a যেসব কারণে অ্যাপল এর সাথে চার্জার দেয়া হয় না
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যেসব কারণে অ্যাপল এর সাথে চার্জার দেয়া হয় না


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:০২
যেসব কারণে অ্যাপল এর সাথে চার্জার দেয়া হয় না

ফাইল ছবি

বর্তমান বিশ্বে মানুষের কাছে  বহুল জনপ্রিয় ডিভাইস হলো অ্যাপল আমেরিকান এই টেক জায়ান্ট অ্যাপল গত বছর ঘোষণা দিয়েছিল, তারা আইফোনের সঙ্গে আর চার্জার অ্যাডাপ্টর দেবে না। এ খবর সামনে আসার পর অনেকে অ্যাপলের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল। আইফোনের দাম এত বেশি, তার ওপর সঙ্গে চার্জার না মিললে অসন্তোষ তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। অ্যাপল এবার জানিয়ে দিল চার্জার অ্যাডাপ্টর না দেওয়ার কারণ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গেজেটস নাউ ও বিজনেস টুডের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কারণে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাওয়ার অ্যাডাপ্টারে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে আছে প্লাস্টিক, কপার, টিন ও জিংক। এসব উপকরণ পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী। এ কারণে চার্জার সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চার্জার বিহীন আইফোনের বাক্সটির আকারও ছোট হয়ে যায়, ফলে অ্যাপল মনে করে সম্পূর্ণ প্যাকিং প্রক্রিয়াও অনেক সহজসাধ্য এবং দ্রুত হয়।

এ বিষয়ে অ্যাপলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘চার্জার না দেওয়ার বিষয়টি ছিল অ্যাপলের সাহসী এক সিদ্ধান্ত এবং আমাদের গ্রহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।’

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকার কুপার্টিনো শহরে অ্যাপলের অফিস। সেই শহরে ২০১৯ সালে কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমনকে ২৫ দশমিক ১ মিলিয়ন টন থেকে ২২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টনে নামিয়ে এনেছিল।

অ্যাপল বলছে, তারা অষ্টম জেনারেশন আইপ্যাডের জন্য আরও বেশি এনার্জি এফিসিয়েন্ট চার্জারে পরিবর্তিত হয়েছে—এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যার জন্য এনার্জি স্টার রেটিং অনুযায়ী প্রয়োজনের তুলনায় ৬৬ শতাংশ কম শক্তি ব্যয় হয়। 

গত ১২ বছরে তারা তাদের উৎপাদিত সমস্ত পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিকে ৭০ শতাংশের বেশি হ্রাস করেছে। ভবিষ্যতে এই টেক জায়ান্টের পথেই কি হাটবে অন্যান্য জায়ান্ট কোম্পানিগুলো সে দিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ব, যদি সকলে সেই পদক্ষেপই গ্রহন করে। তাহলে পৃথিবী হয়ত কিছুটা হলেও বিষাক্তগ্যাস মুক্ত হতে পারে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

দেশীয় অ্যাপে বৈঠক হবে জুমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫০
দেশীয় অ্যাপে বৈঠক হবে জুমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে

ফাইল ছবি

তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও একটি সুখবর পেল বাংলাদেশ, এখন থেকে বাংলাদেশের মানুষ সকল ধরনের মিটিং, আলাপ-আলোচনা, অনলাইন ক্লাসসহ যাবতীয় কাজ দেশি অ্যাপের মাধ্যমে করতে পারবেন। যাকে জুম অ্যাপ এর বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে। করোনার কারনের প্রায় ৯০ ভাগ কাজকর্মই জুম বা গুগল মিট দিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে কিন্তু এখন থেকে বাংলাদেশ নির্মিত বৈঠক অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।

গত রোববার ২৫ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ‘বৈঠক’ অ্যাপে অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে এ প্ল্যাটফর্মের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবহারের জন্য বৈঠক অ্যাপের প্রথম ১০টি ক্রেডেনশিয়াল হস্তান্তর করা হয়।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে জানান, প্রাথমিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠক অ্যাপ ব্যবহার করবে। এরপর সরকারি অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং পরে সর্বসাধারণের জন্য অ্যাপটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

‘বৈঠক’ এর উদ্বোধন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি সফটওয়্যার শিল্পের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এই অ্যাপ। এই অ্যাপের দ্বারা আমরা জুমসহ অন্যান্য অ্যাপের ওপর নির্ভশীলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। এই অ্যাপের ডাটা সংরক্ষণ করা অনেকটা সহজ হবে কারন সমস্ত ডাটা দেশীয় সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। 

এ সময়  মন্ত্রী বলেন, “তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা যেন আপস না করি। কারণ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় তথ্যই হয়ে উঠেছে প্রধান চালিকাশক্তি। ডেটার সুরক্ষা নিয়ে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।”
 
প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ জন প্রোগ্রামার দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই ৫০-১০০ জন প্রোগ্রামারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এই অ্যাপ ব্যবহারের পাশাপাশি দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে বৈঠক অ্যাপ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সরকারের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের পাশাপাশি খুব দ্রুতই  এটা জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।”

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা অভ্যন্তরীণ সভাগুলো করতে পারব। ভবিষ্যতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সভাও করতে পারব, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে।”
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

