a
ফাইল ছবি
সিনোফার্মের ৬ লাখ উপহারের টিকার দ্বিতীয় চালানটি আজ রোববার (১৩ জুন) বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।
বেইজিং এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দু’টি বিমান টিকা নিয়ে ঢাকায় আসবে।
ঢাকার চীনা দূতাবাস রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, বাংলাদেশকে ৬ লাখ উপহারের টিকা বেইজিং এয়ারপোর্টে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দু’টি বিমানে উঠানো হয়েছে। বিমান দু’টি এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকায় রওনা দিয়েছে। রোববার বিকেল নাগাদ বিমান দু’টি ঢাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ মে চীন প্রথম দফায় ৫ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেয়।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, সিনোফার্ম ভ্যাকসিন ক্রয়সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত প্রায়। আর ১ সপ্তাহের মধ্যেই সিনোফার্ম কেনার চুক্তির আলোচনা শুরু হবে।
ফাইল ছবি
ডেঙ্গু এখন নীরব ঘাতক। উপসর্গ ও লক্ষণ আছে, কিন্তু পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে। এরপর দেখা যায় অবহেলা করে আর চিকিৎসকের কাছে যায় না রোগী। কিন্তু ধীরে ধীরে প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় নানা জটিলতা শুরু হয়। এক পর্যায়ে রোগী হাঁটতে পারে না, বিছানায় পড়ে যায়। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে তার শরীরে ডেঙ্গু নীরব ঘাতকের মতো সিংহভাগ ক্ষতি করে ফেলে। বিলম্বে আসার কারণে চিকিৎসক শত চেষ্টা করেও অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারে না।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ডেঙ্গুর লক্ষণ ও উপসর্গ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। উপসর্গ দেখে বাসায় থেকেই চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া যায়, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও মুগদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুর অন্যতম কারণ বিলম্বে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও একই অভিমত প্রকাশ করেছেন। শিশু ও নারীরা ডেঙ্গুতে বেশি মারা যাচ্ছে। কারণ তারা চিকিৎসাসেবা নিতে অবহেলা করছে, বিলম্বে হাসপাতালে আসছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, রিপোর্ট যাই আসুক, লক্ষণ ও উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ভয়ংকর হয়ে ওঠা ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মোট সংখ্যায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ হাজার ১৯৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাতে দেশে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ জনে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এই সংখ্যা এযাবতকালে সর্বোচ্চ। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আরফানুল হক রিফাত।
বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
এ ছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। উৎসবমুখর পরিবেশেই স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন হয়েছে। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা শুরু হয়। এই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১০৫টি, ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
ভোটগ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, এ নির্বাচনে প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা তিনি পাননি। বেশকিছু ভোটকেন্দ্রে তার লোকজনকে হয়রানি করা হয়েছে এবং কোথাও মারধরও করা হয়েছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানান নৌকার প্রার্থী।
সাক্কু গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুবই সুন্দর হয়েছে। ইভিএমের কারণে ভোট কাস্টিং কম হয়েছে। অনেকে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। আমি তো মনে করেছিলাম, ইভিএম শুধু জাতীয় নির্বাচনের জন্য। কিন্তু সিটি নির্বাচনের মাত্র একশ কেন্দ্রেই যে জটিলতা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে তো হাজার হাজার কেন্দ্র থাকবে। এটা ইভিএমে যদি হয়, তাহলে কী হবে তা এখনই বুঝা যাচ্ছে।
নির্বাচনের পরিবেশের জন্য জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে আরেক মেয়র প্রার্থী নিজামউদ্দিন কায়সার বলেন, খুবই ভালো নির্বাচন হয়েছে। এখন যদি ইভিএমে কারচুপি না হয় তাহলে আমার পক্ষেই রায় আসবে। ঘোড়া প্রতীকে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে- ইভিএমে কোনো কারিগরি না করা হলে তা ফলাফলে প্রতিফলন ঘটবে।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। এ সিটিতে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। খুব বিরূপ মন্তব্যও আমরা পাইনি।’ সূত্র: যুগান্তর