a
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের এক কোটি ২০ লাখের বেশি ভ্যাকসিন বাতিল করেছে ব্রাজিল, দেশটির স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনভিসা এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বাতিলকৃত সব টিকাই চীনের সিনোভ্যাক বায়োএনটেকের তৈরি। টিকাগুলো বাতিল হওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ হিসেবে আনভিসার এক বিবৃতিতে জানায়।
ব্রাজিল সরকারের অনুমোদিত কারখানা থেকে টিকাগুলো উৎপাদন করা হয়েছিল। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) আনভিসা সিনোভ্যাকের টিকা নিয়ে সতর্কতা জারি করে।
দেশটির সাও পাওলোর বুটানটানের একটি বায়োমেডিকেল সেন্টার সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে টিকা উৎপাদন করছিল। ব্রাজিল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। উৎপাদিত ওই কারখানা থেকে এক কোটি ২০ লাখের বেশি টিকা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কারখানাটি আনভিসা কর্তৃক অনুমোদিত ছিল না।
জনগণের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারখানাটির উৎপাদন প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংগৃহীত ছবি
চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরফলে দ্বিতীয়বার কোনো চীনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলো বৈশ্বিক এই প্রতিষ্ঠানটি।
অনুমোদন পাওয়া চীনের অন্য টিকাটি হলো সিনোফার্ম। মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচওর অনুমোদনের ফলে এখন থেকে কোভ্যাক্স প্রোগ্রামেও ভ্যাকসিনটির ব্যবহার করা যাবে। যার লক্ষ্য ভ্যাকসিনগুলোর সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করা। অবশ্য আগে থেকেই বেশ কয়েকটি দেশে এটির ব্যবহার শুরু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন মানে হলো সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং উত্পাদনের দিক দিয়ে সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, সিনোভ্যাকের টিকা করোনায় আক্রান্তদের অর্ধেকেরও বেশি লোকের লক্ষণজনিত রোগ প্রতিরোধ করেছে। আশা করা যাচ্ছে চীনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের এই সিদ্ধান্ত কোভ্যাক্স প্রোগ্রামকে গতিশীল বৃদ্ধি করবে।
ডব্লিউএইচওর স্বাস্থ্য পণ্য অনুমোদন বিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, বিশ্বজুড়ে বিশাল আকারে সরবরাহের বৈষম্য মোকাবিলায় জরুরিভাবে একাধিক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দরকার।
আমরা উৎপাদন প্রতিষ্ঠানদের কোভাক্স সুবিধায় অংশ নিতে অনুরোধ করছি। তাদের জ্ঞান এবং তথ্য শেয়ার করুক এবং মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবদান রাখুক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল একত্রে ‘ডোনবাস’ নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধী গড়ে তোলারও চেষ্টা করছে। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যারা ভাবছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবে— তারা ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার মতে এই যুদ্ধ এক সময় থেমে যাবে ঠিকই, তবে আগের সেই বিশ্বব্যবস্থা আর ফিরে আসবেনা।
রাশিয়ার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বন্দর নগর সেন্ট পিটার্সবার্গে শুরু হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের (এসপিআইইএফ) সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পশ্চিমা অভিজাতরা ভাবছে (যুদ্ধের আগ পর্যন্ত) তাদের শাসিত ও প্রভাবপুষ্ট বিশ্ব ব্যবস্থা ছিল, তা চিরস্থায়ী এবং যুদ্ধ শেষ হলে তা ফের ফিরে আসবে; কিন্তু তারা আসলে এখনও অতীতের স্মৃতিতে ঝুলে আছে।’
‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কেউ যদি ভেবে থাকেন যে অশান্ত এই সময়ের শেষে সবকিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, তাহলে তিনি ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন; এমন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্ব যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে—তা মৌলিক, গভীর ও অপরিবর্তনীয়।’
‘১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন ও শীতল যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ঈশ্বরের বার্তাবাহক ভাবা শুরু করল; এমন এক বার্তাবাহক, যার কোনো বাধা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই— কেবল আছে স্বার্থ; আর সেসব স্বার্থ তারা উচ্চারণ করত ধর্মীয় শ্লোকের মতো।’
‘কিন্তু তাদের এই উত্থানের ভেতরেই সুপ্ত ছিল ভবিষ্যৎ পতনের সম্ভাবনা। কারণ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবল একটি জাতির স্বার্থে পরিচালিত হতে পারে না। এমনকি, সেই দেশ যদি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়, তবুও নয়।’
‘গত কয়েক দশকে বিশ্ব জুড়েই শক্তির নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। এটা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে।’ সূত্র: আরটি