a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২২ হাজার ৮৯৭ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১১,৪৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৮ জন।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৪,৪১৪ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪২ হাজার ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ফাইল ছবি: বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন
করোনাভাইরাসের টিকা যাতে নাকে স্প্রে করার মাধ্যমে ও মুখে খাওয়ার বড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সে দিকেই এখন নজর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এমনটিই গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। তাঁর মতে, তাঁর নজর এখন করোনা টিকার ‘দ্বিতীয় প্রজন্ম’-এর দিকে, যা নাকে স্প্রে আকারে এবং মুখে বড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
তিনি বলেন, করোনার এই জাতীয় টিকাগুলো সহজে সরবরাহ ও সংরক্ষণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় প্রজন্মের এ টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (মানবদেহে পরীক্ষা) রয়েছে। আরও ১৯৪ প্রতিষ্ঠান এ ধরনের টিকার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে ও পরীক্ষাগারে ট্রায়াল দিচ্ছে।
সৌম্য স্বামীনাথন আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এসবের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানের টিকা বেশ নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হবে। ফলে আমরা শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর টিকাটি বেছে নিতে পারব।’
তিনি বলেন, যদি দ্বিতীয় প্রজন্মের টিকা তৈরির প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্মগুলো করোনার টিকা তৈরিতে ব্যর্থও হয়, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এসব প্ল্যাটফর্ম ভবিষ্যতে অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ পর্যন্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা (ইনজেকশন) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং ভারত বায়োটেক।
ছবি: সংগৃহীত
খুলনা বিভাগ ছাড়া ঢাকাসহ ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের সব অঞ্চলেই বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, বৃষ্টি হলেও এপ্রিল মাস জুড়ে কম বেশি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ মাসের শেষের দিকে দাবদাহ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল বিভাগ অর্থাৎ খুলনা বিভাগ ছাড়া প্রায় সব অঞ্চলেই বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আজ দেশের কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। সূত্র: যুগান্তর