a
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের এক কোটি ২০ লাখের বেশি ভ্যাকসিন বাতিল করেছে ব্রাজিল, দেশটির স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনভিসা এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বাতিলকৃত সব টিকাই চীনের সিনোভ্যাক বায়োএনটেকের তৈরি। টিকাগুলো বাতিল হওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ হিসেবে আনভিসার এক বিবৃতিতে জানায়।
ব্রাজিল সরকারের অনুমোদিত কারখানা থেকে টিকাগুলো উৎপাদন করা হয়েছিল। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) আনভিসা সিনোভ্যাকের টিকা নিয়ে সতর্কতা জারি করে।
দেশটির সাও পাওলোর বুটানটানের একটি বায়োমেডিকেল সেন্টার সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে টিকা উৎপাদন করছিল। ব্রাজিল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। উৎপাদিত ওই কারখানা থেকে এক কোটি ২০ লাখের বেশি টিকা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কারখানাটি আনভিসা কর্তৃক অনুমোদিত ছিল না।
জনগণের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারখানাটির উৎপাদন প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ হাজার ৪৬৫ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১২,১৪৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৫৩৬ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৯৪৭টি। শনাক্তের হার ২৮.৯৬ শতাংশ।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬৩-তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় বাংলামটর কেন্দ্রীয় কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলের মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও চেয়ারম্যান এ্যাড. কাজি রেজাউল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় এ্যাড. কাজি রেজাউল হোসেন বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল ছিলেন আমাদের জাতিসত্বার মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং কৃষক-শ্রমিকের অধিকার আদায়ের অগ্রপথিক। তাঁর অমর উদ্যোগে গরিব কৃষকের কন্ঠস্বর পৌঁছে গিয়েছিল ক্ষমতার মসনদে। কৃষক প্রজাদের জীবনমান উন্নয়নে 'প্রজাস্বত্ব আইন' তাঁর ঐতিহাসিক অবদান। শত বছর পেরিয়ে গেলেও কৃষক-শ্রমিক- মেহনতি জনতার মুক্তি মিলেনি। নীলকর, জমিদার, জোতদারের মত এখনো পুঁজিপতি-মুনাফাকারীরা বেপরোয়া। কঠোর পরিশ্রম করেও ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না কৃষক।
তিনি আরো বলেন, ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে তিনি উপমহাদেশের ভাগ্য নির্ধারণের ইতিহাসে এক বিশাল ভূমিকা রাখেন। আবার স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নও অঙ্গীকারের মতোই লালন করতেন।
শেরে বাংলার রাজনৈতিক জীবন ছিল আপসহীন, সাহসিকতায় পরিপূর্ণ। তাঁর ব্যক্তিত্বে ছিল অসাধারণ দূরদর্শিতা, মানবিকতা এবং গণমানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। দেখানো গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক উন্নয়নের পথই আমাদের আলোকবর্তিকা।
আলোচনা সভা শেষে মহান এই রাজনীতিবিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ আব্দুর রহমান।