a
ফাইল ছবি
দেশে বেড়েই চলছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এবং সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৬০ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ৩২০ এবং ঢাকায় বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৭৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকার ৫০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৩১৪ এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছে ৪২৪ জন রোগী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫৪ জন। আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ১৪ হাজার ৮২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১১ হাজার ৩৯১ এবং আর ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৪৩১ জন। সূত্র: ইত্তেফাক
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৫ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৮৬৬১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জন।
আজ রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৬৯৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন।
উল্লেখ্য, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড আরও ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৩১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৮৭৯টি নমুনা। যেখানে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
ফাইল ছবি
সম্প্রতি ভারতে নতুন করে আতংক ছড়াচ্ছে ব্লাক এবং হোয়াইট ফাঙ্গাস। সেই ব্লাক ছত্রাকে আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে এবার বাংলাদেশেও, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন দেশে এমন অন্তত দুজনের শরীরে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে চলতি মাসে ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয়।
বারডেম হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জীবাণু শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক জনের শরীরেও ছাত্রাকজনিত রোগটি পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে তারাই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রাখেন যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল।
এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে দুজনের শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।’
বারডেম হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে এটাই প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরো উল্লেখ করে বলেন যে ‘আমরা সতর্কভাবে তাদের নিবীড় পর্যবেক্ষণ করছি’ বিশেষ করে ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কম থাকে তাহলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই, তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দিতে হয়।’
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে মাত্রা না বুঝে স্টেরয়েড দিলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার ফলে রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি বায়ুবাহিত রোগ। ছত্রাকের বীজগুটি বা স্পোর বাতাসের সাথে সাথে উড়ে বেড়ায়। মানুুষ শ্বাসগ্রহণের সময় নাসারন্ধ্র দিয়ে সাইনাস ও ফুসফুসে ঢুকে যায়। এ কারণে এ দুটি স্থান বেশি আক্রান্ত হয়।
এ ছাড়া পরিপাকতন্ত্রেও এ ছত্রাক প্রবেশ করে রোগ বাঁধাতে পারে। ত্বকে কাটা, ক্ষত বা পোড়া ঘা থাকলে সেগুলোও মিউকর ছত্রাকের প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া দেহের দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার সুযোগেও ছত্রাকটি শরীরে প্রবেশ করে ছড়িয়ে পড়তে পারে।