a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২২ হাজার ৮৯৭ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১১,৪৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৮ জন।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৪,৪১৪ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪২ হাজার ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ছবিঃ মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: আগামীকাল ১৩ নভেম্বর “জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবস”। এ উপলক্ষে আজ ১২ নভেম্বর ২০২৫ রাজধানী ঢাকার প্রেস ক্লাব এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, আমরা আজ এখানে একত্রিত হয়েছি দেশের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবার গুরুত্ব, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা তুলে ধরতে। ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন (PM&R) হলো এমন একটি চিকিৎসা শাখা যা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, ব্যথা, পেশী ও স্নায়ুর সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এটি শুধুমাত্র চিকিৎসা নয়— বরং “জীবনকে পুনরুদ্ধারের চিকিৎসা”। বাংলাদেশে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ স্ট্রোক, আঘাতজনিত অক্ষমতা, দুর্ঘটনা, পেশী-সন্ধি ব্যথা, শিশুদের সেরিব্রাল পালসি, বয়স্কদের চলাচলজনিত সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি প্রতিবন্ধিতা সমস্যায় ভোগেন। ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আধুনিক ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ থেরাপি, ও রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এদের অনেকেই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সক্ষম হন।
আমরা চাই—
১। দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করা হোক।
২। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশন জনবল নিয়োগ দেওয়া হোক, এবং জনসচেতনতা বাড়ানো হোক যাতে মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে।
৩। বিদ্যমান আইনকে কার্যকর, নতুন আইন প্রণয়ন ও নীতিমালা বাস্তবায়নে তৎপরতা বাড়ানো।
৪। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা/উপজেলা প্রশাসন, এসএনজিও ও সিভিল সোসাইটি একসঙ্গে কাজ করা।
৫। স্কুল, কলেজ, কর্মক্ষেত্র, সড়ক-পরিবহন ইত্যাদি সর্বত্র প্রতিবন্ধি বান্ধব ইউনিভার্সাল ডিজাইনের মান মেনে তৈরি করা।
এই দিবসের প্রতিপাদ্য— “সবার জন্য রিহ্যাবিলিটেশন সেবা: সুস্থ জীবনের অধিকার”।
আমরা বিশ্বাস করি, একটি সুস্থ, কর্মক্ষম ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা অপরিহার্য। তাই সরকার, চিকিৎসক সমাজ, গণমাধ্যম এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সেবাকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।
একটি দেশ তখনই প্রকৃত অর্থে উন্নত দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়,যখন সেখানে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা কম, প্রতিবন্ধিতা প্রতিরোধের সকল ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে,এবং যেসব ব্যক্তি প্রতিবন্ধী তাদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পূর্ণ সহায়তা ও সুযোগ নিশ্চিত করা হয়। আপনাদের কলম ও ক্যামেরার মাধ্যমে দেশের কোটি মানুষের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। রিহ্যাবিলিটেশন সেবার গুরুত্ব ও সম্ভাবনা সম্পর্কে গণসচেতনতা তৈরিতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষে, আগামীকাল ১৩ নভেম্বর জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবস সফলভাবে পালনের জন্য সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই।
ফাইল ছবি
সাইবার হামলা করে এয়ার ইন্ডিয়ার প্রায় ৪৫ লাখ যাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে হ্যাকাররা। হিন্দুস্তান টাইমসের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সাইবার হামলা করা হয়েছে।
হামলায় হাতিয়ে নেওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে আছে, যাত্রীদের ক্রেডিট কার্ড, পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ফোন নম্বরসহ ব্যক্তিগত নানান তথ্য। তবে যাত্রীদের ভিতর যাদের তথ্য চুরি করা হয়েছে, তাদেরকে সতর্ক করতে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত এই বিমান সংস্থা।
উক্ত ঘটনায় সারা বিশ্বের লাখ লাখ বিমানযাত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ২০১১ সালের ২৬ অগাস্ট হতে আরম্ভ করে ৩ ফেব্রয়ারি ২০২১ পর্যন্ত মোট ১১ বছরের তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে। তবে কোনো পাসওয়ার্ডের ডেটা প্রভাবিত হয়নি বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের ক্রেডিট কার্ডের তথ্যের ক্ষেত্রে, সিভিভি বা সিভিসি নম্বরগুলো সংস্থার ডেটা প্রসেসরে রাখা হয় না। তাছাড়া সার্ভারের সব পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং কি সার্ভারগুলো সুরক্ষিত করার পর আর কোনো অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করা যায়নি।
উক্ত ঘটনার তদন্তে নেমেছে এয়ার ইন্ডিয়া। হ্যাকড হওয়া সার্ভারগুলো এখন থেকে আরো সুরক্ষিত করা হয়েছে। তথ্য সুরক্ষার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সহায়তা ও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।