a
ফাইল ছবি
দেশে দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষগুলো আগে থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে তা পালন না করতে পারায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই অধ্যক্ষের নেতৃত্বে গঠিত মনিটরিং কমিটির সদস্য শিক্ষকদেরও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে তাদের সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবার সচেতনতা একরকম নয়। যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন, তাদের একটু সচেতন থাকতে হবে। স্কুলের প্রতিটা আনাচে-কানাচে খুঁজে দেখতে হবে। কোথাও যেন ময়লা না থাকে। যতটা ভালো পারা যায়, আমরা চেষ্টা করছি।
শিক্ষামন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য প্রত্যেক জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। পরে এর নম্বরগুলো প্রচার করা হবে। যে কেউ এসব নম্বরে ফোন করে যদি জানান, যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোনও রকম সমস্যা আছে, আমরা তা সমাধানে ব্যবস্থা নেবো।’
ফাইল ছবি
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে তা আর হচ্ছে না। ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এ তথ্য জানান। এ সময় করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান দীপু মনি।
এর আগে গত বুধবার (২৪ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন যে, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও সেদিন খোলা সম্ভব নয়। শবে বরাতের সরকারি ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এদিন খুলছে না।
মো. মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের সাথে আলোচনা করা হবে। ৩০ মার্চ ছুটি ঘোষণা করে মাউশিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হবে।
ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি ভাল থাকলে আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
ছবি: সংগৃহীত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য ছুটি বাতিলের এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
রোববার (২৬ মে) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা জানানো হয়।
প্রতিন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে, তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। আজ সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেল বন্ধ থাকবে। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ৮ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। বাকিদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আরও অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে উপকূলীয় এলাকায়। এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও অদূরবর্তী দ্বীপ-চর ১০ নম্বর মহাবিপদ দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ-চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার বেশি বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতিভারী বর্ষণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক