a
সংগৃহীত ছবি
সুস্থতার জন্য সুষম খাবার খাওয়াটা জরুরি। অনেকে না বুঝে কম-বেশি খাবার খেয়ে শরীরকে রোগাক্রান্ত করে ফেলেন। সঠিক ডায়েট চার্ট অনুসরণ না করলে শরীর ভেঙে যায় এবং বাসা বাধে নানা রোগ ব্যাধি।
খাবার সঠিকভাবে না খেলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। সঠিক ঘুম হয় না। অবসাদ ক্লান্তি বাসা বাধে শরীরে। মেজাজ হয়ে উঠে খিটখিটে। এর প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে।
শরীরে রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধে সঠিক খাবার খাওয়াটা জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আমরা যা-ই খাই তা যদি শোষিত হয়ে শরীরের ক্ষয় পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি সাধন করে তবেই তাকে খাদ্য বলে। ১০ ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধের জন্য যুদ্ধ করে। সে বিষয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
* রুটি, ময়দা, আটা, চাপাতির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিন আছে যা কিনা প্লিহা ও থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুটি রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্য ‘বি’ ভিটামিনের গুরুত্বও আছে। ফলিক অ্যাসিড টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়, ভিটামিন বি-১২, লিভার, মাছ, ডিম, ছত্রাক ও শস্যজাতীয় খাদ্যের মধ্যে পাওয়া যায়।
* ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার যা কিনা লালশাক, পুঁইশাক টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়। গাজর, আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন ‘এ’ বেশি থাকে। মলাঢেলা মাছ, গোশত, দুধ, ডিম তো আছেই। ভিটামিন ‘এ’-তে বিটাক্যারোটিন থাকে যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে। অ্যান্টিবডি রেসপন্ডে সাহায্য করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ইত্যাদি।
* ঘি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া শাকসবজি, মাছ, চীনাবাদাম ও ডালের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমিউন কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
* চকলেট, আইসক্রিম, কোকো গুঁড়া করে তৈরি মন্ড, গোশত, ডিমের কুসুম, শিলমাছ, সুগন্ধী মসলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্তকণিকার সমতা রক্ষা করে যা ইমিউনিটি সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
* সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম শস্যজাতীয় খাবার, ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে সেলেনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে যা শ্বেত রক্তকণিকা ও ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এরা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* ম্যাগনেসিয়াম- টাটকা শাকসবজি, চীনাবাদাম, সামুদ্রিক খাদ্য ও শস্যজাতীয় খাবারে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এগুলো ইমিউনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
* ভিটামিন ‘ই’ উদ্ভিদজাতীয় খাবার, শাকসবজি, ফলমূল, ভেষজ তেলে পাওয়া যায়। শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রাণিজ খাদ্য, ডিম, ডিমের কুসুম, মাছ, গোশত ও দুধে থাকে। এগুলো শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টকজাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি। এগুলো কেমিক্যাল মেসেঞ্জার নাম্বার বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে ইন্টারফেরন যা ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* জিংক: সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, গোশত, সেরিয়াল, চিংড়ি, সামুদ্রিক খাদ্যে জিংক প্রচুর পরিমাণে রয়েছে-যা ফ্রি রেডিক্যালের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জঞ্জাল কোষকে (জীবাণু ধ্বংস করার পর যেগুলোর মৃত্যু ঘটে) মুক্ত করতে সাহায্য করে। জিংক আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। জিংক শরীরের বিভিন্ন এনজাইমের একটি অংশ এবং সব টিস্যুতেই এটি আছে।
* গ্রিন টি, শস্যজাতীয় খাদ্য, টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে মাংগানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
প্রতিদিন খেতে যা অভ্যাস করতে হবে: আঁশযুক্ত খাবার। টাটকা সবুজ শাকসবজি। কলা, লেবু, টমেটো ও শসা। পেঁয়াজ, রসুন, কালিজিরা। সামুদ্রিক মাছ। তথ্যসূত্র: যুগান্তর
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ১৭২ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৩০৫০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯৭২ জন।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২৫৬৪ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩০ জন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: বাংলাদেশ পাট ও বস্ত্র কল এবং কারিগরী শিক্ষা রক্ষা আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করা হয়। রাষ্ট্রয়াত্ত সকল বস্ত্র ও পাট কলগুলো অনতিবিলম্বে চালু করার দাবীতে বাংলাদেশ পাট ও বস্ত্র এবং কারিগরী শিক্ষা রক্ষা আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজকের এই মানববন্ধন।
মানব বন্ধনের সভাপতিত্ব করছেন সংগঠনের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফখরুল আলম। ইঞ্জিনিয়ার এ বি এম রুহুল আমীন আকন্দ এর পরিচালনায় বিজেএমসি, বিটিএমসি, তাঁত বোর্ড, বস্ত্র দপ্তর সহ টেক্সটাইল সেক্টরের সিনিয়র পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা দাবি রাখেন, অর্থনীতির মেরুদন্ড খ্যাত টেক্সটাইল সেক্টরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে রক্ষা করার জন্য। এবং রাষ্ট্রয়াত্ত সকল বস্ত্র ও পাট কলগুলো অনতিবিলম্বে চালু করার দাবিতে জোড়ালো বক্তব্য রাখেন।
উপরোল্লিখিত দাবীসমূহ দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হওয়ায় টেক্সটাইল সেক্টরের পেশাজীবিদের মধ্যে বৈষম্য ও বেকারত্বের হার বহুলাংশে বেড়ে চলছে। পাশাপাশি উক্ত কারখানাগুলোতে চাকুরিরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এখন সম্পূর্ণরূপে বেকার হয়ে পড়েছে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড খ্যাত টেক্সটাইল সেক্টরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় সমৃদ্ধ টেক্সটাইল সেক্টর, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উপরোল্লিখিত দাবীসমূহ অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। আমরা সরকারকে আগামী ১০ দিন সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সরকার যদি দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না নেয় আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলন কর্মসূচী দিতে বাধ্য হব।