a
ফাইল ছবি। নূরুল ইসলাম সুজন
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ফের বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এবার একজন আইনজীবীকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন ৬৫ বছর বয়সী এই মন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) এ বিষয়ে জানতে নূরুল ইসলাম সুজনকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।
তবে মন্ত্রীর একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র গণমাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
ইতিপূর্বে, রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে মন্ত্রী মুজিবুল হক ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করে আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী, তিন সন্তানের জননী নিলুফার ইসলাম অসুস্থতায় ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ভোটের পরদিন তার দাফন সম্পন্ন হয়।
পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।
মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম অংশ নিয়ে হেরে যান। প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে তিনি রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র: বাংলানিউজ২৪
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের নামের সঙ্গে মিল রেখে নামসর্বস্ব সংগঠন ‘চাকরিজীবী লীগ’ নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী ও এফবিসিআই’র পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশানের বাসায় থেকে র্যাব গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে র্যাব গুলশান ২ নম্বরের ৩৬ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলার ৫/বি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে। গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি গাড়িতে করে সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
র্যাব জানিয়েছে, তার ফ্ল্যাট থেকে ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, বিপুল পরিমাণ মাদক, ১ টি হরিণের চামড়া, ১ টি বন্য পশুর চামড়া, অন্তত ১০ ধরনের বিদেশী ধারালো চাকু, বিপুল সংখ্যক বিদেশী মুদ্রা, ২ টি ওয়াকিটকি, ১ টি লাল রঙের লাগেজ ভর্তি অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অবৈধ দ্রব্য সামগ্রীর সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না-এ কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল অভিযানে নামে। তার ফ্ল্যাট থেকে মাদক, পশুর চামড়া, ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, বিদেশী মুদ্রা, বেশ কয়েকটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবনটির একজন দারোয়ান জানান, রাত ৮টার কিছু পরে র্যাবের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় প্রবেশ করেন। কিছু সময় পরে র্যাবের ১০ থেকে ১২ জন নারী সদস্য ওই বাসায় প্রবেশ করে। অভিযানের সময় যত বাড়তে থাকে, র্যাবের সদস্য সংখ্যাও বাড়তে থাকে। রাত ১২ টার দিকে র্যাব থেকে জানানো হয় যে, তার বাসা থেকে মাদকসহ অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্প্রতি নেতা বানানোর ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠন। এটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নাম আসে হেলেনা জাহাঙ্গীরের। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহবুব মনিরকে। তাদের নাম-সংবলিত পোস্টার ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পোস্টারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
সংগঠনটির দাবি, দুই-তিন বছর ধরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা। যদিও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংগঠনটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
গত ২৪ জুলাই শুক্রবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে চাকরিজীবী লীগ গঠনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন হেলেনা। তিনি লিখেছেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় আর সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার প্রত্যাশায় বাংলাদেশের আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ।’পরে অবশ্য সংগঠনটির সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন হেলেনা। বলেছেন, তিনি ওই পদ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেননি।
চাকরিজীবী লীগ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত শনিবার আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি থেকে বাদ দেয়া হয় হেলেনাকে। আর তাকে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদ থেকে আরও আগেই বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।
ফাইল ছবি
খুলনায় আবু নাসের হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছে চিকিৎসকরা।
আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
কর্মবিরতি চলাকালে বুধবার সকাল থেকে খুলনার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ খুলনার আহবানে এই কর্মসূচি পালন করছে।
হামলার শিকার ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়ায় অবস্থিত হক নার্সিং হোমে অপারেশন চলাকালে রোগীর স্বজনরা নিশাত আব্দুল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশে কর্মরত এএসআই নাঈম ও তার সঙ্গীরা প্রায় এক মাস আগে অপারেশন করা রোগীর শারীরিক জটিলতার কথা বলে তাকে লাঞ্ছিত ও অপারেশন থিয়েটার ভাংচুর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার খুলনায় বিএমএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতীর ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।
তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনা জেলার সকল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকরা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবেন। শুধুমাত্র মানবিক কারণে জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।’ সূত্র: বিডিপ্রতিদিন