a এয়ারপোর্ট রোড ৩ দিন এড়িয়ে চলার নির্দেশনা
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

এয়ারপোর্ট রোড ৩ দিন এড়িয়ে চলার নির্দেশনা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ০২:১৪
এয়ারপোর্ট রোড ৩ দিন এড়িয়ে চলার নির্দেশনা

ফাইল ছবি

ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের বিমানবন্দর সড়কটি আগামীকাল থেকে তিন দিন এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের উন্নয়ন  কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৭ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়কটি না ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা এসেছে।

কাজ চলার সময় বাড়তি যানজটের আশঙ্কায় জনসাধারণের জন্য বিশেষ এই ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে বিআরটি।   

বিআরটির প্রকল্প পরিচালক এএসএম ইলিয়াস শাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই সময়ে জনসাধারণ ও পরিবহণকে সম্ভাব্য বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সবার সহানুভূতি ও সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে।

এই সড়কে অনেকদিন যাবত জনদুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘদিন ধরে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় সড়কে বেহাল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ফলে উত্তরা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত এলাকার মানুষকে অন্তহীন দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে।

তাই সড়কটিতে যান চলাচল স্থায়ীভাবে নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে তিন দিন টানা কাজ চলবে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‘শেষ বার্তা দিচ্ছি, শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান থাকবেন’


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩, ০৯:২৭
‘শেষ বার্তা দিচ্ছি, শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান থাকবেন’

ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আপনি শেষ বার্তা দিচ্ছেন, আজ আমি শেষ বার্তা দিচ্ছি- শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন। শেখ হাসিনা আবারও জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

বুধবার বিকালে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের পকেট গরম, মালপানি ভালো ঢুকেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ওনার (মির্জা ফখরুল) কথা গরম, হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। আমাদের ভয় দেখায়। ফখরুল সাহেব জুস খায়, অনশন বন্ধ করে দেয়। আমাদের বার্তা দিচ্ছেন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে, দিনকালও ঠিক করে দিচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল পাঁচ তারকা হোটেলে নাস্তা করে অনশন করেন ৩ ঘণ্টা। আড়াই ঘণ্টা পর বিদেশি জুস খাইয়া অনশন বন্ধ করে দেন। এই আন্দোলন তারা করছে।

আমাদের বার্তা দিচ্ছে, দিনক্ষণ বলে দিচ্ছে কবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের ম্যাজিক লিডার শেখ হাসিনা। আপনি (ফখরুল) কে বার্তা দেওয়ার?’

তিনি বলেন, ‘খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। বিএনপি হলো খুনির দল, এদের হাতে রক্ত।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উৎসাহিত হচ্ছেন, কারণ পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে। ফখরুল সাহেব, দুনিয়ার অবস্থা ভালো না। তাদের নিজেদের ঘর সামলানোই কঠিন। তারা ঘর সামলাবে নাকি আপনাকে উৎসাহ দেবে? উৎসাহ দেওয়ার দিন শেষ।’

বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে কাদের বলেন, ‘অবরোধ করবেন? পালটা অবরোধ দেব। দাঁড়াতে দেব না। অবরোধ যারা করবে, তারাই সাধারণ মানুষের জন্য বাধা। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিনিদের ব্যবস্থা কী হয়, সেটা দেখা হবে।’ সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কম্বোডিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও সহায়তা স্থগিত, আগামীদিনে বাংলাদেশের জন্য কি বার্তা?


খ.ম আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩, ০১:২০
কম্বোডিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও সহায়তা স্থগিত, আগামীদিনে বাংলাদেশের জন্য কি বা

ছবি সংগৃহীত

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় কম্বোডিয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞার আরোপের সঙ্গে বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র। রোববারের (২৩ জুলাই) সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) নিরঙ্কুশ বিজয় ঘোষণা করেছে। এরপরেই যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা কম্বোডিয়ায় কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করছে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে এমন ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দল সিপিপি কার্যকর কোনো বিরোধী দলের মুখোমুখি না হওয়ায় ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন।

মিলার বলেন, নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক বিরোধী দল, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানির ধারায় লিপ্ত হয়েছে। এটি দেশটির সংবিধানের চেতনা এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষকে সত্যিকারের বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার বন্ধ এবং সরকারের সমালোচকদের দোষী সাব্যস্ত করা বন্ধ করতে এবং দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান উন্নত করার জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমকে হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কম্বোডিয়ার নির্বাচনে কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল না। ৩৮ বছর ধরে কম্বোডিয়া শাসন করা স্বঘোষিত 'শক্তিশালী নেতা' হুন সেন নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। জেল জুলুম ও মামলা দিয়ে বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রাখা হয়েছিল। সবাই নিশ্চিত ‘নামমাত্র’ এ ভোটে আবারও জয়ী হয়েছেন হুন সেনের কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি টানা ৩৮ বছর শাসন করছেন কম্বোডিয়ার ‘গণতান্ত্রিক মডেলের স্বৈরশাসক’ প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এই নামমাত্র ‘গণতান্ত্রিক’ শাসক ১৯৮৫ সাল থেকে তার ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর একের পর এক কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছেন। এমনকি দেশের আদালতকেও ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে। সামরিক বাহিনী, পুলিশসহ গোয়েন্দা গোষ্ঠীকে রেখেছেন হাতের মুঠোয়। সংসদ সদস্যদের পদমর্যাদা থেকে সরিয়ে দেওয়াসহ নেতাদের বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে গ্রেপ্তার এবং নির্বাসনে পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে দেশে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বিগত দুটি নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ায় বিএনপি এবারে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে অনড় রয়েছে। তারা রাজপথেই চূড়ান্ত ফয়সালা করে নির্বাচনে হাটার চেষ্টা করছে।

অপরপক্ষে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রশ্নে সংবিধানের 
দোহাই দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করাটাই দলটির চূড়ান্ত লক্ষ্য।

দুই পক্ষই যখন তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আলোচনা বা সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা কার্যত আর থাকছে না; বরং অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। ওই সময়ে ভোট হলে নভেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। 

আর সরকার যদি গত ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের ন্যায় এক তরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়, তাতে দেশে অনন্য বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে, যা বিগত যে কোন সময়ের তুলনা বেশি বৈ কম হবেনা। বিশেজ্ঞদের ধারণা, যদি একতরফা নির্বাচনে দেশে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তবে সুযোগ বুঝে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশকে কম্বোডিয়ার মতো অবরোধ ও ভিসা নিষাধাজ্ঞাও দিতে পারে, যার জুজুর ভয় তারা আগে থেকেই দিয়ে আসছে!

লেখক: মোহা. খোরশেদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

তথ্যসূত্র: রয়টার্স, বিবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমস

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়