a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২২ হাজার ৮৯৭ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১১,৪৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৮ জন।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৪,৪১৪ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪২ হাজার ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ফাইল ছবি
শরীরে অগ্ন্যাশয় যথাযথভাবে ইনসুলিন তৈরি করতে না পারলে অথবা শরীরে ইনসুলিনের সঠিক কাজ ব্যাহত হলে সেখানেই ডায়াবেটিস সৃষ্টি হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়; অধিক তৃষ্ণা অনুভব করেন এবং বারবার মুখ শুকিয়ে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা দুর্বলতা অনুভব করেন, সার্বক্ষণিক ক্ষুধা, স্বল্পসময়ে দেহের ওজন হ্রাস, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানারকম সমস্যায় ভোগেন। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক কয়েকটি খাবার নীচে উল্লেখ করা হলো-
সবুজ চাঃ সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে; ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এটি অন্যরকম সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
ওয়াইল্ড স্যামনঃ ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অন্যতম একটি ঔষধী খাদ্য ওয়াইল্ড স্যামন। এতে উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ রয়েছে। ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি বড় উৎস এটি। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁঁকিও কমায় ওয়াইল্ড স্যামন।
মাছঃ গবেষণায় দেখা যায় মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এতে চর্বিহীন প্রোটিন রয়েছে।
টক দইঃ টক দই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে। এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
ডিমের সাদা অংশঃ ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। এতে উচ্চমানের প্রোটিন রয়েছে। ডিমের সাদা অংশে উচ্চমানের চর্বিহীন প্রোটিন ও কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা ২ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
লেবুঃ লেবু ও লেবুজাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন সি'র অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে। তবে লেবুজাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি'র অভাব অনেকটা পূরণ হয়। জাম্বুরা, কমলা ও লেবু এসব ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের মতো কাজ করে।
সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজি ২ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, পাতাকপি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় দেখা যায়, সবুজ শাকসবজি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। সিনেটের নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত কাদের হাতে যাবে, তা চূড়ান্তভাবে এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে দুই দলের কেউই এবারের ভোটে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। তবে ডেমোক্র্যাটদের জন্য এটা কঠিন একটি রাত (ফলাফল ঘোষণার রাত)। খবর বিবিসি ও আল–জাজিরার
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে বাইডেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমসহ অনেকেই বলেছিল, এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে দেশজুড়ে রিপাবলিকানদের “লাল ঢেউ” বয়ে যাবে। তবে তেমনটা হয়নি।’
তবে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারেনি উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘নির্বাচনে যে কোনো আসন হারানোই দুঃখজনক। এবারের ভোটে আমাদের দলের অনেক ভালো ভালো প্রার্থী জয় পাননি। ডেমোক্র্যাটদের জন্য এটা কঠিন একটি রাত। তবে আমি পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট।’
এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচন ‘গণতন্ত্রের জন্য সুখকর’ বলে মন্তব্য করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গণতন্ত্র বড় ধরনের পরীক্ষার মুখে পড়েছে। তবে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল। এটা গণতন্ত্রের জন্য একটি শুভদিন।’
কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৫১টি আসন। সবশেষ ফলাফলে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে এসেছে যথাক্রমে ৪৮ ও ৪৯টি আসন। অর্থাৎ আর দুটি আসনে জয় পেলে সিনেট রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি।
অন্যদিকে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পথে রয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। তবে কত বেশি আসনে দলটি জয়ী হবে, তা এখন দেখার বিষয়। নিম্নকক্ষের ৪৩৫ আসনের মধ্যে ২০৩টিতে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা। ডেমোক্রেটিক প্রার্থীরা ১৮৭টি আসনে জয় পেয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য মোট ২১৮টি আসনে জয় প্রয়োজন। সূত্র: প্রথম আলো