নতুন ভর্তি পদ্ধতিতে মেডিক্যালে পড়ার আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা


স্বাস্থ্যডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৩ আগষ্ট, ২০২৩, ১১:৫০
নতুন ভর্তি পদ্ধতিতে মেডিক্যালে পড়ার আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ফাইল ছবি

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল পরীক্ষায় নতুন ভর্তি পদ্ধতি চালু হওয়ায় সংকটে পড়েছে বেসরকারি খাতের মেডিক্যাল শিক্ষা। জানা গেছে, এবার ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ৪৯ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার ৬০০ জন মেডিক্যালে পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নতুন ভর্তি পদ্ধতির কারণে অসচ্ছল ও মেধাবীদের জন্য সংরক্ষিত  ৮১ আসন এখন শূন্য। অর্থাৎ বিনা খরচায় পড়ার আসনও শূন্য পড়ে আছে।

ডেন্টালের অবস্থা আরও ভয়াবহ, যেখানে ১ হাজার ৫০০ সিটের বিপরীতে পড়ার জন্য মাত্র ৫০০ জন আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, আগে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো বাছাই করে পছন্দের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতেন। কিন্তু চলতি বছর এ সুযোগ রহিত করে নতুন অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়। এবার প্রথমে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য পাঁচটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পছন্দক্রম রাখা হয়। পরে এই নিয়মও বদলে ফেলে ছাত্রদের জন্য ৬০টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৬৬টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের তালিকা করা হয়। নতুন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী আবেদনের পর একটি নির্দিষ্ট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি এসএমএসের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের প্রতিষ্ঠান পাননি। কারণ ব্যয়ের ব্যাপারটি মেডিক্যাল কলেজ ভেদে তারতম্য থাকায় শিক্ষার্থীরা সামর্থ্য অনুযায়ী কলেজ নির্বাচন করেন। তাই নতুন নিয়মে শিক্ষার্থীদের যে কলেজে সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেখানকার শিক্ষাব্যয় শিক্ষার্থীর পরিবারের সামর্থ্যের বাইরে হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি হতে পারেননি।

চট্টগ্রাম হালিশহরের মুহাম্মদ আবু সুফিয়ানের মেয়ে সানজিদা আকতারের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবেন। কিন্তু দূরবর্তী পটুয়াখালী সরকারি মেডিক্যালে চান্স পাওয়ায় মেয়েকে নিজ এলাকার কোনো প্রাইভেট মেডিক্যালে পড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন সুফিয়ান। কিন্তু তিনি জানতে পারলেন এবার ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নতুন অটোমেশন পদ্ধতি চালুর কারণে তাদের এই সিদ্ধান্ত আর কাজে আসবে না। অধিদপ্তর খুদে বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করবে তার মেয়ে কোথায় পড়বে।

অনুরূপ ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া কিশোরগঞ্জের এক শিক্ষার্থী বলেন, তার পছন্দ ছিল নিজ জেলার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিক্যালে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। কিন্তু এখানকার ব্যয় বহন করা তাদের পক্ষে কঠিন। এ কারণে তিনি মেডিক্যালে না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কাঙ্ক্ষিত মেডিক্যাল কলেজ না পেয়ে ভর্তিতে অনীহা, আবার ভর্তি হলেও মাইগ্রেশন পদ্ধতিতে কলেজ বদল করায় আসন পূরণ হয়নি বেশির ভাগ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের। বেশ কিছু আসন শূন্য রেখে ক্লাসও শুরু করতে হয়েছে কোনো কোনো বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে। এমনকি অসচ্ছল ও মেধাবী কোটাও পূরণ হয়নি তড়িঘড়ি করে নেওয়া এই নতুন সিদ্ধান্তের কারণে।

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ১০ মার্চ। ফলাফল প্রকাশিত হয় ১২ মার্চ। সরকারি-বেসরকারি সব মেডিক্যাল কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে ২৪ জুলাই। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজে আসন পূরণ হয়নি। ভর্তি কার্যক্রমও শেষ হয়নি। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায়ী করছেন বিএমডিসির অদূরদর্শী নীতিমালা ও ডিজি হেলথের সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি না নিয়েই অটোমেশন পদ্ধতি চালু করাকে।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গত ২৫ বছরে এই প্রথম বিএমডিসির অদূরদর্শী ও হুট করে চাপিয়ে দেওয়া নতুন অটোমেশন পদ্ধতির ফলে ৭৩১ আসন এখনো পূর্ণ হয়নি। নতুন এই  ভর্তি পদ্ধতি যে চরম ভ্রান্ত ও নৈরাজ্যকর তা প্রমাণিত হয়েছে।  

এ বছর ৩০০-এর অধিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী বিএমডিসির অনুমোদন নিয়ে বিদেশে পড়তে চলে গেছেন। এত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা চলে গেছে দেশের বাইরে।

ক্লাস শুরুর আগে অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা বলেন, যেসব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এখনো নির্ধারিত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারেনি, সেখানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্ত এক মাস পেরিয়ে গেলেও সংকট নিরসনে কার্যত কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উলটো কলেজগুলোকে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, অটোমেশন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিতে সংকট তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো কলেজ শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। সবার মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এ জন্য পুরোটাই বিএমডিসি ও ডিজি হেলথ দায়ী। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - তথ্য ও প্রযুক্তি