অংশ নেবেন।

এ ছাড়া স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেবেন। আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আঞ্চলিক পর্যায়ে এ কার্যক্রম সমন্বয়, পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করবেন। সংস্থার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেন্দ্রীয়ভাবে পুরো কার্যক্রমটি সমন্বয় করবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - শিল্প ও সাহিত্য